জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। সাভার থেকে ঢাকায় স্থানান্তরের পর স্বাভাবিক অবস্থায় আছেন তামিম। অল্পস্বল্প সলিড খাওয়া খেতে পারছেন। প্রাথমিক বিপদ কেটে যাওয়ার পর এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন। গতকাল সকাল থেকে অল্পস্বল্প হাঁটা শুরু করেছিলেন।

সাভারের কেপিজে হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ারে স্থানান্তরের পর তার শারীরিক পরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা। সেখানে আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন তারা। খুব বেশি জটিলতা তাদের কাছেও ধরা পড়েনি। শুরুর চিকিৎসা প্রক্রিয়া ভালো হওয়ায় তামিম দ্রুত উন্নতি করছেন বলে মত দিয়েছেন। আপাতত দুয়েকদিন তামিম থাকবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে। এরপর বাসায় ফিরতে পারেন।

তবে উন্নত চিকিৎসা, সেবা এবং রিহ্যাব প্রক্রিয়ার জন্য তামিমকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে চায় পরিবার। এজন্য ভিসা প্রক্রিয়ার কাজও শুরু হয়ে গেছে। সিঙ্গাপুরের ভিসা রয়েছে তার। থাইল্যান্ডের ভিসা করার প্রক্রিয়া চলছে। দুই দেশে তার যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অ্যাপয়েনমেন্ট পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে তার বিদেশ যাত্রা। তবে ভালো খবর, আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় আছেন তামিম।

আরো পড়ুন:

পরিবারের ইচ্ছায় ঢাকায় তামিমকে স্থানান্তর

‘আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি তামিম ইকবাল কিছুই না’

গত (২৪ মার্চ) বিকেএসপিতে ঢাকা লিগের ম্যাচ খেলতে নামার আগে প্রথ‌মে মাইনর ও প‌রে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে’ অজ্ঞান হ‌য়ে পড়েন তামিম। তাকে কে‌পি‌জে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছিল যে, ২২ মিনিট সময় ধ‌রে সি‌পিআর ও তিনটি ডি‌সি শক দি‌তে হ‌য়ে‌ছে। এরপর দ্রুত এন‌জিওগ্রাম ক‌রে শতভাগ ব্লক থাকা একটা আর্টারিতে রিং লা‌গি‌য়ে‌ছেন চিকিৎসকরা। অবিশ্বাস্য গ‌তি‌তে হ‌য়ে‌ছে সব‌কিছু। চিকিৎসকদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সময়মতো হওয়ায় তামিম পেয়েছেন নতুন এক জীবন।

গতকাল রাতে তামিমকে দেখতে হাসপাতাল গিয়েছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একই সময়ে সেখানে হাজির হন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম ম ইকব ল অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা

সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।

সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
  • মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা