আইপিএল শুরুর আগে নিয়মে বড় পরিবর্তন
Published: 20th, March 2025 GMT
আইপিএলে বলে থুতু ব্যবহারের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন বোলাররা। করোনা মহামারির সময় সাময়িকভাবে, পরবর্তী সময়ে এটিকে স্থায়ীভাবেই নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া শিশিরের প্রভাব কমাতে দ্বিতীয় ইনিংসের ১১ ওভার শেষে দ্বিতীয় নতুন বল ব্যবহার করার নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে এবারের আইপিএলে।
বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের ক্রিকেট সেন্টারে অধিনায়ক ও ম্যানেজারদের বৈঠকের সময় নতুন এই নিয়মের কথা জানিয়েছে বিসিসিআই।
বিসিসিআই সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র ক্রিকেট বিষয়ক পোর্টাল ক্রিকবাজকে নিয়ম পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ক্রিকেট বিষয়ক আরেক পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফোও এই দুটি নিয়ম পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে।
আইপিএলে রাতের ম্যাচগুলোতে শিশিরের বড় প্রভাব থাকে। সে কারণে অনেক ক্ষেত্রেই টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়কেরা, যা টসে জেতা দলকে বাড়তি সুবিধা দেয়। এই বৈষম্য কমানোর উদ্দেশ্যেই দ্বিতীয় বলের নিয়ম চালু করা হচ্ছে। আর এই নিয়মটির বাস্তবায়ন হতে পারে শুধু দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে।
দ্বিতীয় বলের নিয়ম চালু হচ্ছে আইপিএলে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এবারের ঈদযাত্রায় প্রাণহানি গত ঈদের চেয়ে বেশি: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
এবার পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির ১৫ দিনে দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৩৭৯টি দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১৮২ জন আহত হয়েছেন।
গত ঈদের তুলনায় এবার সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহত মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঈদুল ফিতরের ছুটির ১৫ দিনে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৮৩৫ জন।
আজ সোমবার ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
লিখিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবার বেশি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ঈদযাত্রায় সড়ক–মহাসড়কে ১৩৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত ও ১৪৮ জন আহত হয়েছেন। এটি মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫ শতাংশের বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এসব দুর্ঘটনায় হতাহত ৬১ জন চালক, ৫০ জন পরিবহনের শ্রমিক, ৫৮ জন পথচারী, ৪০ জন নারী, ৩০টি শিশু, ৩২ জন শিক্ষার্থী, ৭ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৫ জন শিক্ষক, ১ জন করে চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং ৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীর পরিচয় মিলেছে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে ও ২৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়।
সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহামারির মতো যাত্রীর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। সড়কে যাত্রীসুবিধা নিশ্চিত ও সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দক্ষ, প্রশিক্ষিত লোকের সমন্বয়ে সঠিক ম্যানেজমেন্ট–ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক আরমানা সাবিয়া হক, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকা আফরোজ, মনজুর হোসেন, জি এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।