চট্টগ্রামে শ্রমিকদের সাড়ে আট ঘণ্টা সড়ক অবরোধ
Published: 24th, March 2025 GMT
বেতন-বোনাসের দাবিতে চট্টগ্রামে প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার নগরীর ফ্রি পোর্ট এলাকায় বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় বন্দর ও পতেঙ্গাগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। আশপাশের এলাকাগুলোতেও দেখা দেয় তীব্র যানজট। বিশেষ করে ইফতারের সময় ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। পরে দাবি পূরণে পুলিশের আশ্বাসের ভিত্তিতে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা।
পুলিশ সূত্র জানায়, জেএমএস গ্রুপের মালিকানাধীন জেএমএস গার্মেন্টস লিমিটেডে কাজ না থাকায় এবং ব্যাংকিং জটিলতার কারণে গত ৪ মার্চ প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের গত ২০ মার্চ আগের মাসের বেতন এবং ২৩ মার্চ ঈদ বোনাস পরিশোধের কথা ছিল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু কোনো শ্রমিক বেতন পাননি। বেপজার আশ্বাস অনুযায়ী, সোমবার সকালে বেতন-বোনাসের জন্য কারখানার সামনে ভিড় করেন শ্রমিকরা। কারখানার গেটে তালা ঝুলতে দেখে ক্ষুব্ধ হন তারা। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ফ্রি পোর্ট মোড় সড়ক অবরোধ করে টানা বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুরের দিকে থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বেতন-বোনাস ছাড়া অবরোধ তুলে নিতে রাজি হননি শ্রমিকরা। অবরোধ চলাকালে নগরীর প্রবেশদ্বার একে খান থেকে নিমতলাগামী সড়কের নয়াবাজার, ফ্রি পোর্ট, কাটগড় পর্যন্ত তীব্র যানজট তৈরি হয়। এছাড়া আগ্রাবাদ থেকে শুরু করে বারিক বিল্ডিং-সল্টগোলা পর্যন্তও যানজট ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় শিল্প পুলিশ জানায়, কারখানার মালিকপক্ষ বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ব্যাংকে ঋণের আবেদন করেছে। ঋণ পেলেই বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হবে। এই আশ্বাসে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দেন।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সুপার মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘আমরা ব্যাংক ও কারখানা মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ হয়ে যাবে আশা করছি।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা