Samakal:
2025-08-01@02:01:24 GMT

ধর্ষণ নিপীড়নের প্রতিবাদ

Published: 17th, March 2025 GMT

ধর্ষণ নিপীড়নের প্রতিবাদ

দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ, শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক, সাইবার সহিংসতার পাশাপাশি বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায় 
সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। এর ধারাবাহিকতায় বগুড়া, পাবনার ঈশ্বরদীসহ কয়েকটি ইউনিটের সুহৃদরা কর্মসূচি পালন করেন

বগুড়ায় মানববন্ধন
আসলাম হোসাইন
দেশে ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন মাধ্যমে নতুন নতুন নির্যাতনের খবর উঠে আসছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বগুড়ায় বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে, যা সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এসব ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে বগুড়ায় ১৭ মার্চ সমকাল সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেসায় এই মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষার্থী, সমাজকর্মী ও সচেতন মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, ধর্ষণ ও নিপীড়নের মতো অপরাধ সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এসব অপরাধের যথাযথ বিচার না হলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
বগুড়া সুহৃদ সহসভাপতি সাজিয়া আফরিন সোমা বলেন, ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনা শুধু একজন ভুক্তভোগীর জীবনে নয়, বরং পুরো পরিবার ও সমাজে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। একজন নারী বা শিশু যখন ধর্ষণের শিকার হয়, তখন সে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়ে। পরিবার সামাজিক অসম্মানের ভয়ে অনেক সময় আইনি ব্যবস্থা নিতে ভয় পায়। ফলে অপরাধীরা আরও বেশি সাহসী হয়ে ওঠে। মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা বলেন, আইনের দীর্ঘসূত্রতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই দেশে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার অন্যতম কারণ। 
উপস্থিত বক্তারা আরও বলেন, শুধু শাস্তি নিশ্চিত করলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে না। সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার ও গণমাধ্যমকে একযোগে কাজ করতে হবে। নারীদের যথাযথ সম্মান ও সুরক্ষা দিতে হলে পরিবার থেকেই শিশুদের সঠিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা শেখাতে হবে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার হাতে নিয়ে ‘ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই’, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করো’, ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিত করো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। তারা বলেন, এ ধরনের মানববন্ধন শুধু একটি প্রতীকী প্রতিবাদ নয়, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার একটি মাধ্যম। 
ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে এবং ন্যায়বিচারের পথ সুগম করতে হবে। সবাইকে নারী ও শিশুর নিরাপত্তায় এগিয়ে আসতে হবে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকলে সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এমন প্রত্যাশার মধ্য দিয়ে শেষ হয় কর্মসূচি। 
সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, বগুড়া

ঈশ্বরদীতে প্রতিবাদ সভা 
সেলিম সরদার    
বড় বোন হামিদা আক্তারের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল শিশু আছিয়ার। মায়ের মতো আছিয়াকে খাবার মুখে তুলে দিতেন। বিয়ের পর সেই আদরের বোনটির ওপর নির্মম ও পাষণ্ড আচরণ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না হামিদা। স্বামী, শ্বশুরসহ অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তিনি। হামিদার মতো ঈশ্বরদীর সুহৃদরাও সমভাবে ব্যথিত। মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে ধিক্কার ও প্রতিবাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান সুহৃদরা।
নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতার প্রতিবাদ জানিয়ে সুহৃদরা প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল শহরের রেলগেট জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালে পথসভায় সভাপতিত্ব করেন ঈশ্বরদীর সুহৃদ সভাপতি আর.

কে. বাবু এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল ইসলাম মাসুদ। বক্তব্য দেন সমকালের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি সেলিম সরদার, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক আমান, স্বর্ণকলি বিদ্যাসদনের পরিচালক মনিরুল ইসলাম বাবু, সুহৃদ সভাপতি আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু, সহসভাপতি খন্দকার তৌফিক আলম, তানহা ইসলাম শিমুল, আব্দুস সামাদ, সুহৃদ ফিরোজ , দুর্জয় ইসলাম, হাসান চৌধুরী, পরিতোষ পাল, আলমাস হোসেন প্রমুখ। v
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, ঈশ্বরদী

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র স হ দর ইসল ম অপর ধ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন : হুশিয়ারী

বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে  মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থী,  শিক্ষক ও অভিভাবকরা। সমাবেশ শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সিদ্ধিরগঞ্জ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এই কর্মসুচিতে সিদ্ধিরগঞ্জের দেড় শতাধিক কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি  বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের হাতে " প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ এ বৈষম্য কেন? শিক্ষা উপদেষ্টা জবাব চাই" সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড শোভা পায়।

সিদ্ধিরগঞ্জ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বিল্লাল হোসেন রবিন, ঢাকা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি জি এইচ ফারুক, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন পরিচালক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো: সামসুজ্জামান, প্রধান সমন্বয়ক মো: সাইফুল ইসলাম রুবেল, মহাসচিব মো: সাখাওয়াত হোসেন খান, সিদ্ধিরগঞ্জ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন ঢালী, শিক্ষক কাওসার আহমেদ, এসএম বিজয়, আল মামুন , তরিকুল ইসলাম, বাহাউদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা প্রজ্ঞাপনে শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বেসরকারি, কিন্ডারগার্টেন ও এমপিও-বহির্ভূত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত ও হতাশ হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, “আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। অথচ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত কোমলমতি শিশুদের বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে তাদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে।”

তারা বলেন, দেশের প্রায় ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে, যাদের একটি বড় অংশ দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আশায় এগিয়ে এসেছে। এখন এই সিদ্ধান্ত তাদের স্বপ্ন ও শ্রমের প্রতি অবিচার।

বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকার বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ার অঙ্গীকার করলেও বাস্তবে এই প্রজ্ঞাপন সেই প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী। তারা প্রশ্ন তোলেন, “ই আই আই এন নম্বরধারী নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যদি এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়, তবে কেন নিবন্ধিত কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না?”

বক্তারা আরও বলেন ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, প্রতিবাদ ও স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে এই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন বাতিল করে সরকারি ও বেসরকারি সব প্রাথমিক শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোরা হবে।

মানববন্ধন ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, ১নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি নেজাম উদ্দিন শাহীন, ২নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি জাকির উল্লাহ সুজুন, ৩নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি মো: আজহারুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি মো: শামীম, ৬নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি মো: জাবের হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড  প্রতিনিধি মো: আল আমিন, ১০ নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি এড: মো: খোরশেদ আলম প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুর পথরেখা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
  • জকসুর রোডম্যাপ ও সম্পূরক বৃত্তি দাবি শিক্ষার্থীদের
  • সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসায় কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
  • রূপগঞ্জে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
  • ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন
  • না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন : হুশিয়ারী
  • অবকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে ববিতে মানববন্ধন
  • সিজু নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
  • মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরে মিছিল-সমাবেশ
  • নেত্রকোনায় বাবরকে নিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন