কৃত্রিম টাইটানিয়াম হৃৎপিণ্ড ব্যবহারের রেকর্ড
Published: 18th, March 2025 GMT
কৃত্রিম টাইটানিয়াম হৃৎপিণ্ড নিয়ে ১০০ দিনের বেশি সময় বেঁচে থাকার চমক তৈরি করেছেন এক অস্ট্রেলিয়ান। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গত বছরের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো টাইটানিয়াম হৃৎপিণ্ড গ্রহণ করেন। সিডনির সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে বিভাকোর নামের একটি যন্ত্র স্থাপন করা হয়। টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড নিয়ে বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ১০০ দিনের বেশি সময় বেঁচে থাকার ইতিহাস গড়েছেন তিনি। তিনি ছিলেন বিশ্বের ষষ্ঠ ব্যক্তি ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ব্যক্তি, যিনি টাইটানিয়াম হৃৎপিণ্ড ধারণ করেছেন।
কার্ডিওথোরাসিক ও ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন পল জ্যান্সের নেতৃত্বে ছয় ঘণ্টার অপারেশনের মাধ্যমে যন্ত্র স্থাপন করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা বছরের পর বছর ধরে এই মুহূর্তের জন্য কাজ করছি। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম দল হিসেবে এমন পদ্ধতিতে কৃত্রিম হৃদ্যন্ত্র স্থাপনের কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। কোনো বড় জটিলতা ছাড়াই যন্ত্র নিয়েই ১০০ দিন সুস্থভাবে বেঁচে গেছেন তিনি। এই মাসের শুরুতে তাঁকে অন্য এক মানুষের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়।’
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল টিমস বিভাকোর যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। এটি পূর্ণ হৃদ্যন্ত্র প্রতিস্থাপন যন্ত্র। দাতার হার্ট প্রতিস্থাপন না করা পর্যন্ত রোগীদের বাঁচিয়ে রাখতে কৃত্রিম সেতু হিসেবে কাজ করে। এই যন্ত্র একটি অবিচ্ছিন্ন পাম্প হিসেবে কাজ করে, যেখানে একটি চুম্বকীয় রোটর সারা শরীরে রক্ত সংবহন করে। এই যন্ত্র ত্বকের নিচে রাখা কর্ড যন্ত্রটি সক্রিয় রাখে। একটি বাহ্যিক বহনযোগ্য কন্ট্রোলারের সঙ্গে সংযুক্ত করে এই যন্ত্র দিনে ব্যাটারিতে চলে। উচ্চ জৈব সামঞ্জস্যতা, মরিচা প্রতিরোধ ও শক্তির জন্য টাইটানিয়াম ব্যবহার করা হয়েছে এই যন্ত্রে। বিভাকোর তাত্ত্বিকভাবে যান্ত্রিক সমস্যা কম সৃষ্টি করে। এই কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডে যান্ত্রিক তারের কোনো উপস্থিতি নেই।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’