সমকালের ঈদসংখ্যা প্রকাশ উপলক্ষে প্রীতি সম্মিলন
Published: 24th, March 2025 GMT
দেশের প্রথিতযশা লেখক-চিন্তক-শিল্পী-গবেষকদের রচনা এবং শিল্পীদের শিল্পকর্ম ও অলংকরণে সমৃদ্ধ সমকাল ঈদসংখ্যা ২০২৫ এলো বাজারে। গতকাল সোমবার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত জমজমাট ইফতারসন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদসংখ্যা প্রকাশ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, গবেষক ও প্রাবন্ধিক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.
এতে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, কবি ও ঔপন্যাসিক হাসনাত আবদুল হাই, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালিকুজ্জামান, কবি মোহন রায়হান ও কথাশিল্পী নাসরীন জাহান।
ঈদসংখ্যার লেখকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ইরাজ আহমেদ, উম্মে ফারহানা, রেজানুর রহমান, কুমার চক্রবর্তী, সেলিম জাহান, মযহারুল ইসলাম বাবলা, শামীম আমিনুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, মোহিত কামাল, সুমন্ত আসলাম, শাহনাজ মুন্নী, দীপু মাহমুদ, রুমা মোদক, ইমরান খান, কিযী তাহ্নিন, হামিম কামাল, মাহবুব ময়ূখ রিশাদ, মেহেদী উল্লাহ, মণিকা চক্রবর্তী, পিওনা আফরোজ, আবদুস সেলিম, হোসেন আবদুল মাননান, সুরমা জাহিদ, শোয়েব সর্বনাম, ফারুক মঈনউদ্দীন, শাকুর মজিদ, কামরুল হাসান, কাজী আজমিরী, আফরোজা সোমা, আবিদ আনোয়ার, সোহরাব হাসান, নাসির আহমেদ, বিমল গুহ, তুষার দাশ, ফারুক মাহমুদ, আশরাফ আহমদ, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মারুফুল ইসলাম, মারুফ রায়হান, আলফ্রেড খোকন, শোয়াইব জিবরান, তুষার কবির, চঞ্চল আশরাফ, আরিফ মঈনুদ্দিন, মোশতাক আহমেদ, মতিন রায়হান, লোপা মমতাজ, ওবায়েদ আকাশ, মাহমুদ হাফিজ, শাহেদ কায়েস, রাজু আলীম, জুনান নাশিত, আহমদ জামাল জাফরী, নভেরা হোসেন, আলপনা আক্তার, পিয়াস মজিদ, অরবিন্দ চক্রবর্তী, নিজাম বিশ্বাস, নাহিদ ধ্রুব, কে এম আসাদ, মিনাক্ষী বিশ্বাস, রাগীব নাঈম, রফিক আজম, মীর সামী ও আলিফ রিফাত।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সমকালের প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ, উপসম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, সহযোগী সম্পাদক জাকির হোসেন, শেখ রোকনসহ সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজন।
ঈদসংখ্যা হাতে নিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রত্যেকে সমকালের মননশীল ও ঋদ্ধ ঈদ আয়োজনের প্রতি শুভকামনা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, সমকালের ঈদ সংখ্যায় সব ধরনের লেখা থাকে। এবারও এই ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করায় সমকালকে ধন্যবাদ জানাই।
রওনক জাহান বলেন, ‘বিদেশে থাকাকালে দেখেছি বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আলাদা কোনো আয়োজন হয় না। এ দেশে এই রেওয়াজ আছে। আমি ছোটবেলা থেকেই ঈদসংখ্যা পড়ি।’
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ছিল না। কয়েক দশক ধরেই মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের সংগ্রামের নির্যাস থেকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা পাই। একাত্তরের স্বপ্ন চেতনাকে তুলে ধরতে না পারার কারণেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এবারের ঈদ সংখ্যায় আমার লেখা রয়েছে। এই লেখায় অনেক সংগ্রামের কথা তুলে ধরেছি। আমার এক বিদেশি বন্ধু আমাকে নিয়ে একটা বায়োগ্রাফি লিখেছেন। সেই লেখা থেকেই এই সংখ্যায় লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
সমাপনী বক্তব্যে সমকাল সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী বলেন, পত্রিকাকে তাড়াহুড়োর সাহিত্য বলা হয়। ঈদ সংখ্যা হলো ধীরগতির সাহিত্য। এটি প্রকাশ করা হয় পাঠকের কাছে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমক ল ঈদ স খ য ল ইসল ম সমক ল র আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হিন্দু নেতাদের সাক্ষাৎ
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁরা এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।
আজ সোমবার বিকেলে হিন্দু নেতারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যান। এ সময় তাঁদের কাছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি তাঁদের বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে সব সময় দেখা করার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ হয় না। পূজা উপলক্ষে বছরে একবার সামনাসামনি দেখা হয়, কথা বলার সুযোগ হয়।’
হিন্দুধর্মীয় নেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর এক হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ বেড়েছে। সারা দেশে পূজামণ্ডপ তৈরির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
নেতারা বলেন, ধর্ম উপদেষ্টা নিয়মিতভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, মন্দির পরিদর্শন করেন। দুর্গাপূজা উৎসবমুখর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। গতবারের মতো এবারও নির্বিঘ্নে পূজা উদ্যাপন হবে বলে তাঁরা আশা করছি।
এ সময় স্থায়ী দুর্গামন্দিরের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। গত বছরের মতো এ বছরও পূজায় আমরা দুই দিন ছুটি পেয়েছি। এ জন্যও আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। গত বছর ৮ আগস্ট দেশে ফেরার পরপরই আপনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে বলেছিলেন, আমরা সবাই এক পরিবার। আপনার বক্তব্য আমাদের মনে গভীরভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, ‘গত বছর দুর্গাপূজায় ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে আপনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে কড়া পাহারা বসিয়ে পূজা হবে এমন দেশ আমরা চাই না। আমরা প্রথমবারের মতো কোনো সরকারপ্রধানের কাছে এমন বক্তব্য শুনেছি। আমরাও আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত, আমরাও চাই এ আয়োজনে সবাই সহযোগিতা করুক, দেশের সবার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকুক।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে বলেন, ‘আপনি দায়িত্বে থাকাকালীন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করেছেন। আমরা লক্ষ করেছি, এক বছর ধরে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর মিথ্যা কথা, ফেক নিউজ ছড়ানো হচ্ছে। আপনার নেতৃত্বে ধর্ম–বর্ণ–জাতিনির্বিশেষে বাংলাদেশের সব মানুষের কল্যাণ হবে, আমরা সেটাই কামনা করি।’
বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা কল্যাণকর কর্মসূচিগুলো নিশ্চিত করি।’ এ সময় তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও পূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান এবং দুর্গাপূজা ঘিরে যাতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার ও সচিব দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণানন্দ (একক), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজসংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শ্রীশ্রী গীতা হরি সংঘ দেব মন্দিরের সভাপতি বিমান বিহারী তালুকদার, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস, শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ও সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীতা সরকার উপস্থিত ছিলেন।