পরনে কালো রঙের পোশাক। মাথার চুলগুলো আলগা করে ছেড়ে দেওয়া। কাজলমাখা চোখের দৃষ্টি অজানায় গিয়ে থমকে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ছবিতে এমন লুকে দেখা যায় অপু বিশ্বাসকে।
‘কোটি টাকার কাবিন’ তারকা অপু বিশ্বাস এসব ছবির ক্যাপশনে লেখেন— “ড্রামা কুইন না হয়ে, ডিভা কুইন হও।” ঢালিউড ‘কুইন’ অপু বিশ্বাসকে এমন লুকে দেখে তার ভূয়সী প্রশংসা করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। পাশাপাশি এই ক্যাপশন নিয়েও চলছে সমালোচনা।
“যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো মাণিক-রতন”— আজকাল এই প্রবাদের মতো নেটিজেনরাও প্রতিনিয়ত ‘ছাই’ উড়াইয়া দেখার চেষ্টায় মত্ত থাকেন। অর্থাৎ অপুর এই বক্তব্যকে ‘রহস্যময়’ মনে করছেন তারা। প্রশ্ন উঠেছে— এই খোঁচা কাকে দিলেন অপু?
আরো পড়ুন:
ছোট ছেলের জন্মদিনে শাকিবের শুভেচ্ছা
নতুন ইতিহাস তৈরি করল রিমার্ক: শাকিব
গত শুক্রবার ছিল বুবলী-শাকিবের পুত্র শেহজাদের জন্মদিন। শাকিবের সঙ্গে তোলা শেহজাদের ছবি বুবলী তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তা স্মরণ করে ফাতেমা ইসলাম লেখেন, “সতিনের পোস্ট দেখে উনার আর সহ্য হইতেছে না। ক্যাপসনটা সতিনকে নিয়ে দিছে। কি হিংসুটে বাবারে বাবা!”
নুসরাত লেখেন, “ছোট এক বাচ্চার পিকচার তার বাবার সাথে দেখে শরীরে এত জ্বালা ধরে গেছে…।” সাদিয়া নামে একজন লেখেন, “বুবলী পোস্ট দিয়েছেন, উনারও দেওয়া লাগবেই।” খালেদা লেখেন, “আপনি ড্রামা কুইন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে অপুর পোস্টের কমেন্ট বক্সে। এ নিয়ে নানা ধরনের চর্চা চললেও বুবলী কিংবা অপু কেউিই আলাদা করে কোনো বক্তব্য দেননি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর
* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।
* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।
* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।
শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।
এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।
আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।
গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।
টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল