Prothomalo:
2025-05-01@03:56:43 GMT

যেভাবে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারি

Published: 31st, March 2025 GMT

ঈদ ঘনিয়ে এসেছে, সারা বিশ্বের মুসলিমরা ঈদ উদ্‌যাপন করতে চলেছেন, কিন্তু এটাও ঠিক যে মুসলিম জাতির একটি অংশ এই সময়েও ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের মধ্যে যারা শান্তি ও সমৃদ্ধির মধ্যে আছি, তারা কি এজন্য অপরাধবোধে ভুগবেন নাকি ঈদ পালন করবেন?

ঈদ উল-ফিতর এমন একটি সময় যখন ফিলিস্তিনে মুসলমানরা নির্মম দখলদারদের হাতে নিপীড়িত হচ্ছে, উইঘুর মুসলমানরা চীনে রমজান পালন করতে পারছেন না, দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যার কারণে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে…। এ তালিকা আরও দীর্ঘ। তাহলে যারা শান্তি, স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তায় আছি, তাদের কী করা উচিত? যখন আমরা দেখি যে পুরো বিশ্ব যেন আগুনে পুড়ে যাচ্ছে, তখন ঈদ উদ্‌যাপন করতে যাওয়া কি সঠিক হবে?

তাহলে আমরা কীভাবে ঈদ উদ্‌যাপন করব?

এমন প্রশ্ন অনেকর মনে আজকাল ঘুরপাক খেতে থাকে। মনে রাখবেন, আমাদের দুঃখ ভারাক্রান্ত হওয়া বা ঈদের আনন্দ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করাটা পৃথিবীর কোনো ক্ষতের উপশম করবে না। সবকিছু সংশোধন করে দেবে না। বিশ্বের সমস্যাগুলোর প্রতি উদ্বেগ থাকার কারণে আমাদের সুখী হওয়ায় কোনও বাধা সৃষ্টি করবে না।

আরও পড়ুনঈদ যেভাবে এল১১ এপ্রিল ২০২৪

আসুন, আমরা কয়েকটি কিছু বিষয় দেখি, যা হয়তো আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ ঈদ পালনে সাহায্য করবে।

১.

আপনার সুখ পর্যালোচনা করুন: আপনি কি আপনার জীবনের নেতিবাচক দিকগুলো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং ইতিবাচক দিকগুলো কম? এটা সত্য যে, পৃথিবীতে অনেক কষ্ট জমা হয়েছে। কিন্তু মুসলিম হিসেবে হেদায়াত পাওয়ায় আমাদের অনেক কৃতিত্বও রয়েছে। পৃথিবীকে সমৃদ্ধকরণে আমাদের অনেক অবদান আছে। আমরা সেগুলো ভেবে সুখী হতে পারি।

২. অন্যের সমস্যার প্রতি ‘যত্ন’ নেওয়া: সহানুভূতি মানে হলো, অন্যদের অনুভূতি শেয়ার করা। তবে এর অর্থ এটি নয় যে, আমরা তাদের সমস্যার বোঝা নিজের ওপর চাপিয়ে দেব। সহানুভূতি হলো এমনভাবে অন্যদের অনুভূতি অনুভব করা যাতে তাদের কষ্ট বুঝতে পারি, তারপর আমরা সাহায্য করার জন্য কিছু করার চেষ্টা করি।

৩. বাস্তব পদক্ষেপ নিন: কাছের দুঃখী মানুষদের দান করুন। দেখবেন, আপনার চারপাশের মানুষও অনেক কষ্টে আছে, তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে যান। প্রয়োজনে সামাজিক মাধ্যমে সচেতনতা ছড়িয়ে দিন, অন্যদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলুন। যারা কষ্ট পাচ্ছেন তাদের জন্য আন্তরিক দোয়া করুন, আল্লাহই সেরা পরিকল্পনাকারী।

৪. অন্যদের উজ্জীবিত করুন: সংগ্রামের গল্প শুনিয়ে আমরা চাইলে অন্যদের উজ্জীবিত করতে পারি। যারা সংগ্রাম করছেন, তাদের স্মরণ করি। তাদের মতো হতে চেষ্টা করি। পরিবারের সদস্যদের, শিশুদের সামনে বড়দের সংগ্রামের গল্প বলি।

৫. কৃতজ্ঞ থাকুন: দুঃখ বা অপরাধবোধে না ভুগে আলহামদুলিল্লাহ বলুন। আল্লাহর সমস্ত অনুগ্রহের জন্য তার শোকর আদায় করুন, কেননা, এখনো তিনি আপনাকে ভালো রেখেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তাহলে তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদের স্মরণ করব, এবং আমাকে কৃতজ্ঞতা জানাও, কখনো অবিশ্বাস করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫২)

এভাবে ভাবলে ইনশা আল্লাহ, আমরা সবাই একটি ভারসাম্যপূর্ণ ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারব।

 সূত্র: মুসলিম ম্যাটার্স

আরও পড়ুনঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ম১০ এপ্রিল ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র অন আম দ র আল ল হ র সমস

এছাড়াও পড়ুন:

কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর ইউক্রেন–যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি সই

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর দেশ দুটি একটি চুক্তিতে সই করেছে। এর ফলে ওয়াশিংটন কিয়েভের মূল্যবান দুর্লভ খনিজসম্পদে প্রবেশাধিকার পাবে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে তার পুনর্গঠনে তহবিল জোগান দেবে।

গতকাল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এ চুক্তি সই হয়। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোর দরকষাকষি করে দুই দেশ। চুক্তি সই হওয়ার ব্যাপারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কিছু অনিশ্চয়তা থাকলেও অবশেষে এটি সম্পন্ন হয়।

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।

চুক্তি সইয়ের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল’ প্রতিষ্ঠা রাশিয়ার প্রতি একটি বার্তা যে, ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদে এক স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন গড়ার শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।

স্কট বেসেন্ট আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার এ ভাবনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের; যা একটি টেকসই শান্তি ও সমৃদ্ধ ইউক্রেনের প্রতি উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতিই প্রতিফলিত করে।’

‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না’, বলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী।

ট্রাম্প প্রশাসন এ চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।

ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেন পুনর্গঠন তহবিলে’ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বা সামরিক সহায়তার মাধ্যমে অবদান রাখবে এবং কিয়েভ তার প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে পাওয়া রাজস্বের ৫০ শতাংশ তহবিলে দেবে।

স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না।স্কট বেসেন্ট, মার্কিন অর্থমন্ত্রী

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তহবিলের সম্পূর্ণ অর্থ প্রথম ১০ বছর শুধু ইউক্রেনে বিনিয়োগ করা হবে, এরপর ‘লাভ অংশীদারদের মধ্যে বণ্টন করা হতে পারে’। তহবিলে দুপক্ষের সমান সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে। এ চুক্তি শুধু ভবিষ্যতের মার্কিন সামরিক সহায়তায় নজর দেব, অতীতের সহায়তা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিদেনকো বলেন, ‘আমরা শুধু বিনিয়োগই পেতে যাচ্ছি না; বরং এমন একটি কৌশলগত অংশীদারকেও পাচ্ছি, যারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনে সহায়তা করতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার ফাঁকে এক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল ভ্যাটিকান সিটিতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ