Prothomalo:
2025-07-31@07:25:03 GMT

সমুদ্রের শহর এল নিডোতে-১

Published: 17th, March 2025 GMT

ফিলিপাইনের পালাওয়ান দ্বীপের উত্তর প্রান্তে একটি অত্যাশ্চর্য সুন্দর এলাকা এল নিডো। যেখানে উঁচু চুনাপাথরের পাহাড়, স্ফটিক স্বচ্ছ জল, ছোট জঙ্গলে ঢাকা দ্বীপ, সাদাশুভ্র বালুর সৈকত এবং নির্জন লেগুন রয়েছে। প্রাচীন ক্লিফ ঘেরা কঠিন শিলা গঠনের পাহাড়সহ অসংখ্য শুভ্র সাদা বালুর সৈকত রয়েছে এখানে, যার প্রান্ত ছুঁয়ে আছে সমুদ্রের স্বচ্ছ জল। আমরা ঠিক করেছি, ফিলিপাইন বেড়াতে যাওয়ার মূল লক্ষ্য এল নিডো, সেবুসহ বেশ কিছু দ্বীপে ঘুরে বেড়ানো। আমার সফরসঙ্গী রিপন, মনজু, মোশারফ, আমিন আর সুফিয়ান ভাই। আমরা সবাই আইটি ব্যবসায়ী, সুযোগ পেলে দেশ-বিদেশ ঘুরতে পছন্দ করি।

ফিলিপাইন প্রায় সাত হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দেশ। এখানে এক শহর থেকে আরেক শহরে যাওয়ার জন্য বিমান উৎকৃষ্ট বাহন। যদিও প্রতিটি দ্বীপের মধ্যে ফেরি চলাচল করে। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা থেকে ফেরির মাধ্যমে এল নিডো যাওয়া যায়। খরচও কম। কিন্তু ফেরিতে সময় বেশি লাগে এবং প্রায় সময় আবহাওয়ার কারণে তা বাতিল হয়। তাই উড়োজাহাজকে বাহন হিসেবে পছন্দ করেছিলাম।

এল নিডোতেই একটি বিমানবন্দরে আছে, কিন্তু যার ভাড়া অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় আমরা পালোয়ানের পুরতো প্রিন্সেসা বিমানবন্দরে পৌঁছে সড়কপথে এল নিডো পৌঁছানোর মনস্থির করেছিলাম। দুপুর ১২টায় উড্ডয়ন শুরু করে কোনো প্রকার বিলম্ব ছাড়া উড়োজাহাজ যখন গন্তব্যে পৌঁছাল, তখন সময় বেলা ১টা ৩০। পালোয়ানের বিমানবন্দরটি আকারে ছোট, তেমন ভিড়ভাট্টা নেই। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে এল নিডো যাওয়ার জন্য মাইক্রোবাস ঠিক করে হাল্কা খাওয়াদাওয়া শেষে যাত্রা শুরু করলাম।

পুরতো প্রিন্সেসা বিমানবন্দর থেকে এল নিডো সড়কপথে যাত্রাপথটি ছিল মসৃণ ও মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর। পাহাড়ের খাঁজ কেটে বয়ে গেছে প্রশস্ত রাস্তা, কখনো সোজা আবার কখনো আঁকাবাঁকা। যাত্রাপথে মিলল ২০ মিনিটের বিরতি। সুস্বাদু মাছভাজা, সবজি আর সাদা ভাত দিয়ে রাতে খেলাম। পুরতো প্রিন্সেসা থেকে এল নিডো শহরে পৌঁছাতে সময় লাগল প্রায় ছয় ঘণ্টা! রাত বাজে ৯টা। শহরটা প্রায় নিস্তব্ধ আর নিরিবিলি। ভাড়া করা মাইক্রোবাসটি আনলাইনে বুক করা আমাদের হোটেলের সামনে নামিয়ে অন্ধকারে মিশে গেল। হোটেলের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আমরা টের পেলাম ৬টার ডিনার হজম হয়ে গেছে আর বঙ্গভূমি থেকে বয়ে আনা উদর রত্রির জন্য আরেক প্রস্থ খাদ্য গ্রহণে প্রস্তুত, যার নাম ইংরেজ সভ্যরা সাপার দিয়েছেন।

এল নিডোর গণপরিবহন ট্রাই সাইকেল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ল প ইন এল ন ড

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর গুরুতর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিজয়

দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা বিজয় সেতুপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন রম্য মোহন নামে এক নারী। এ অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চর্চা চলছে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই দাপুটে অভিনেতা।  

বিজয় সেতুপতি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তাতে তিনি বলেন, “যারা আমাকে চেনেন, এমনকি অল্প হলেও চিনেন, তারা বিষয়টিকে হাস্যকর বলে মনে করবেন। আমি জানি আমি কে। এই ধরণের জঘন্য অভিযোগ আমাকে বিরক্ত করে না। আমার পরিবার, ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা বিরক্ত। আমি তাদের বলি, ‘এটা বাদ দাও।’ এটা পরিষ্কার এই নারী, প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে; কয়েক মিনিটের খ্যাতি অর্জন করেছে, তাকে এটি পেতে দিন।” 

আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে বিজয় সেতুপতি বলেন, “সাইবার ক্রাইমে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। গত সাত বছর ধরে নানা গুঞ্জন সহ্য করেছি। এর কোনোটি আমাকে প্রভাবিত করেনি এবং কখনো করবেও না।” 

আরো পড়ুন:

বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা অভিনেতার স্ত্রীর

আমাকে খারাপভাবে স্পর্শ করত, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে জনি লিভারের কন্যা

রম্য মোহন নামে এক নারী তার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিজয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। তাতে তিনি লেখেন, “তেলেগু সিনেমায় নেশা-কাস্টিং কাউচের সংস্কৃতি মজার কোনো ব্যাপার নয়। আমি একটি মেয়েকে চিনি, যে এই ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন বিজয় সেতুপতির হাতে ‘মানসিক ও শারীরিক শোষণের’ শিকার হয়েছেন। সেই তরুণী শেষ পর্যন্ত মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে পুনর্বাসনকেন্দ্রে যেতে বাধ্য হন।”  

রম্যর অভিযোগ, “বিজয় সেতুপতি কলিউডের (তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি) তথাকথিত ‘গ্ল্যামার–সংস্কৃতি’র আড়ালে অশুভ এক বলয়ের অংশ, যেখানে ‘অডিশন’ কিংবা ‘পেশাগত সুযোগ’–এর নামে নারীদের ওপর অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়। তার ভাষায়, ‘সেতুপতির মতো শিল্পীরা শিল্পের স্বাভাবিক নিয়মের ছদ্মবেশে মেয়েদের কাছে ‘অনৈতিক সুবিধার’ বিনিময়ে অর্থের প্রস্তাব দিতেন।” যদিও পরবর্তীতে এ পোস্ট মুছে ফেলেন এই নারী। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ