শেরপুর থেকে আত্মসাৎ করা ২০ টন আটাভর্তি ট্রাক ঝিনাইদহে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
Published: 28th, March 2025 GMT
বগুড়ার শেরপুর থেকে আত্মসাৎ করা ৫০ কেজি ওজনের ৩৯৮ বস্তা আটাভর্তি একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে অভিযান চালিয়ে মালামালভর্তি ট্রাকটি জব্দ করা হয়।
একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ট্রাকচালক ও তাঁর সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের গড়েরবাড়ি গ্রামের ট্রাকচালক বেলাল হোসেন (৪০) ও তাঁর সহকারী একই ইউনিয়নের টোলার গেট এলাকার মো.
থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, আটাভর্তি ট্রাক আত্মসাতের ঘটনায় গত বুধবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ট্রাকের মালিক কাওছার আহমেদ। তাঁর বাড়ি শেরপুরের গড়েরবাড়ি গ্রামে।
শেরপুর থানার পরিদর্শক (এসআই) সাঈফ আহমেদ বলেন, গত সোমবার দুপুরে উপজেলার দড়িমুকন্দ বাজারের ব্যবসায়ী শামীম শেখের (৫৮) গুদাম থেকে ৩৯৮ বস্তা আটা নিয়ে গ্রেপ্তার ট্রাকচালক ও তাঁর সহকারী বগুড়ার নন্দীগ্রামে একটি কারখানার উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু মালামাল গন্তব্য না নিয়ে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তাঁরা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নিয়ে যান। এ ঘটনায় বুধবার থানায় অভিযোগ দিলে ট্রাকচালক ও তাঁর সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে কালীগঞ্জ পৌরসভার একটি সড়কের ওপর থেকে মালামালভর্তি ট্রাকটি জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, এ কাজে তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত ট্রাকচালক ও তাঁর সহকারীকে গ্রেপ্তার করার পর মালামাল ও ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’