Prothomalo:
2025-11-03@07:55:17 GMT

যেভাবে ভালো থাকবে এসি

Published: 23rd, March 2025 GMT

প্রতিটি যন্ত্রেরই চাই যত্ন। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসিও এর ব্যতিক্রম নয়। নিয়মিত দেখভাল করতে হয় এ যন্ত্রটিকেও। এসি রক্ষণাবেক্ষণ আদতে খুব কঠিন কাজ নয়। তবে এ ব্যাপারে দক্ষ পেশাদার ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া উচিত। অদক্ষ হাতে পড়লে যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে। পরে মুশকিলে পড়তে পারেন আপনি।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চিফ বিজনেস অফিসার (এসি) মো.

তানভীর রহমান বলছিলেন, বছরে অন্তত দুবার এসি রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষ ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন। যে প্রতিষ্ঠান থেকে এসি কেনা হয়েছে, সেখান থেকেই সব ধরনের বিক্রয়োত্তর সেবা নেওয়া উচিত। রক্ষণাবেক্ষণের কাজটিও তাদের দিয়েই করানো ভালো। যন্ত্রের ভেতরকার সব ঠিকঠাক আছে কি না, তা যেমন দেখে দেবেন দক্ষ পেশাদার ব্যক্তি, তেমনি তা সতর্কতার সঙ্গে পরিষ্কারও করে দেবেন তিনি।

যেমন যত্ন চাই

এসি রক্ষণাবেক্ষণে বছরের যে দুই সময় পেশাদার ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন, তার একটি হলো গরমের শুরুতে। শীতের সময় দীর্ঘদিন এসি ব্যবহার হয় না। গরমের শুরুতে, এসি ব্যবহার শুরুর আগেই তাই দেখিয়ে নিতে হবে ঘরের ভেতর এবং বাইরের দিকে থাকা এসির সব অংশই। এসির যে অংশ ঘরের বাইরে আছে, সেখানে উচ্চ ভোল্টেজ থাকে। অদক্ষ ব্যক্তির এখানে হাত দেওয়াটা বিপজ্জনক। এই অংশে ময়লা-আবর্জনা জমা হতে পারে। আবার কোনো প্রাণী সেখানে আশ্রয়ও নিয়ে থাকতে পারে শীত মৌসুমে। তাদের সাবধানে সরিয়ে দিতে হবে, যাতে কোনো মানুষের ক্ষতি না হয় এবং প্রাণীটিও নিরাপদে চলে যেতে পারে। মনে রাখবেন, পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য প্রতিটি সৃষ্টিই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার আশপাশে আশ্রয় নিলেও তাদের মারতে নেই। আর প্রচণ্ড গরমের মৌসুম পেরিয়ে গেলে আবার এসির ‘বিশ্রাম’-এর পালা যখন শুরু হবে, তখনো পেশাদার ব্যক্তিকে ডেকে এসির রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি করিয়ে নেবেন।

নিজেদের কিছু দায়িত্ব

মো. তানভীর রহমান জানালেন, তাঁরা তাঁদের গ্রাহকদের এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করার পরামর্শ দেন। কারণ, বাতাসের ধুলাবালি এসির ফিল্টারে জমে যায়। প্রতি মাসে নিজেই এই কাজ করে নিতে পারেন একজন গ্রাহক। বছরের যে সময়ে পেশাদার ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া হয়, প্রয়োজন হলে সেই সময়ই একজন গ্রাহক তাঁর কাছ থেকে এই যত্নের নিয়মটা শিখে নিতে পারেন। বাতাসে অতিরিক্ত ধুলাবালি থাকলে অবশ্য মাসে একবারের বেশিও এই যত্নের প্রয়োজন হতে পারে। যে মৌসুমে এসি ব্যবহার করা হয় না, তখন অবশ্য ফিল্টার পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই।

যত্নের অভাবে...

সঠিকভাবে যত্ন না নেওয়া হলেই যে আপনার এসি দুম করে বন্ধ হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। তবে এসির কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে নিয়মিত যত্নের বিকল্প নেই। গ্রীষ্মের প্রখর রোদে আরামদায়ক ঠান্ডা হাওয়া পেতেই আপনি নিশ্চয়ই এসি কিনেছেন? বাতাসকে ঠান্ডা করে তোলার সেই কাজটাই কিন্তু ব্যাহত হতে পারে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে। এসির বাতাসের প্রবাহ ঠিক রাখতে চাই নিয়মিত যত্ন। এসি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দুর্গন্ধও হয়। বিদ্যুৎ খরচও বাড়ে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, যত্নের অভাবেই বাড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। আকস্মিক দুর্ঘটনার কারণে মারাত্মক কোনো বিপর্যয় ঘটে যাক, এ তো কেউই চান না। তাই নিয়ম মেনে চলার চর্চা করাই ভালো।

এসি চালানোর সময়

বাইরে থেকে ফেরার পর খুব গরম লাগলে কী করেন আপনি? অনেকে হয়তো এমন পরিস্থিতিতে খুব কম একটা তাপমাত্রা ‘সেট’ করে দেন এসিতে। একটু বেশি গরম অনুভব করলেই অনেকে এরকমটা করে থাকেন। এটি কিন্তু আদতে খুব একটা ভালো অভ্যাস নয়। এসি নিঃসন্দেহেই আরামের অনুষঙ্গ। তবে তার মানে আবার এও নয় যে আপনি অন্দরকে অতিরিক্ত ঠান্ডা করে রাখবেন। খুব গরম থেকে এসে অতিরিক্ত ঠান্ডায় কারও কারও শরীর খারাপ করতে পারে। উল্টোটা ঘটলে, অর্থাৎ খুব ঠান্ডা থেকে বাইরের গরম পরিবেশে যাওয়ার প্রয়োজন পড়লেও কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই সব সময় স্বস্তিদায়ক, মাঝারি ধরনের একটা তাপমাত্রায় এসি চালানো উচিত। তা সবদিক থেকেই ভালো। এটি কিন্তু পৃথিবীর প্রতি আপনার দায়িত্বশীলতারও পরিচায়ক। এসির তাপমাত্রা অতিরিক্ত না কমিয়ে বরং এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যানও চালিয়ে নিতে পারেন আপনি। তাহলে ঠান্ডা বাতাসটা ঠিকঠাক ছড়িয়ে পড়বে পুরো ঘরে। আপনি আরাম অনুভব করবেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ই যত ন যত ন র

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যালটে মামদানি, অদৃশ্য ‘প্রার্থী’ ট্রাম্প
  • দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স