সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলায় দুর্নীতির অভিযোগ: জি এম কাদের
Published: 20th, March 2025 GMT
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, সরকারের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শেখ হাসিনার পতন থেকে শিক্ষা নেয়নি বর্তমান সরকার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহুম্মদ এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন শেখ হাসিনা আমলের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের।
শাসনামলে ‘গৃহপালিত’ বিরোধীদলের তকমা পাওয়া জাপা আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছিল। কয়েকবার আলোচনায় ডেকেছিল। কিন্তু অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারা গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে অংশ নেওয়া জাপাকে স্বৈরাচারারের দোসর আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ জানায়। এরপর থেকে সরকার আর ডাকছে না জাপাকে। দলটির কার্যালয়ে হামলাও হয়েছে। জাপাও সরকারের সমালোচনা করছে। রাতের ভোটের নির্বাচনে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
জি এম কাদের বলেছেন, যে সময়ের মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়েছে তখন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দলের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই দলের সিদ্ধান্ত নিতেন তিনি। তখন নাকি দুর্নীতি করেছি! জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। সামনে সুদিন আসছে, জনগণ জাপার সঙ্গে আছে। ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্তি দিতে যে পথে যেতে হয়, সে পথেই এগিয়ে যাব। জেলে নিলে নেবে, ফাঁসি দিলে দেবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাপার আহ্বায়ক মীর আব্দুস সবুর আসুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র দ র ন ত র অভ য গ এম ক দ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন।
ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।
ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”
প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।
মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”
মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।
গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ