আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিটিউটে নার্সিং কোর্স, বিনা মূল্যে থাকা-খাবার
Published: 25th, March 2025 GMT
আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিটিউটে (এএফএমআই) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সে ১৭তম ব্যাচে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ কোর্সের মেয়াদ চার বছর।
সুযোগ-সুবিধা১. এএফএমআইয়ের নির্ধারিত বাসস্থানে বিনা মূল্যে থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে।
২. এএফএমআইয়ের তত্ত্বাবধানে বিনা মূল্যে খাবার রয়েছে।
প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা১.
২. এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত ন্যূনতম জিপিএ–৭.০০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ–৩.০০ এর নিচে গ্রহণযোগ্য নয়।
৩. এইচএসসি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম জিপিএ–৩.০০ থাকতে হবে । যাঁরা O-Level/A-Level পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তাঁদের মার্কশিট বাংলাদেশে প্রচলিত জিপিএতে রূপান্তরিত করে Equivalent Certificate সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড হতে সংগ্রহ করার পর অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৯৪ শতাংশই ফেল৫ ঘণ্টা আগেপ্রার্থীর যোগ্যতা১. বয়স: ১৭ হতে ২২ বছর (০১ জুলাই ২০২৪)।
২. ওজন: ৩৯ দশমিক ৯২ কেজি (৮৮ পাউন্ড) ন্যূনতম।
৩. বুকের মাপ: স্বাভাবিক ৬৬ দশমিক ০৪ সেমি, প্রসারিত ৭১ দশমিক ১২ সেমি ন্যূনতম।
৪. বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত (কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত অবিবাহিত থাকা আবশ্যক)।
আরও পড়ুনইউনিভার্সিটি অব লুক্সেমবার্গের বৃত্তি, স্নাতক–স্নাতকোত্তরে প্রয়োজন নেই আইইএলটিএস৭ ঘণ্টা আগে* ভর্তির আবেদনঅনলাইনে https://www.afmibd.net এই ওয়েবসাইটে (এএফএমআই আবেদনের নীতিমালা দেওয়া আছে) আবেদন করা যাবে। আবেদনের ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা দেখা দিলে সশরীর আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিটিউটে, ঢাকা সেনানিবাসে এসে আবেদন করা যাবে।
* ভর্তির বিস্তারিত তথ্য১. অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
২. প্রবেশপত্র সংগ্রহের তারিখ: ২০ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
৩. MCQ পদ্ধতিতে ১ ঘণ্টার ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
৪. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময়: ২ মে ২০২৫, সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা, শহীদ বীরবিক্রম রমিজ উদ্দিন স্কুল, ঢাকা, সেনানিবাস।
৫. লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডাক্তারি ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।
* বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট: www.afmibd.net
আরও পড়ুনরুয়েটে পিএইচডি-পিজিডি কোর্স, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও সুযোগ৬ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘রাষ্ট্রীয় শোক’ প্রত্যাখ্যান
গণগ্রেপ্তার, নির্যাতন–নিপীড়ন–হয়রানি চলছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির ছয়জন সমন্বয়ক তখনো আটক ছিলেন ডিবি কার্যালয়ে। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারি উদ্যোগে লোকদেখানো ‘রাষ্ট্রীয় শোক’ পালন করা হচ্ছিল ৩০ জুলাই। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের এই কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করে সেদিন ‘মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তোলা এবং তা অনলাইনে প্রচারের কর্মসূচি’ পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এই কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বিচার গুলি ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমর্থনে ২৯ জুলাই রাত (২০২৪ সাল) থেকেই ফেসবুকের প্রোফাইলে লাল রঙের ফ্রেম ব্যবহার শুরু হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী, লেখক, সাংবাদিক, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানান।
ফেসবুকে অভূতপূর্ব সাড়ার পাশাপাশি নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ৩০ জুলাই দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস ও সড়কে মিছিল করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকার করা রিটের শুনানিতে ৩০ জুলাই হাইকোর্ট মন্তব্য করেন ‘এসব মৃত্যু আমাদের সবার জন্যই দুঃখজনক’।
সেদিন দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা। ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’–এর ব্যানারে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (এখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা)। অধ্যাপক আসিফ নজরুল (বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা), টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, মানবাধিকারকর্মী
শিরীন হক, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা ও এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর যে মাত্রায় বলপ্রয়োগ ও সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমণ করা হয়েছে, তা দেশের জনগণ ও বিশ্ববিবেককে স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত করেছে।’
অন্যদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ দেওয়া ও আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ৩০ জুলাই বিবৃতি দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গণ–অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলো সম্পর্কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের (বর্তমানে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক) চলতি জুলাই মাসের ৬ তারিখ রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ২৯ জুলাই (২০২৪ সাল) সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় শোক এবং কালো ব্যাজ ধারণের ঘোষণা দেওয়ার পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। নাছির উদ্দীন তাঁকে রাষ্ট্রীয় কালো ব্যাজের বিপরীতে লাল ব্যাজ ধারণের প্রস্তাব দেন। পরে মো. আবু সাদিক কায়েমকে (ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা) ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন আবদুল কাদের। সাদিকও সম্মতি দেন। নাছির উদ্দীন ও আবু সাদিকের সঙ্গে বারবার আলোচনা করেই মুখে–চোখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তোলা ও তা অনলাইনে প্রচার করার কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছিল।