বিসিআইসি নেবে ১০২ জন, আবেদন করুন দ্রুত
Published: 26th, March 2025 GMT
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন বাফার গুদামগুলোতে নিয়োগের জন্য আবেদন চলছে। ৯ম ও ১০ম গ্রেডে ৬টি ক্যাটাগরির পদে ১০২ জনকে নিয়োগ পাবেন বিসিআইসিতে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
১. পদের নাম: সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন)পদসংখ্যা: ১২
যোগ্যতা: স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা এমবিএ ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (৯ম গ্রেড)
২.পদের নাম: হিসাব কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ১০
যোগ্যতা: বাণিজ্যে (অ্যাকাউন্টিং) স্নাতকোত্তর/এমবিএ (অ্যাকাউন্টিং) ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (৯ম গ্রেড)
আরও পড়ুনবিসিআইসিতে বড় নিয়োগ, পদ ৬৮৯২১ মার্চ ২০২৫৩. পদের নাম: সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক)পদসংখ্যা: ১২
যোগ্যতা: স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা এমবিএ ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (৯ম গ্রেড)
৪. পদের নাম: সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাপদসংখ্যা: ২২
যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর অথবা তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ স্নাতক ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (১০ম গ্রেড)
আরও পড়ুনইউনিভার্সিটি অব লুক্সেমবার্গের বৃত্তি, স্নাতক–স্নাতকোত্তরে প্রয়োজন নেই আইইএলটিএস২৫ মার্চ ২০২৫৫. পদের নাম: সহকারী হিসাব কর্মকর্তাপদসংখ্যা: ২৩
যোগ্যতা: এম কম অথবা তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ বি কম ডিগ্রি অথবা বাণিজ্যে চার বছর মেয়াদি দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (১০ম গ্রেড)
৬. পদের নাম: সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তাপদসংখ্যা: ২৩
যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর অথবা তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ স্নাতক ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (১০ম গ্রেড)
আরও পড়ুনপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে বড় নিয়োগ, পদ ২৫৫২৩ মার্চ ২০২৫যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে।
আবেদন ফি
সাধারণ প্রার্থীদের জন্য টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা। অনগ্রসর নাগরিকদের জন্য ৫৬ টাকা।
আবেদনের সময়সীমা: ২৭ মার্চ পর্যন্ত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১০ম গ র ড কর মকর ত পদ র ন ম পদস খ য ব স আইস য গ যত সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের ঘোষণা
রাজশাহীতে আর্থিক অনিয়ম, অসদাচরণসহ একাধিক অভিযোগে সহকর্মী শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন এবং শিক্ষার্থীদের দিনভর বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. একরামুল হক। আজ রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্যাডে লিখিতভাবে তিনি এ ঘোষণা দেন। আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব ছাড়বেন বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন।
এর আগে সকালে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে একযোগে আন্দোলনে নামেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সহকর্মী শিক্ষকেরা একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও অসদাচরণের নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। এই সময় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহকারী শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক একরামুল হক শিক্ষার্থী ভর্তি ফি, বিদ্যালয়ের পুকুর ইজারা এবং বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়কে পরীক্ষাকেন্দ্র বা ভেন্যু হিসেবে ভাড়া দেওয়ার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কোচিং করানোর কথা বলে ৪০ হাজার টাকা আদায় করলেও কোচিং না করিয়ে পুরো অর্থ তিনি আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া তিনি ক্রয় কমিটিকে পাশ কাটিয়ে এককভাবে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছেন এবং এক নারী সহকর্মীর বিষয়ে প্রধান শিক্ষক অশালীন মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষকদের অভিযোগ, রাজশাহীর এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলেও একরামুল হক নওগাঁর একটি স্কুলের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নওগাঁয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রচার চালিয়েছেন। এ ছাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির ভোটার তালিকা জালিয়াতির মতো গুরুতর অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সহকারী শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিষয়টি সবাই জানেন। শিক্ষার্থীরাও তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ। আমরা কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ চাই।’
শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলনের সময়ই শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। কয়েক দফা অবরুদ্ধ করে রাখে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে দুপুরে প্রধান শিক্ষক মো. একরামুল হক পদত্যাগের লিখিত ঘোষণা দেন।
বিদ্যালয়ের প্যাডে লেখা ঘোষণাপত্রে প্রধান শিক্ষক লিখেছেন, ‘আমি মো. একরামুল হক এই মর্মে অঙ্গীকার করতেছি যে এই বিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় ঝামেলা হওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদত্যাগ করে চলে যাব। আমি সজ্ঞানে ও কারও প্ররোচনা ছাড়াই নিম্নে স্বাক্ষর করলাম।’
এই ঘোষণা পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক একরামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকে ঘেরাও করে রেখেছিল, কোনো সহকর্মী এগিয়ে আসেননি। আমি চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছি। এখানে কাজের পরিবেশ নেই, সবাই আমার বিরুদ্ধে। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।’
এই সময়ের মধ্যে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে বদলি করার জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান প্রধান শিক্ষক একরামুল হক। বিষয়টি তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতিকে জানাবেন বলেও উল্লেখ করেন।
বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আগে থেকেই তদন্তাধীন আছে। তবে আজকের বিক্ষোভ বা পদত্যাগের ঘোষণার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়ে খোঁজখবর নেব।’