তখন দিল্লির দলীয় রান ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৬৫ রান। লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে জিততে হলে তখনও প্রয়োজন ৮০ বলে ১৪৫ রান। এরপর অসাধারণ এক ইনিংস খেললেন দিল্লির জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামা আশুতোষ শর্মা। সেখান থেকেই জয় পায় অক্ষর প্যাটেলের দল। আইপিএলে সোমবার (২৪ মার্চ) দিনের একমাত্র ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসকে ১ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে দিল্লী ক্যাপিটালস।

আইপিএলের মঞ্চে আশুতোষের নজর কাড়া এই প্রথম নয়। গত মৌসুমেই পাঞ্জাব কিংসের হয়ে মাঠে নেমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, সুযোগ ও সমর্থন পেলে কী করে দেখাতে পারেন। পাঞ্জাব তাঁকে এই মৌসুমে ধরে রাখেনি। তাতে লাভবান দিল্লি। তারা মেগা নিলাম থেকে ৩০ লক্ষ টাকার আশুতোষকে কেনে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায়।

গতরাতে বিশাখাপত্তনমে টস জিতে লক্ষ্ণৌকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় দিল্লি। একসময় মনে হচ্ছলি আড়াইশো রানের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে অক্ষরের দল। তবে শেষমেশ সুপার জায়ান্টসকে ২০৯ রানে আকটে রাখে দিল্লি।

আরো পড়ুন:

ঈশানের মেইডেন সেঞ্চুরিতে হায়দরাবাদের দুর্দান্ত জয়

কোহলি-সল্টে উড়ে গেল শাহরুখের কলকাতা

৬টি চার ও ছক্কার মারে ৩৬ বলে ৭২ রান করেন মিচেল মার্শ। অন্যফিকে ৬টি চার ও ৭টি ছক্কার মারে ৩০ বলে ৭৫ করেন নিকোলাস পরান। মূলত ২০ রানে ২ উইকেট নিয়ে কুলদ্বীপ যাদবই লক্ষ্ণৌর রান বাড়তে দেননি। যদিও ৪২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে মিচেল স্টার্কই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসার পর, দলগত ১১৩ রানের মাথায় হারায় ২২ বলে ৩৪ রান করা স্টাবসকেও। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২১১ রান তুলে ম্যাচ জেতে একেবারে শেষ ওভারে।

আশুতোষ দিল্লির প্রথম একাদশে ছিলেন না। তিনি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে নেমেই ক্রিজে ঝড় তোলেন এই ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ২৮ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৩১ বলে ৬৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন শর্মা। এমন মারকাটারি ইনিংসে আশুতোষ ৫টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য ট করত উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রেন হ্যাক: স্বাভাবিক হওয়ার পাঁচ উপায় জেনে নিন

আমাদের জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যখন আমাদের মস্তিষ্ক হাল ছেড়ে দিতে চায়— এবং ক্লান্ত বোধ করে। ধীরে ধীরে, আমরা এই পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করতে শিখি, কিন্তু যে কারও জন্য, প্রথম কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চলাফেরা করা কঠিন।এখানে ৫টি উপায় দেওয়া হলো, যার মাধ্যমে আপনি নিজেই নিজের মেজাজ পরিবর্তন করতে পারবেন।

সুগন্ধি পরিবর্তন
আমাদের অনুভূতির ওপর সুগন্ধির এক অনস্বীকার্য প্রভাব রয়েছে। এগুলো আমাদের ভালো স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যে ভালো সময় আমরা আগে কাটিয়েছি এবং আবার যে সময় ফিরে পেতে চাইছি। আর ঘ্রাণতন্ত্র হল আমাদের ঘ্রাণশক্তির জন্য দায়ী সংবেদনশীল ব্যবস্থা।যখন আমরা কোনও ঘ্রাণ শ্বাস নিই, তখন গন্ধের অণুগুলি আমাদের নাকের ঘ্রাণশক্তি রিসেপ্টরের সংস্পর্শে আসে, যা প্রক্রিয়াকরণের জন্য আমাদের মস্তিষ্কে সংকেত বহন করে। যদি এটি আপনার প্রিয় স্মৃতিগুলির সাথে সম্পর্কিত একটি পরিচিত ঘ্রাণ হয়, তাহলে মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি সনাক্ত করবে এবং আপনার মেজাজ পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। সুগন্ধি আমাদের যুক্তিবাদী মনকে এড়িয়ে যায় এবং দ্রুত আবেগগত অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে।

বরফ ছুঁয়ে থাকুন
থেরাপিস্টরা পরামর্শ দেন, বরফ ছুঁয়ে থাকতে। যখন কেউ বরফ ধরে রাখে, তখন মনোযোগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠান্ডা অনুভূতিতে চলে যায়। অসাড় অনুভূতি চাপ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেয় এবং বরফের শীতলতা এবং শরীরের উষ্ণতার মধ্যে পার্থক্য আপনার মনকে বর্তমানের দিকে টেনে আনতে পারে, নেতিবাচক চিন্তাভাবনাগুলোকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

আশপাশের পরিবেশে পরিবর্তন আনুন
কখনও কখনও একই জিনিস এবং মানুষ দ্বারা বেষ্টিত থাকার ফলে আমাদের মন অবচেতনভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আটকে থাকার অনুভূতি তৈরি হতে শুরু করে। অন্য জায়গায় চলে যান—এমনকি যদি তা ঘরের ঠিক ওপারে বা বাইরে এক পাওয়া যায়। আশেপাশের পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তন আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে সতেজ করে তুলতে পারে। হয়তো এই কারণেই বেশিরভাগ ছবিতে, নায়কদের সমুদ্রের ধারে বা খোলা জায়গায় বসে জীবন সম্পর্কে ভাবতে দেখানো হয়।

গভীর শ্বাস নিন
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন, যখনই কেউ চাপে থাকে, তখন আশেপাশের অন্তত একজন ব্যক্তি কেন বলে, "একটি গভীর শ্বাস নাও"? এটি কি আসলেই কাজ করে, নাকি এটি কেবল একটি মিথ?

স্নায়ুবিজ্ঞান পরামর্শ দেয় যে এটি সত্যিই মানসিক চাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। কীভাবে? দ্রুত ‘‘শারীরিক দীর্ঘশ্বাস’’ চেষ্টা করুন - নাক দিয়ে দুটি দ্রুত শ্বাস নিন, তারপরে মুখ দিয়ে একটি দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ুন। এটি আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে দ্রুত শান্ত করে। এই কৌশলটি কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) কমাতে সাহায্য করে এবং শারীরিক উত্তেজনা কমায়।

ইলিজম পদ্ধতিতে নিজের সঙ্গে কথা বলুন
এটা সবসময়ই ঘটে—যখন কোন বন্ধুর পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তখন আমরা পেশাদার হয়ে উঠি, অনানুষ্ঠানিকভাবে 'অনপেইড থেরাপিস্ট' উপাধি অর্জন করি। কিন্তু যখন আমাদের সাথেও একই ঘটনা ঘটে, তখন সেই ভেতরের থেরাপিস্ট কোথায় যায়?
এটি ঘটে কারণ তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে বস্তুনিষ্ঠভাবে কথা বলা সহজ। যখন আপনি কোনও চাপের পরিস্থিতিতে থাকেন বা উদ্বিগ্ন থাকেন, তখন 'আমি'-এর পরিবর্তে আপনার নাম বা 'সে/সে' ব্যবহার করে নিজের সাথে কথা বলার চেষ্টা করুন। এটি আপনার আবেগ এবং চিন্তাভাবনা থেকে একটি মানসিক দূরত্ব তৈরি করে, যার ফলে অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং আরও ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। এই পদ্ধতিটি 'দূরবর্তী স্ব-কথা' বা 'ইলিজম' নামে পরিচিত।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ