চাটমোহরে আগুনে পুড়ল ২ দিনমজুরের ঘর, পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও
Published: 19th, March 2025 GMT
আব্দুল আলিম ও সাইফুল ইসলাম। দুইজনই দিনমজুরি করে সংসার চালান। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে তারাবি নামাজ শেষে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন দুই পরিবারের সদস্যরা। মধ্যরাতে হঠাৎ করেই আগুন লাগে আব্দুল আলিমের ঘরে। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে সাইফুল ইসলামের ঘরেও।
আগুনে পুড়ে যায় দুইজনের ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সবকিছুই। পুড়ে যায় তিনটি ছাগল। শুধু তাই নয়, বেড়াতে এসে দগ্ধ হন আব্দুল আলিমের খালা শাহিদা খাতুন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এলাকার মানুষ। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের।
আরো পড়ুন:
ঘুমন্ত বিএনপি কর্মীর ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আগুন, পুড়ে গেছে এক একর বনাঞ্চল
এদিকে, আগুনের সংবাদ পেয়ে বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারের হাতে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। ইউএনওর এমন মানবিক আচরণে মুগ্ধ এলাকার মানুষ। ভূয়সি প্রংশসায় ভাসছেন ইউএনও।
তাৎক্ষণিক ইউএনওর সহযোগিতা পেয়ে কেঁদে ফেলেন আব্দুল আলিম। তিনি বলেন, ‘চোরে চুরি করলেও কিছু রেখে যায়। আগুনে পুড়লে কিছুই থাকে না। কোথায় থাকব, কী খাব এমন চিন্তা যখন করছিলাম, তখন ইউএনও স্যার এসে পাশে দাঁড়ালেন। এর আগেও আমাদের এলাকায় অনেকের বাড়িতেই আগুন লেগেছে, কিন্তু কখনোই কোনো ইউএনওকে আসতে দেখিনি। আমরা ভাগ্যবান, আমাদের মতো গরিব মানুষের বাড়িতে স্যার (ইউএনও) এসে সহযোগিতা করে গেলেন।"
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, “আমি শুধু ইউএনও-ই নই, একজন মানুষও। আমি ওই দুই পরিবারের ঘর পুড়ে যাওয়ায় খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি মানুষ হিসেবে তাদের বাড়িতে গিয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাতক্ষণিক কিছু সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। আবেদন করতে বলেছি, আরও কিছু সহযোগিতা দেওয়ার জন্য।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন সহয গ ত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিলেন ইউএনও
দুপুরবেলা বিদ্যালয়ে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এরপর শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপে মেতে ওঠেন তিনি। শিক্ষার্থীদের শিক্ষামূলক নানা প্রশ্নোত্তরে জমে ওঠে সেই আলাপ। গতকাল রোববার কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় দেখা যায় এমন চিত্র।
গতকাল দুপুরে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যান টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন। তাঁর সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাবীবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাঁদের অভ্যর্থনা জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজেশ কান্তি কানু, সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জুনায়েদ, সৈয়দ নুর, আমানুল্লাহ, রবিউল আলম প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে বিদ্যালয়ের মাঠ, বিদ্যমান ভবন, নির্মাণাধীন একটি ভবন ঘুরে দেখেন শেখ এহসান উদ্দিন। এ সময় শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার সরঞ্জাম এবং বিদ্যালয়ের জন্য অনুদানের আশ্বাস দেন তিনি।
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে নাফ নদীর তীর–সংলগ্ন দমদমিয়ার গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২০ সাল থেকে আলোর পাঠশালাটি পরিচালনা করে আসছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। বিদ্যালয়টিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫০ জনের মতো।
বিদ্যালয়টি পরিদর্শনের সময় ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে দমদমিয়া আলোর পাঠশালা। প্রথম আলো ট্রাস্টের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।