মাটিকাটা নিয়ে যুবদলকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
Published: 18th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকায় মাটিকাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে মেহেদী হাসান রাকিব (২৫) নামে যুবদলকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গত সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নে ত্রিমোহনী পল্টন মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী হাসান রাকিব নিগুয়ারি ইউনিয়নের তললী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
নিহতের বাবা মজিবুর রহমান বলেন, ‘‘একই ইউনিয়নের সাদুয়া গ্রামের ইয়াসিন, মোফাজ্জল, জিয়া যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার ছেলে রাকিবও যুবদলকর্মী। দেড় মাস আগে মাটিকাটা নিয়ে ইয়াসিনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় রাকিবের। ইয়াসিন গ্রুপ জোর করে মাটি নিতে চাইলে বাধা দেয় রাকিব। এর জের ধরে ইয়াসিনের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন সোমবার রাত ১০টার দিকে রাকিবকে ধরে ত্রিমোহনী বাজারের পল্টন মোড়ে মোন্তাজ মাওলানার দোকানের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ইট দিয়ে আঘাত করে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় ইয়াসিন গ্রুপের গুলিতে সাবিদ (৩০) নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। সাবিদ ময়মনসিংহ মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’’
আরো পড়ুন:
সিলেটে দুষ্কৃতকারীদের হাতে যুবক খুন
কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান ওসি।
ঢাকা/মিলন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।