বাংলালিংকের নতুন সিইও ইওহান বুসে
Published: 17th, March 2025 GMT
মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হচ্ছেন ইওহান বুসে। বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ভিওন আজ সোমবার ইওহান বুসেকে বাংলালিংকের নতুন সিইও পদে নিয়োগ দিয়েছে। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ইওহান বুসে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি এরিক অসের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলালিংক।
সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে টেলিকম খাতে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে ইওহান বুসের। বাংলালিংকে যোগদানের আগে ইওহান সিঙ্গাপুরের স্টারহাবে কৌশল ও ব্যবসায়িক রূপান্তর বিষয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর আগে তিনি ওরেদো ওমানের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার এবং ডয়েশ্চ টেলিকম ক্রোয়েশিয়া, এক্সিস ও সিংটেলের উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এ বিষয়ে ভিওন গ্রুপের সিইও কান তেরজিওগ্লো বলেন, ‘প্রথমেই আমি ইওহানকে ভিওন ও বাংলালিংকে স্বাগত জানাচ্ছি। বেশ কিছু উদীয়মান বাজারে তার কয়েক দশকের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা আমাদের ডিজিটাল সম্প্রসারণকে ত্বরান্বিত করবে; একই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। গত ৯ বছরের অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য আমি এরিক অসের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তার সময়েই বাংলালিংক পুরো দেশজুড়ে বিস্তার লাভ করেছে; সবার জন্য ফোর–জি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করেছে এবং এই খাতে টফি, মাইবিএল ও রাইজের মতো ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে এসেছে।’
বাংলালিংকের বিদায়ী সিইও এরিক অস বলেন, ‘গত ৯ বছর ধরে বাংলালিংকের অনবদ্য এই টিমকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং একই সঙ্গে ভিওনের উদ্ভাবনী মূল্যবোধ “ফোর–জি ফর অল”-এর প্রতি গুরুত্বারোপ করে লাখো বাংলাদেশির জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে পারা সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়। অত্যন্ত যোগ্য ইওহান বুসের অধীনে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। বাংলাদেশে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বমানের টিমের সহযোগিতায় বাংলালিংককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন বলে আশাবাদী আমি।’
নতুন সিইও ইওহান বুসে বলেন, ‘গ্রাহককেন্দ্রিক মূল্যবোধ তৈরির সম্ভাবনাময় এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলালিংকের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো গৌরব এবং এরিকের কাছ থেকে নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে পেরে আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের পাশাপাশি, মানুষকে কানেকটিভিটি ও ডিজিটাল সেবা দেওয়া আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমাদের সামনে অনন্য সুযোগ এসেছে, যেখানে ভিওনের ডিজিটাল দক্ষতা ও বাংলালিংকের বিশ্বমানের টিমের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বিভাজন দূর করে উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করা এবং লাখো বাংলাদেশির জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এমন সুযোগ তৈরি করা সম্ভব।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মে মাসে এক থেকে দুটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস
চলতি মাসে ধেয়ে আসতে পারে এক থেকে দুটি ঘূর্ণিঝড়। সেই সঙ্গে এ মাসে শিলা ও বজ্রবৃষ্টিসহ তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম কামরুল হাসানের সই করা একমাসের দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাসে এই তথ্য জানা গেছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে যার মধ্যে এক থেকে দুইটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। দেশে ২ থেকে ৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় এবং ৩ থেকে ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
আরো পড়ুন:
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজালে’ পরিণত, বন্দরে ২ নম্বর সংকেত
উপকূল রক্ষা করছে বনাঞ্চল, কিন্তু বন বাঁচাতে নেই উদ্যোগ
তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ৩টি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও মাঝারি (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং ১ থেকে ২টি তীব্র (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, “মে মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে বিচ্ছিন্ন ভারি বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বাড়তে পারে।”
এদিকে, মে মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোয় স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বিচ্ছিন্ন ভারি বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোর পানি সমতল সময় বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঢাকাসহ ৮ জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে প্রায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব এলাকায় বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে। একইসঙ্গে দেশের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হওয়া ও শিলাসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের সই করা এই সতর্কবার্তায় জানানো হয়, ঢাকা, শেরপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে পৌনে ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জনসাধারণকে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঘরে অবস্থান করা, অপ্রয়োজনে যাত্রা এড়িয়ে চলা এবং নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা। একইসঙ্গে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া বা দেয়ালে হেলান দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর প্লাগ খুলে রাখার এবং জলাশয় থেকে দ্রুত সরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ পরিবাহী যে কোনো বস্তু থেকে দূরে থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সতর্কবার্তায়। শিলাবৃষ্টির সময় সবাইকে ঘরে থাকারও আহ্বান জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঢাকা/হাসান/সাইফ