৯ দিনে চার ম্যাচ খেলবে বার্সা, কীভাবে সম্ভব
Published: 27th, March 2025 GMT
বুধবার সকালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন রাফিনিয়া। সেই ম্যাচের পর আজ রাতে ফের বার্সেলোনার হয়ে ওসাসুনার বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচে মাঠে নামার কথা ছিল তাঁর। বলা বাহুল্য, এত তাড়া নিয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল না বার্সার হয়ে দারুণ ছন্দে থাকা রাফিনিয়ার।
ফলে বাধ্য হয়েই স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়েছে তাঁকে। শুনতে অবাক করার মতো হলেও ফুটবলের নতুন বাস্তবতা এমনই। শুধু এটুকুই নয়, বার্সা ৯ দিনের মধ্যে খেলবে ৪ ম্যাচ। কিছুটা অবিশ্বাস্য ও অসম্ভব মনে হলেও এটাই এখন বাস্তব।
আজ রাতে বার্সা-ওসাসুনা ম্যাচের কথা তো আগেই বলা হয়েছে। এই ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল ৮ মার্চ। কিন্তু বার্সেলোনা দলের চিকিৎসকের মৃত্যুতে স্থগিত হয় সেই ম্যাচটি, যা মাঠে গড়াবে আজ রাতে।
আরও পড়ুনঘুরে দাঁড়ানো কাকে বলে দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা১৭ মার্চ ২০২৫এরপর ৩০ মার্চ রাত ৮টা ১৫ মিনিটে আবার মাঠে নামবে বার্সা। লা লিগার সেই ম্যাচে বার্সার প্রতিপক্ষ জিরোনা। এরপর ২ এপ্রিল রাতে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্সা খেলবে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। হাইভোল্টেজ সেই ম্যাচের পর ৫ এপ্রিল আবার মাঠে নামবে কাতালান ক্লাবটি। সেই ম্যাচটিতে তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল বেতিস।
অর্থাৎ ২৮ থেকে ৫ এপ্রিল—এই ৯ দিনের মধ্যে বার্সাকে খেলতে হবে ৫ ম্যাচ। বেশ চ্যালেঞ্জিংই বটে। বিশেষ করে মৌসুমের শেষ দিকে এসে অল্প সময়ের ব্যবধানে চারটি ম্যাচ খেলা সহজ নয়। এ ম্যাচগুলোর জন্য খেলোয়াড়দের ফিট রাখা, মানসিকভাবে সেরা অবস্থায় রাখা এবং জয়রথ ধরে রাখা বেশ কঠিনই বটে।
আরও পড়ুনযে ক্লাসিকোয় বার্সার কাছে ৬৩ গোল খেয়েছে রিয়াল০৭ মার্চ ২০২৫লা লিগায় এবার দেখা যাচ্ছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ২৭ ম্যাচ শেষে রিয়ালকে টপকে বার্সা শীর্ষে থাকলেও দুই দলের পয়েন্ট কিন্তু সমান। শুধু হেড টু হেডের কারণে রিয়ালের ওপরে আছে বার্সা। অর্থাৎ এ মুহূর্তে প্রতিটি ম্যাচই একরকম ফাইনালের মতো। ফলে এমন পরিস্থিতিতে টানা এতগুলো ম্যাচ খেলা মোটেই আদর্শ কিছু নয়।
এমন ঠাসা সূচি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি নন বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। ওসাসুনার ম্যাচের আগে তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার প্রতিক্রিয়া নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমার মনে হয়, এটা ভালো নয়। খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের হয়ে কেবলই খেলেছে। কিন্তু এখন আমাদের এই ম্যাচটি খেলতে হচ্ছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।