Risingbd:
2025-08-01@03:57:09 GMT

ঈদে তারকারা কে কোথায়?

Published: 31st, March 2025 GMT

ঈদে তারকারা কে কোথায়?

ঈদ আনন্দ পরিবার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ব্যস্ত শহর ছেড়ে গ্রামে পাড়ি জমিয়েছেন অনেকে। তারকাদের কেউ কেউ বিদেশে উড়ে গিয়েছেন। চলুন জেনে নিই, কোন তারকা কোথায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। 

সাদিয়া ইসলাম মৌ
ঈদের ছুটিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন জনপ্রিয় মডেল-নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ। বছরজুড়ে ব্যস্ত থাকায় ঈদের সময়ে একটু অবসর পান। সেভাবেই পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। মৌ বলেন, “ঈদের ছুটিতে ঢাকায় আছি। এই ঈদে আমার অভিনীত দুটি নাটক প্রচার হওয়ার কথা। আশা করি, দর্শকরা ভালো কিছু দেখতে পাবেন। আমার মেয়ে দেশের বাইরে পড়াশোনা করছে। ঈদের দিন ওকে মিস করছি।” 

জয়া আহসান
টানা শুটিং করেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছুটির মুডে আছেন। ঢাকার বাসায়ই পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন। জয়া আহসান বলেন, “বাসায় সবাই মিলে আমার অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘জিম্মি’ দেখব। ঈদে প্রতিটা বাড়িতে যা রান্না হয়, আমাদের বাসাতেও সেটা রান্না হয়। তবে ঈদের দিন আমার বাসার আশপাশের বাচ্চাদের মাংস-ভাত খাওয়াব। এটা আমি তাদের জন্য নিজে হাতে রান্না করি। ঈদের দিনটা ওরা খাবে না আমি খাব, এটা ভাবতেই পারি না।” 

আরো পড়ুন:

ঈদের আগে উড়াল দিলেন ফারিণ

হুইলচেয়ারে বসে কেন প্রিমিয়ারে মোশাররফ করিম?

আজমেরী হক বাঁধন
ঈদুল ফিতর ঢাকায় উদযাপন করছেন আজমেরী হক বাঁধন। এ অভিনেত্রী বলেন, “ঢাকায় মা-বাবা, মেয়ে ও পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছি। ছোটবেলায় ঈদের জন্য বড়সড় পরিকল্পনা করতাম। এখন মেয়ে পরিকল্পনা করে, এটা ভালো লাগে। ঈদে যারা গ্রামে গিয়েছেন, তাদের ঈদ বেশি আনন্দের হোক এটাই প্রত্যাশা করি।” 

জাকিয়া বারী মম
রাজধানী ঢাকায় কাটছে লাক্স তারকা অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মমর ঈদুল ফিতর। তার মা, ভাই ও ভাবি হজে গিয়েছেন। ফলে, তাদেরকে মিস করছেন। মম বলেন, “মা-ভাই-ভাবি ফিরে এলেই মূলত আমার ঈদ শুরু হবে। তাই আপাতত বড় কোনো পরিকল্পনা করিনি।” 

পরীমণি
দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। তার ঈদের আনন্দ দুই সন্তানকে ঘিরেই। এই চিত্রনায়িকা বলেন, “আমার সব আনন্দের মূলে ওরা দুজন। ঈদের আনন্দও ওদের নিয়েই। ঈদের ছুটিতে ঢাকাতেই আছি। সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে যেতে পারি। তবে নানাকে মিস করছি। আমার নানাভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন।” 

তাসনিয়া ফারিণ
ঈদুল ফিতরের আগে যুক্তরাজ্যে উড়ে গিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তার স্বামী শেখ রেজওয়ান যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে বসবাস করেন। স্বামীর সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে দূরদেশে উড়ে গিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে যাওয়ার আগে স্বামীর জন্য লাগেজ ভর্তি জিনিসপত্র নিয়েছেন এই শিল্পী। 

তানজিম সাইয়ারা তটিনী
এ সময়ের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী তটিনী। অন্য তারকাদের মতো ঈদুল ফিতর ঢাকায় উদযাপন করছেন না। বরং নিজ বাড়ি বরিশালে গিয়েছেন; যেখানে তার শৈশব কেটেছে। এই অভিনেত্রী বলেন, “বরিশালে আমার অনেক স্মৃতি। ব্যস্ততার কারণে কয়েকবছর যাওয়া হয়নি। এবার আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম ঈদের ছুটিতে বরিশাল যাব, কয়েকটি দিন কাটাব। বরিশাল আমার প্রিয় শহর। এখানে আমার নানাবাড়ি-দাদাবাড়ি।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র ঈদ র ছ ট ত ন করছ ন বর শ ল র জন য আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে পাকিস্তানের জার্সি ঢাকতে বলার ঘটনায় ক্ষমা চাইল ল্যাঙ্কাশায়ার

ইংল্যান্ড–ভারত টেস্ট সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানের জার্সি পরে খেলা দেখতে বসেছিলেন এক দর্শক। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা জার্সিটি ঢাকতে বলার পর সেই দর্শক তা না করায় তাঁকে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব। ওল্ড ট্রাফোর্ড ল্যাঙ্কাশায়ারের ঘরের মাঠ।

সংক্ষিপ্ত সংস্করণে পাকিস্তানের সবুজ রংয়ের জার্সি পরে মাঠে গিয়েছিলেন ফারুক নজর নামের সেই দর্শক। ঘটনাটি তিনি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার পর এ নিয়ে আলোচনার ঝড় শুরু হয়।

আরও পড়ুনওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানি জার্সি পরা নিয়ে বিতর্ক, তদন্তে ল্যাঙ্কাশায়ার২৮ জুলাই ২০২৫

ভিডিওতে দেখা যায়, এক নিরাপত্তারক্ষী নজরকে জার্সিটি ঢাকতে বলছেন। সেই নিরাপত্তারক্ষী ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে কাজ করেন বলে পরিচয় দেন। ফারুককে তিনি বলেন, জার্সিটি ঢাকতে বলার জন্য ‘কর্তৃপক্ষ’ তাঁকে পাঠিয়েছেন। তবে তাঁর কথায় ফারুক রাজি হননি। এরপর পুলিশ কর্মকর্তাদের সহায়তায় ফারুরকে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়া হয়।

ল্যাঙ্কাশায়ারের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘(স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার কাজে) দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সঙ্গে অগ্রহণযোগ্য ব্যবহার করায় স্টুয়ার্ড ও পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁকে স্টেডিয়াম থেকে চলে যেতে বলেন।’ গত রোববার টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে এই ঘটনা ঘটে।

ল্যাঙ্কাশায়ার এর আগে জানিয়েছিল, এই ঘটনার তদন্ত করা হবে। অভ্যন্তরীণ তদন্ত শেষে ক্ষমা চেয়ে ক্লাবটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া, তা পর্যালোচনা করা হবে।’

ল্যাঙ্কাশায়ারের ব্যাখ্যায় বলা হয়, টেস্টের চতুর্থ দিনে অর্থাৎ শনিবার ভারত ও পাকিস্তান সমর্থকদের মধ্যে অন্য একটি ঘটনা ফারুক নজরের বিষয়টি ওভাবে সামলানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। ক্লাবটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রথমে একটি বিষয় আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, স্রেফ পাকিস্তানের জার্সি পরে আসায় কাউকে বের করে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না। শনিবার একটি ঘটনার কারণে বিষয়টি সামলানো হয় ওভাবে। একদল সমর্থক পাকিস্তানের পতাকা ওড়ান, তাতে কাছাকাছি থাকা ভারতের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। আমাদের তত্ত্বাবধায়ক সম্মানের সঙ্গে পতাকা সরিয়ে রাখার কথা বলে ঘটনাটা আর বাড়তে দেননি। তাঁরাও (সমর্থক) কোনো প্রকার সন্দেহ ছাড়াই সেটা (পতাকা নামিয়ে ফেলা) করেছেন।’

সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস (ডব্লুসিএল) টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। এর মধ্যে একটি সেমিফাইনাল এবং আফ্রিদি–হাফিজদের বিপক্ষে সেই ম্যাচ খেলায় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় যুবরাজ–হরভজনদের।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রোববার আমাদের (নিরাপত্তা) দল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়। আমাদের কাছে নিরাপত্তাই আগে। কোনো উত্তেজনা যেন তৈরি না হয় এবং তাঁর (ফারুক নজর) নিজের স্বার্থে গ্যালারিতে আমাদের (নিরাপত্তা) কর্মী ভদ্রভাবে জার্সিটি ঢেকে রাখার কথা বলেন। কয়েকবার অনুরোধের পরও তিনি বার বার অসম্মতি জানান।’

আরও পড়ুনওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানি জার্সি নিয়ে বিতর্ক: খাজার প্রশ্ন, জার্সি ঢাকতে বলাটা কি বৈধ২৯ জুলাই ২০২৫

ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্কে কয়েক বছর ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত মে মাসে দুই দেশের সামরিক সংঘাতের পর সেই উত্তেজনা আরও তীব্র হয়। এই টানাপোড়েনের ছায়া পড়েছে দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কেও।

২০১৩ সালের পর আর কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেনি ভারত-পাকিস্তান। টেস্ট ক্রিকেটে মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা আরও পুরোনো, ২০০৭ সালে। এমনকি বৈশ্বিক ও মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার সময় একে অন্যের দেশে গিয়ে খেলাতেও তৈরি হয়েছে জটিলতা। ফলে সম্প্রতি দুই দলের ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করতে হচ্ছে ‘হাইব্রিড মডেলের’ অংশ হিসেবে।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে টেস্টটি ড্র হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ