চোটের কারণে এবার আইপিএলে দেখা যাবে না ভারতের তরুণ পেসার উমরান মালিককে। গতির ঝড় তোলা এই বোলারকে পাচ্ছে না কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। তার পরিবর্তে স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার চেতন সাকারিয়া।

আইপিএলের গত চার আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন উমরান। বিশেষ করে ২০২২ আসরে ১৫০ কিলোমিটার গতিতে নিয়মিত বল করে তিনি নজর কাড়েন। ওই আসরে ২২ উইকেট নিয়ে উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতেছিলেন জাম্মু ও কাশ্মীরের এই পেসার। তবে এরপরের দুই মৌসুমে ফর্মে থাকেননি। ২০২৩ আসরে আট ম্যাচে নিয়েছিলেন মাত্র পাঁচ উইকেট। আর চলতি মৌসুমে সানরাইজার্সে ছিলেন না তিনি। গত নভেম্বরের নিলামে ৭৫ লাখ রুপিতে উমরানকে দলে নেয় কেকেআর। তবে এবার চোট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে চেতন সাকারিয়ার আইপিএল যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নেট বোলার হিসেবে। এরপর ২০২১ সালে রাজস্থান রয়্যালস তাকে দলে নেয় ১ কোটি ২০ লাখ রুপিতে। অভিষেক মৌসুমেই ১৪ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন তিনি। পরে ২০২২ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেন এই বাঁহাতি পেসার। ৪ কোটি ২০ লাখ রুপিতে তাকে দলে নিলেও খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি—দুই মৌসুম মিলিয়ে মাঠে নামেন মাত্র পাঁচ ম্যাচে।

২০২৪ সালের নিলামে ৫০ লাখ রুপিতে তাকে নেয় কেকেআর। তবে হর্শিত রানা ও মিচেল স্টার্কের মতো পেসারদের ভিড়ে একাদশে জায়গা পাননি সাকারিয়া। এর মধ্যে আবার চোটে পড়েছিলেন বাঁহাতি কবজিতে। এরপর ১৩ মাসের লড়াই শেষে আবারও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকারিয়া। মুম্বাইয়ের একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলেছেন তিনি। এমনটা দেখে তাকে দুই লাখ রুপিতে নেট বোলার হিসেবে ডেকে নেয় কলকাতা। এবার উমরানের ইনজুরিতে ম্যাচ খেলার সুযোগ তার সামনে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ক আর উমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার

আট বছর ধরে গাড়ি চালানোর পেশায় আছেন মো. শাহীন। প্রথমে চালাতেন ট্রাক, এখন যাত্রীবাহী বাস। তবে এটা তার মূল কারবারের আড়াল মাত্র। বাস চালানোর আড়ালে তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আনেন ইয়াবার বড় চালান। প্রতি চালানে ১০–২০ হাজার পিস ইয়াবা থাকে। এগুলো পৌঁছানোর বিনিময়ে তিনি পান মোটা অঙ্কের টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ছয়টি চালান এনে তিনি অন্তত ছয় লাখ টাকা পান। ফলে লাভজনক এ কারবারে তিনি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছেন।

সম্প্রতি রাজধানীর পূর্ব রামপুরা এলাকা থেকে বাসচালক শাহীন ও সুপারভাইজার সঞ্জিত রাজবংশীকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। ওই সময় বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এই চালানটি ঢাকার গাবতলী এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল বলে জানা গেছে।

ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ জানান, আন্তঃজেলা বাসের চালক–হেলপারদের একটি অংশ মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে বিভিন্ন রুটের পরিবহনকর্মীদের মাদকসংশ্লিষ্টতার তথ্য পেতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস পূর্ব রামপুরার মোল্লা টাওয়ারের সামনে থামানো হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে চালক ও সুপারভাইজার স্বীকার করেন, তাদের কাছে মাদকদ্রব্য আছে। এরপর তাদের দেখানো অনুযায়ী চালকের আসনের নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন ডিএনসি ধানমন্ডি সার্কেলের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, শাহীনের ভাষ্য অনুযায়ী, দুই বছর ধরে তিনি বাসে মাদক পরিবহনের কাজ করেন। এর আগে ট্রাক চালানোর সময় অন্য চালকদের মাধ্যমে এ কারবারের বিষয়ে জানতে পারেন। পরে টেকনাফের মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ও সখ্য গড়ে ওঠে। তিনি প্রতি ১০ হাজার পিস ইয়াবা ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আনুমানিক এক লাখ টাকা করে পান। এবারের চালানের জন্য পেতেন দেড় লাখের কিছু বেশি। তবে পৌঁছানোর আগেই তিনি ও তার সহযোগী ধরা পড়েন।

অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইয়াবার চালানের প্রেরক ও প্রাপকসহ আরও কয়েকজনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে পুরো চক্রটিকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • নিট রিজার্ভও ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ভিটামিনসমৃদ্ধ ভোজ্যতেল পাওয়ায় বাধা খোলা ড্রাম
  • খাল-ফসলি জমির মাটি ইটভাটায়
  • আইপিএলে আরও ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা
  • ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হবে