Samakal:
2025-06-16@01:03:29 GMT

অচেনা ফোনকলে ঝুঁকি!

Published: 23rd, March 2025 GMT

অচেনা ফোনকলে ঝুঁকি!

উৎসব এলেই একদিকে যেমন ডিজিটাল বিকিকিনি বাড়ে, অন্যদিকে তেমনি প্রতারণার ঝুঁকি বেড়ে যায়। হুটহাট অজানা কলে বিভ্রান্ত করে তৈরি করা হয় ডিজিটাল ফাঁদ। উদ্দেশ্য, কীভাবে ডিজিটাল তথ্য হাতিয়ে টার্গেটকে ক্ষতির দিকে টেনে নেওয়া যায়। এমন স্পুফিং কল নিয়ে লিখেছেন সাব্বিন হাসান

বিদেশি বা অচেনা কোনো নম্বর থেকে ফোনকল দৃশ্যমান হলে কলার আইডিতে নিজ দেশের বাইরে সাধারণত (+) সাইন ও বিশেষ কোড সামনে আসে। অনেকের কাছেই আজকাল এমন ফোনকল আসার প্রবণতা বেড়ে গেছে। 
দেশের বাইরের কোনো কোড, যা থেকে বোঝা যায়, ওই নম্বর কোন দেশের, অনেক সময়ে বিশেষ ক্যাটেগরির আইপি নম্বর থেকেও ফোন আসে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিদেশি কোনো জায়গা থেকে ফোন করে প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলার কৌশল নেয়। আবার কখনও অনলাইন গেম, কখনও লটারি জয়ের প্রতিশ্রুতি, অযাচিত ভুয়া হুমকি বা কোনো না কোনো অজুহাতে ফোনকল করা হয়। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কয়েকটি দেশের সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার ইতোমধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতি হলে আদৌ কী করা উচিত, তা জানা থাকা জরুরি।

বিদেশি নম্বর
কললিস্টে +৮৮ নম্বরের বদলে + ১, + ৮৭, + ৯৭ এমন নম্বর থেকে মোবাইলে কল আসতে পারে। এমন কল স্ক্রিনে দৃশ্যমান হলে প্রথমে তা রিসিভ না করার পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। সতর্কতা হিসেবে কলার আইডি অ্যাপ থেকে আগন্তুক নম্বরটি যাচাই করে নিতে হবে। ধারণা পেতে হবে কলটি কোন দেশের কোড নম্বর। ঠিকঠাক বুঝে নিতে হবে নিজের পরিচিত বা দূরের আত্মীয়ের কাছ থেকে এমন নম্বরে ফোনকল আসতে পারে কিনা। অর্থাৎ সন্দেহ হলে কল না ধরাই উত্তম।
অনেক সময় এমন সন্দেহজনক কোনো নম্বর থেকে মিসড কলের আশ্রয় নিতে পারে প্রতারক চক্র। উদ্দেশ্য যেন ফিরতি কল ব্যাক করা হয়। এমন নম্বরে ফোনকল করলে দেখবেন, নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে অজান্তেই নিয়ম ব্যতিরেকে বাড়তি টাকা চার্জ হিসেবে কেটে নেওয়া হয়েছে। কারণ, ওই সব নম্বর প্রিমিয়াম ক্যাটেগরিভুক্ত। তাই সন্দেহ হয় এমন নম্বরে ফিরতি কল করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

কল স্পুফিং কী
বিশেষ ক্ষেত্রে প্রতারক চক্র হয়তো দেশে বসেই ‘কল স্পুফিং’ পদ্ধতিতে বোকা বানানোর কৌশল করে। অর্থাৎ প্রতারক হয়তো রাজধানী বা দেশের কোথাও বসে টার্গেটকে ফোন করছে। কিন্তু নিজের কাছে এমন ফোনকল এলে তাৎক্ষণিক ধারণা হওয়াটা স্বাভাবিক যে কলটি বিদেশি কোনো নম্বর থেকে আসছে। প্রতারক চক্র টার্গেটকে ধরাশায়ী করতে বহুমুখী আর ছদ্মবেশী কৌশলের আশ্রয় নেয়।
সন্দেহজনক নম্বর থেকে ফোন করে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে লটারি জিতেছেন বা বিদেশ থেকে কোনো বন্ধু বলে পরিচয় দিয়ে দামি উপহার পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা বলা হতে পারে। খেয়াল রাখবেন, লোভের ফাঁদে পা না দেওয়াই উত্তম। কারণ, বিষয়টি পুরোপুরি ফাঁদ ছাড়া কিছুই নয়।

ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে আজকাল যেসব প্রতারণা চলছে, বিশেষ ক্ষেত্রে কল স্পুফিং পদ্ধতির ব্যবহার এখন লক্ষণীয়। ওপাশ থেকে বলবে, আপনার নামের পার্সেল বিদেশে আটকে দেওয়া হয়েছে। ঠিক সে কারণেই অনলাইনে তাৎক্ষণিক প্রশ্নোত্তর করতে হবে। আগন্তুক সেসব নম্বর থেকে এমন ফোনকল আসতে পারে। ভয় না পেয়ে তখন ঠান্ডা মাথায় ভেবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে।
আবার সেক্সটরশনের মতো প্রতারণার উদ্দেশ্যে চক্রটি বিদেশি কোড নম্বরের আশ্রয় নিতে পারে। খটকা লাগলে বা উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে পরে www.

justice.gov/criminal/criminal-ccips সাইটে প্রতারণার ঘটনা ও নম্বর যুক্ত করতে পারবেন। এতে অনেক সময় দারুণ সুফল পাওয়া যায়।
কলের মাধ্যমে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া চক্র সাধারণত উৎসবকে লক্ষ্য করে বিশেষ পরিকল্পনা করে।
কারণ, ওই সময়ে ক্রেতাদের নানামুখী ব্যস্ততা থাকে। তাই সব কলকে ঠিকঠাক যাচাই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সুতরাং উৎসবের সময় ডিজিটাল গ্রাহকদের সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ নকল ফ নকল

এছাড়াও পড়ুন:

তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রাম ঘেঁষে তুলশীগঙ্গা নদীর অদূরে সন্ন্যাসতলীর বটতলা। জায়গাটিতে প্রায় একশ বছর আগে থেকে বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার আয়োজন হয় ঘুড়ির মেলা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অন্তত ৫০ গ্রামের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে শুক্রবার সন্ন্যাসতলী ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মেলার দিনক্ষণ মনে রেখে সময়মতো দোকানিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা ভিড় জমান নিভৃত পল্লীতে। আগে মেলার দিন বৃষ্টি হওয়া যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহের মধ্যেই চলে এ আয়োজন। বৈরী পরিবেশের কারণে উৎসবের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, সন্ন্যাসতলীর এ ঘুড়ি উৎসব শুরুর দিন বিকেলে বটতলায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সন্ন্যাস পূজা পালন করেন। তাদের এ পূজা-অর্চনা ঘিরেই মূলত এ মেলার উৎপত্তি। তবে শুরুর কথা কেউ বলতে পারেননি। প্রবীণরা শুধু জানেন, একশ বছরের বেশি সময় ধরে তারা এ মেলার আয়োজন দেখে আসছেন।

মেলার নিজস্ব জায়গা না থাকলেও এর ব্যাপ্তি প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই এক দিনের এ মেলা ঘিরেই জেলার জামালগঞ্জ চারমাথা থেকে ঐতিহাসিক আছরাঙ্গাদীঘি পর্যন্ত রকমারি পণ্যের দোকান বসে। এখান থেকে সংসারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আসবাব থেকে শুরু করে ছোট মাছ ধরার বাঁশের তৈরি পণ্য খলসানি, টোপা, ডালা, চালুন কিনে নেন অনেকে।

সুতার তৈরি তৌরা জাল, গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, বিভিন্ন ধরনের খেলনা, মিষ্টান্ন, প্রসাধনী, মাটির তৈজসপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য ছিল নাগরদোলার ব্যবস্থাও। আর মেলার বড় আকর্ষণ ঘুড়ি ওড়ানো ও বিক্রি। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন ঘুড়ি বিক্রি করতে।

প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি তেমন হাওয়া-বাতাস না থাকায় এবার ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে ঘুড়ি বেচাকেনা ও শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এ উপলক্ষে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীর নিরাপত্তার জন্য মেলায় সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল।

আদমদীঘির শিববাটি গ্রামের ঘুড়ি ব্যবসায়ী সালাম হোসেনের ভাষ্য, সন্ন্যাসতলীর মেলা বড় হওয়ায় তিনি এসেছেন ঘুড়ি বিক্রির জন্য। মেলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ঘুড়ি বিক্রি করতে পেরে তিনি খুশি। জয়পুরহাটের পার্বতীপুর এলাকার ঘুড়ি ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিন ও মজনু সরদার বলেন, পূর্বপুরুষের আমল থেকে এ মেলার কথা শুনে আসছেন তারা।

মেলা উদযাপন ও পূজা কমিটির সদস্য মহব্বতপুর গ্রামের মন্টু মণ্ডল বলেন, মেলাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও এটি আসলে সব ধর্মালম্বীর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। 

মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন হোসেনের ভাষ্য, এক দিনের আয়োজনে যে এত লোকের সমাগম হতে পারে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। মেলায় যেন অনৈতিক কর্মকাণ্ড না হয়, সে ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সতর্ক আছে। মেলায় অনৈতিক আচরণ লক্ষ্য করা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’
  • তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা
  • ভালোবাসার ফ্রেমে মেহজাবীন-রাজীব, পেছনে আইফেল টাওয়ার