ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জনবল নিয়োগের জন্য তিনটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি অস্থায়ীভাবে জনবল নিয়োগে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। ১৯ ক্যাটাগরির পদে মোট ৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোয় যোগ্যতাপূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউ। অনলাইনে পদগুলোর জন্য আবেদন শুরু হয়েছে ২৫ মার্চ থেকে। আবেদন করা যাবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।

পদের নাম ও পদসংখ্যা

১.

অফিস সহায়ক, পদসংখ্যা ১৫, বেতনস্কেল ৮২৫০–২০০১০/–

২. ড্রাফটসম্যান, পদসংখ্যা ১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–

৩. অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, পদসংখ্যা ৬, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–

৪. কার্য সহকারী, পদসংখ্যা ১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–

৫. ট্রেসার, পদসংখ্যা ১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–

৬. নাজির কাম–ক্যাশিয়ার, পদসংখ্যা–১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–

৭. সার্টিফিকেট পেশকার, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–

৮. সার্টিফিকেট সহকারী, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–

৯. মিউটেশন কাম-সার্টিফিকেট সহকারী, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–

১০. অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, পদসংখ্যা-১৬, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–

আরও পড়ুনবিসিআইসিতে বড় নিয়োগ, পদ ৬৮৯২১ মার্চ ২০২৫

১১. হিসাব সহকারী, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–

১২. সার্টিফিকেট সহকারী, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৯৩০০-২২৪৯০/–

১৩. অফিস সহায়ক, পদসংখ্যা-৫, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–

১৪. পরিচ্ছন্নতাকর্মী, পদসংখ্যা-২, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–

১৫. নিরাপত্তা প্রহরী, পদসংখ্যা-৭, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–

১৬. মালি, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–

১৭. বেয়ারার, পদসংখ্যা-২, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–

১৮. বাবুর্চি, পদসংখ্যা-২, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–

১৯. সহকারী বাবুর্চি, পদসংখ্যা-১, বেতনস্কেল ৮২৫০-২০০১০/–

আরও পড়ুনদাখিল পরীক্ষা ২০২৫–এর নতুন রুটিন, বদলে গেল বাংলা প্রথম পত্র–উচ্চতর গণিতের তারিখ১ ঘণ্টা আগেআবেদনের যোগ্যতা

প্রতিটি পদে আবেদনের জন্য আবেদনের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং বয়সসীমার শর্তাবলি জানা যাবে বিজ্ঞপ্তিতে।

চাকরি আবেদনের বয়স

আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১-৩-২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। বয়স প্রমাণের জন্য এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।

আবেদনের নিয়ম

আগ্রহী প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।

আরও পড়ুনবিসিআইসি নেবে ১০২ জন, আবেদন করুন দ্রুত২ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদস খ য র জন য সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ