মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে আরও ৩৯ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান
Published: 25th, March 2025 GMT
মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে আরও প্রায় ৩৯ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান সরকার। এর আগে সাত দফায় এই প্রকল্পে ঋণ ছাড় করেছে জাপান। আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও জাপান সাহায্য সংস্থা বা জাইকার মধ্যে বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
একই অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়াতে ১৯ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সব মিলিয়ে এই দুটি প্রকল্পে পাওয়া যাবে ৫৮ কোটি ডলার।
রাজধানীর ইআরডিতে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে চুক্তিতে সই করেন ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, জাপানের রাষ্ট্রদূত সেইদা সিনিচি ও জাইকার ঢাকা অফিসের প্রধান ইচিগুচি টোমোহাইড। ইআরডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাতারবাড়ী এলাকায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ৫৬ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। জাইকা দিচ্ছে ৪৭ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা।
এর আগে ৭টি পর্যায়ে মোট ৬৫ হাজার ৫৩১ কোটি জাপানি ইয়েনের ঋণচুক্তি হয়েছে। আজকের ঋণচুক্তির মাধ্যমে ৫ হাজার ৭১২ কোটি ইয়েন বা ৩৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণসহায়তা প্রদান করা হবে। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের খাদ্যনিরাপত্তা পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকায় রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, অফিস, প্রশিক্ষণ ভবন এবং চট্টগ্রাম ও খুলনায় ২টি বিভাগীয় পরীক্ষাগারসহ অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পে জাইকা দেবে ২ হাজার ১৯ কোটি টাকা। আজকের ঋণচুক্তির মাধ্যমে ১৯ কোটি ডলার দেবে জাইকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন
চলতি অর্থবছরে বিদেশি ঋণছাড়ে পাল্লা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া। অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সবচেয়ে বেশি ঋণ ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। এই সংস্থাটি দিয়েছে ৩২ কোটি ২২ লাখ ডলার।
এরপরেই আছে রাশিয়া। দেশটি ওই তিন মাসে ৩১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার দিয়েছে। রাশিয়া মূলত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। তবে চীন গত তিন মাসে কোনো অর্থ দেয়নি।
গত বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর (প্রথম প্রান্তিক) মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এবার দেখা যাক, তিন মাসে কারা কত দিল। বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়ার পরে তৃতীয় স্থানে আছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি ছাড় করেছে ১৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এ ছাড়া জাপান ও ভারত দিয়েছে যথাক্রমে ৪ কোটি ডলার ও ৬ কোটি ডলার।
ইআরডির হিসাব অনুসারে, ঋণ শোধ বেড়েছে। পাশাপাশি অর্থছাড় ও প্রতিশ্রুতিও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রায় ১১৫ কোটি ডলার দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ। অন্যদিকে একই সময়ে আগে নেওয়া ঋণের সুদ ও আসল বাবদ প্রায় ১২৮ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এদিকে ঋণ পরিশোধের পাল্লা ভারী হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বরে পরিশোধিত ঋণের মধ্যে ৮২ কোটি ডলার আসল এবং ৪৬ কোটি ডলারের বেশি সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ সরকারকে প্রায় ১১২ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে মাত্র ৯১ কোটি ডলারের।