রাজশাহীতে এক কলেজছাত্রীকে (১৮) দোকানের ভেতর ঢুকিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে জেলার তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া বাজারে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ নিয়ে সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে তানোর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা।

মামলার আসামিরা হলেন, চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের দেওতলা গ্রামের ইকবাল হোসেন (২৮), তার বাবা আনছার আলী (৬৫) এবং একই গ্রামের চা দোকানি আবদুল মালেক (৬০)। আসামিরা পলাতক আছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেলে ওই কলেজছাত্রী তার শিক্ষকের বাসায় গাইড নিতে যাচ্ছিলেন। পথে পূর্বপরিচিত মুদি দোকানি ইকবাল ওই ছাত্রীকে ডাকেন। ওই ছাত্রী দোকানে গেলে ইকবালের সহযোগী চা দোকানি মালেক দোকানের শাটার নামিয়ে দেন।

আরো পড়ুন:

নরসিংদীতে গৃহবধূকে ‌‘ধর্ষণের’ অভিযোগ 

কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

এ সময় দোকানের মধ্যে অবস্থান করা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মুদি দোকানি ইকবাল। ঘটনা জানাজানি হলে সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে তার দোকান থেকে বের করে দেন ইকবাল। পরে অভিযুক্তের বাবা আনছার আলী ওই ছাত্রীকে উল্টো দোষারোপ করে তার পরিবারের কাছে রেখে আসেন।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওই ছ ত র ক ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮

ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ