একাত্তরের চেতনা বাস্তবায়নের ডাকে পালিত স্বাধীনতা দিবস
Published: 26th, March 2025 GMT
সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে জাতি পাকিস্তান হানাদার ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। তবে বারবার সেই স্বাধীকার আকাঙ্ক্ষা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, স্বাধীনতা হয়েছে হাতছাড়া। কখনও স্বৈরাচার, কখনও ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছে জাতির ওপর।
তবে জাতি বারবার লড়াই করেছে, যার সবশেষ উদাহরণ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান। আর প্রতিটি লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে একাত্তর, আর বারবার ফিরে এসেছে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের ডাক। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর তাই স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৫ তম দিবস পালনকালে আবারও সেই আকাঙ্ক্ষার কথাই উঠে এলো রাজনৈতিক, অরাজনৈতিকসহ আপামর মানুষের কণ্ঠে।
বুধবার (২৬ মার্চ) দিবসের প্রথম প্রহর সকাল ৫টা ৪৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো.
এরপর সকাল ৬টা ৭ মিনিটের দিকে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ৬টা ১৫ মিনিটে তিনি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পরেই স্মৃতিসৌধ এলাকা সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর ফুলের ডালা নিয়ে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।
শিশু থেকে প্রবীণ সব বয়সী মানুষের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শ্রদ্ধা জানান সাধারণ মানুষও। তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ বেদি।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যুদ্ধাহত অনেক মুক্তিযোদ্ধাও আসেন শ্রদ্ধা জানাতে। তাদের অনেকের হাতে ছিল লাল-সবুজের বিজয় পতাকা।
একে একে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ৭১ ও ২৪ এর উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা সুষ্ঠু করা। এজন্য সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “৭১ এ দেশকে জন্ম দিয়েছে, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা। আমরা মনে করি, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছে।”
একই ভাষ্য আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর। তিনি বলেন, “অনেকে বলেন যে একাত্তর এবং চব্বিশ কি এক? না, অবশ্যই এক না। একাত্তর ছিল স্বাধীনতার সংগ্রাম, আর চব্বিশ হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতার অর্জনকে পুনঃস্থাপন করার সংগ্রাম।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান এবং আমাদের একাত্তরের সংগ্রাম, আমাদের সাতচল্লিশের আজাদির লড়াই—এই সবকিছুর ভেতর দিয়ে আমরা যে স্বাধীন, সার্বভৌম, মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্র পেতে চেয়েছিলাম, তার একটি সুযোগ ও সম্ভাবনা আমাদের গণ–অভ্যুত্থানের পর তৈরি হয়েছে। একাত্তরের স্বাধীনতা ও চব্বিশের স্বাধীনতা পরস্পরবিরোধী নয়, আমরা সেই ধারাবাহিকতাতেই আছি।’’
আর বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বললেন, ‘‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্ব সংগঠিত হয়েছে। এখন দ্বিতীয় পর্বের লড়াই চলমান।’’
দেশে বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে চলমান শঙ্কা নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মন্তব্য, “এমন সময় যদি কখনও আসে জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন পড়ব/, তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাব। এখানে কোনো ভুল নাই। এখন দলীয় আদর্শিক স্বার্থে হয়তো আলাদা কথা বলছি, হতে পারে। কিন্তু যখন প্রয়োজন হবে, তখন বাংলাদেশের জনগণ এক হয়ে যাবে।”
একই কথা বললেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “জনগণের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করতে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর কোনো উপায় নেই।”
এদিকে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের অভিযোগ, “গত সাড়ে ১৫ বছর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে একপেশে করা হয়েছিল। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সেইরকম একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।”
অন্যদিকে সংস্কারের বিষয়ে উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সিপিবি ও গণসংহতি।
নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘‘আমরা বারবার বলছি, সংস্কারের অনেকগুলো জায়গা আছে। কিছু নির্বাচনের আগেই নির্বাহী আদেশে সংস্কার করা সম্ভব। আবার অনেকগুলো সংস্কারের প্রশ্নে যেগুলো মৌলিক কাঠামোগত, এগুলো আসলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের করতে হবে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া সংবিধান পরিবর্তন করা আসলে কঠিন।’’
আর দ্রুত নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, “ভালো সংস্কার করে নির্বাচন ডিসেম্বরে কেনো তার আগেই বাংলাদেশে সম্ভব বলে আমরা মনে করি।”
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ বড় ইসলামীক সংগঠনগুলোর কোনো তৎপরতা এদিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে দেখা যায়নি।
স্বাধীনতা দিবস পালনকালে একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনারও সাক্ষী হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এদিন লাল পতাকা হাতে একদল লোক আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করেছেন। এ সময় উপস্থিত জনতা তাদের ধাওয়া দেয় এবং কয়েক জনকে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির জানান, আনুমানিক সকাল ১১টার সময় ৫/৬ জন জাতীয় স্মৃতি সৌধে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন। এমন অভিযোগে তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশ আটক করে।
গতবছরের তুলনায় এবছর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা লোকজনের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম ছিল। সকাল ১০টা পর্যন্ত মানুষের ঢল থাকলেও পরে উপস্থিতি কমতে থাকে। বিকেল ৫টার দিকে স্মৃতিসৌধের ফটক বন্ধের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা। দিনভর এ আনুষ্ঠানিকতায় নিরাপত্তা দিতে নিয়োজিত ছিল প্রায় ৪ হাজার পুলিশ সদস্য।
ঢাকা/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র গণঅভ য ত থ ন স ব ধ নত উপদ ষ ট ব রব র আম দ র র জন ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ড. ইউনূস অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেননি, আমাদের হাতে বিপ্লবের দলিল নেই: ফরহাদ মজহার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গণঅভ্যুত্থানের ফসল কিন্তু নেতা নন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার। ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শক্তি, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ এক হয়ে লড়েছিল। কিন্তু ড. ইউনুস আমাদের জুলাই ঘোষণাপত্র দেননি। এজন্য আমাদের হাতে বিপ্লবের কোনও দলিল নেই। ড. ইউনূস জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে দেননি। এটা তিনি মহাভুল করেছেন। আগামী দিনে জনতাকে এর ফল ভোগ করতে হবে।
সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘গণঅভ্যুত্থান : বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক সভাটি আয়োজন করে সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ।
গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র না থাকায় আমরা দুর্বল হয়েছি উল্লেখ করে এই চিন্তক বলেন, এই অভ্যুত্থানের গণ অভিপ্রায় হচ্ছে গণসার্বভৌমত্ব। এর প্রথম ধাপ হবে সংবিধানে গণসার্বভৌমত্ব উল্লেখ করা। কিন্তু আমরা হাসিনার সংবিধানটাই ছুড়ে ফেলতে পারিনি। এর বদলে আমরা করেছি একটি সংস্কার কমিশন। এর নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তারা অভ্যুত্থান যারা ছিলেন না তারা। কমিশনগুলো জনগণের কাছে থেকে তাদের কথা শোনেনি। এতে আমরা ক্রমশ দুর্বল হয়েছি। ফলে, যারা আপনাদের অশান্তিতে রেখেছে আপনারা তাদের বিচার করতে পারবেন না। তাই গণ সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাষ্ট্রে নতুন স্বাধীন গঠনতন্ত্র লাগবে।
জনগণের সার্বভৌমত্বকে মূল্যায়ন করে বর্তমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং নতুন সংবিধানে তিনটি বিষয় উল্লেখ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ৭২ সালের সংবিধান জনগণ করেনি। ৭১ এর ১০ এপ্রিলের ঘোষণাপত্রের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার বাদ দিয়ে ‘সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ’সহ ৪টি মূলনীতি করা হয়েছিল। এই সংবিধানকে বাতিল করে জনতার অভিপ্রায়ের নতুন গঠনতন্ত্র চাই। জনতার অভিপ্রায়ের জন্য ৩টি বিষয় সংবিধানে উল্লেখ করতে হবে।
দাবি তিনটি হলো- প্রথমত, রাষ্ট্র এমন কোন আইন বা নীতি করতে পারবে না যাতে ব্যক্তির অধিকার হরণ করা হয়। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্র এমন কোন আইন বা নীতি করতে পারবে না যাতে প্রাণ- প্রকৃতি- পরিবেশ ধ্বংস হয়। তৃতীয়ত, রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা নীতি গ্রহণ করতে পারবে না যাতে জীবন ও জীবিকা ধ্বংস হয়।
পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও সেখানে ধর্মের প্রসঙ্গে চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার বলেন, আমরা আধুনিক জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রে ইসলামের খোঁজ করি। আধুনিক রাষ্ট্র ক্যাপিটাল দিয়ে চলে। আমরা সারাক্ষণ ক্যাপিটালের অধীনে থাকি। পুঁজিবাদের অধীনে থেকে ধর্ম প্রতিষ্ঠা হবে না। আগামী দিনের লড়াই হবে এই পুঁজির বিরুদ্ধে। এই লড়াইয়ে জাতীয়তাবাদে বিভক্ত করে আলাদা হওয়া যাবে না। কারণ দুনিয়াতে জাতীয়তাবাদের যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে। এই সময়ের লড়াই হবে সেটা পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে, সেখানে কোনও জাতিবাদ থাকবে না।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান বলতে আসলে কী বুঝায়, এটা আসলে আমাদের সমাজে পরিষ্কার ধারণা নেই। সর্বশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সামনের সাড়িতে অনেক মেয়ে ছিল, কিন্তু তারা হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেল? তারা আর রাজপথে নেই। কারণ, তারা রাজপথে আর নিরাপদবোধ করছে না। আমাদের দেশের জনগণের মধ্যে রাষ্ট্র আর সরকারের পার্থক্য স্পষ্ট না। ফলে দেশ সামনের দিকে এগোতে পারছে না।
দেশে স্টারলিংক আনার সমালোচনা করে লেখক ফরহাদ মজহার বলেন, ড. ইউনুস স্টারলিংক দেশে এনেছেন। এতে কী লাভ হবে? আপনার নিরাপত্তা, আপনার সিকিউরিটি কোনও কিছুই আর আপনার থাকবে না। সবকিছু ইলন মাস্ক জানবে। আর ইলন মাস্ককে জানেন তো? তিনি ট্রাম্পের সমর্থক। আর ট্রাম্প ইসলাম ঘৃণা করেন। উনি ঘোরতর ইসলামবিরোধী। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের কথা বলে ভাবছেন- আমি চাকরি পাবো! অনেক বেতন পাবো!
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসঊদ। উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আফরিনা আফরিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকি।