Prothomalo:
2025-09-18@06:01:38 GMT

যেভাবে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারি

Published: 31st, March 2025 GMT

ঈদ ঘনিয়ে এসেছে, সারা বিশ্বের মুসলিমরা ঈদ উদ্‌যাপন করতে চলেছেন, কিন্তু এটাও ঠিক যে মুসলিম জাতির একটি অংশ এই সময়েও ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের মধ্যে যারা শান্তি ও সমৃদ্ধির মধ্যে আছি, তারা কি এজন্য অপরাধবোধে ভুগবেন নাকি ঈদ পালন করবেন?

ঈদ উল-ফিতর এমন একটি সময় যখন ফিলিস্তিনে মুসলমানরা নির্মম দখলদারদের হাতে নিপীড়িত হচ্ছে, উইঘুর মুসলমানরা চীনে রমজান পালন করতে পারছেন না, দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যার কারণে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে…। এ তালিকা আরও দীর্ঘ। তাহলে যারা শান্তি, স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তায় আছি, তাদের কী করা উচিত? যখন আমরা দেখি যে পুরো বিশ্ব যেন আগুনে পুড়ে যাচ্ছে, তখন ঈদ উদ্‌যাপন করতে যাওয়া কি সঠিক হবে?

তাহলে আমরা কীভাবে ঈদ উদ্‌যাপন করব?

এমন প্রশ্ন অনেকর মনে আজকাল ঘুরপাক খেতে থাকে। মনে রাখবেন, আমাদের দুঃখ ভারাক্রান্ত হওয়া বা ঈদের আনন্দ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করাটা পৃথিবীর কোনো ক্ষতের উপশম করবে না। সবকিছু সংশোধন করে দেবে না। বিশ্বের সমস্যাগুলোর প্রতি উদ্বেগ থাকার কারণে আমাদের সুখী হওয়ায় কোনও বাধা সৃষ্টি করবে না।

আরও পড়ুনঈদ যেভাবে এল১১ এপ্রিল ২০২৪

আসুন, আমরা কয়েকটি কিছু বিষয় দেখি, যা হয়তো আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ ঈদ পালনে সাহায্য করবে।

১.

আপনার সুখ পর্যালোচনা করুন: আপনি কি আপনার জীবনের নেতিবাচক দিকগুলো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং ইতিবাচক দিকগুলো কম? এটা সত্য যে, পৃথিবীতে অনেক কষ্ট জমা হয়েছে। কিন্তু মুসলিম হিসেবে হেদায়াত পাওয়ায় আমাদের অনেক কৃতিত্বও রয়েছে। পৃথিবীকে সমৃদ্ধকরণে আমাদের অনেক অবদান আছে। আমরা সেগুলো ভেবে সুখী হতে পারি।

২. অন্যের সমস্যার প্রতি ‘যত্ন’ নেওয়া: সহানুভূতি মানে হলো, অন্যদের অনুভূতি শেয়ার করা। তবে এর অর্থ এটি নয় যে, আমরা তাদের সমস্যার বোঝা নিজের ওপর চাপিয়ে দেব। সহানুভূতি হলো এমনভাবে অন্যদের অনুভূতি অনুভব করা যাতে তাদের কষ্ট বুঝতে পারি, তারপর আমরা সাহায্য করার জন্য কিছু করার চেষ্টা করি।

৩. বাস্তব পদক্ষেপ নিন: কাছের দুঃখী মানুষদের দান করুন। দেখবেন, আপনার চারপাশের মানুষও অনেক কষ্টে আছে, তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে যান। প্রয়োজনে সামাজিক মাধ্যমে সচেতনতা ছড়িয়ে দিন, অন্যদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলুন। যারা কষ্ট পাচ্ছেন তাদের জন্য আন্তরিক দোয়া করুন, আল্লাহই সেরা পরিকল্পনাকারী।

৪. অন্যদের উজ্জীবিত করুন: সংগ্রামের গল্প শুনিয়ে আমরা চাইলে অন্যদের উজ্জীবিত করতে পারি। যারা সংগ্রাম করছেন, তাদের স্মরণ করি। তাদের মতো হতে চেষ্টা করি। পরিবারের সদস্যদের, শিশুদের সামনে বড়দের সংগ্রামের গল্প বলি।

৫. কৃতজ্ঞ থাকুন: দুঃখ বা অপরাধবোধে না ভুগে আলহামদুলিল্লাহ বলুন। আল্লাহর সমস্ত অনুগ্রহের জন্য তার শোকর আদায় করুন, কেননা, এখনো তিনি আপনাকে ভালো রেখেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তাহলে তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদের স্মরণ করব, এবং আমাকে কৃতজ্ঞতা জানাও, কখনো অবিশ্বাস করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫২)

এভাবে ভাবলে ইনশা আল্লাহ, আমরা সবাই একটি ভারসাম্যপূর্ণ ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারব।

 সূত্র: মুসলিম ম্যাটার্স

আরও পড়ুনঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ম১০ এপ্রিল ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র অন আম দ র আল ল হ র সমস

এছাড়াও পড়ুন:

শূন্যের দুনিয়ায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ওপরে কেউ নেই

পাকিস্তান দলে সাইম আইয়ুবের ভূমিকাটা কী? এটা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হতে পারেন। কারণ, এই ওপেনার এশিয়া কাপে তিন ম্যাচ খেলে এখনো রানের দেখা পাননি। টানা তিন ম্যাচেই আউট হয়েছেন শূন্য রানে। অথচ এই সাইমই বল হাতে নিয়েছেন ৬ উইকেট—পাকিস্তান দলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি!

পাকিস্তান দলের কোনো ক্রিকেটারের টানা তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। পাকিস্তানের আরেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আবদুল্লাহ শফিক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা চারবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

সাবেক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজও একবার টানা তিন শূন্যের তিতা স্বাদ পেয়েছেন। সেটি সাইমের মতোই ওপেনিংয়ে নেমে। এ দুজন ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ওপেনার হিসেবে টানা তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

চলতি বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাইম শূন্য রানে আউট হয়েছেন পাঁচবার। চলতি বছর যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ এবং এই তালিকায় পাকিস্তান ওপেনারকে সঙ্গ দিচ্ছেন আরেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান—হাসান নেওয়াজ। তিনিও চলতি বছর পাঁচবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। হাসান (২২) যদিও সাইমের (১৭) চেয়ে ৫ ইনিংস বেশি খেলেছেন।

৫চলতি বছরে পাঁচবার শূন্যতে আউট হয়েছেন সাইম।

সাইম সব মিলিয়ে পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আটবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন, যা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ১০বার পাকিস্তানের হয়ে শূন্য রানে আউট হয়েছেন উমর আকমল। আটবার শূন্য রানে আউট হয়ে সাইমের পাশে শহীদ আফ্রিদি। তবে আফ্রিদি খেলেছেন ৯০ ইনিংস, সাইম ৪৪।

আরও পড়ুনপাকিস্তানি খেলোয়াড়ের থ্রো লাগল আম্পায়ারের মাথায়, এরপর যা হলো২ ঘণ্টা আগে

আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে ২০২৫ সালে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ২১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা ১১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। চলতি বছর বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চারবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন।

পারভেজ হোসেন চলতি বছর চারবার শূন্যতে আউট হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ