বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতেই নির্বাচন হবে। এক্ষেত্রে সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, আর নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গ মতবিনিময়ের তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সংস্কারের বিষয়ে ছয়টা কমিশন হয়েছে। ছয়টা কমিশনের বিষয়ে আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে মতের ঐক্য হবে, সেই ঐকমত্যের ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে।

“যারা নির্বাচিত হবে, তারা এই সংস্কারকগুলোকে ইনপ্লিমেন্ট করবে। সংস্কার আর নির্বাচন আলাদা জিনিস না। সংস্কারক সংস্কারের মতো চলবে, আর নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে,” বলেন তিনি। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “চীন সফর বর্তমান সরকারের বড় সাফল্য। ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চীন একতরফাভাবে নির্দিষ্ট একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল।

“তবে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তাদের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করেছে। তারা এখন সব দলের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে,” বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা তুলে ধরে চলতি মাসের ছয় তারিখে চিকিৎসার জন্যে দেশের বাইরে যাওয়ার তথ্য দেন মির্জা ফখরুল।

মতবিনিময় শেষে মির্জা ফখরুল দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান। এসময় মির্জা ফখরুলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে হাজারো নেতাকর্মী তার বাসভবনে ভিড় জমান।

ঢাকা/হিমেল/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফখর ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডন বৈঠকে বিচার ও সংস্কারের বিষয়টি নির্বাচনের মতো গুরুত্ব না পাওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক: এনসিপি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত হতাশাজনক’ বলেছে দলটি।

আজ শুক্রবার রাতে এনসিপির এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহউদ্দিন সিফাত বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন।

এনসিপির বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এনসিপি। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লন্ডনে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকটি ‘সংসদ নির্বাচন’ বিষয়ে দলটিকে আস্থায় আনতে সফল হয়েছে সরকার। জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি। কিন্তু বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নাগরিকদের প্রধান দাবি তথা বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মনে করে এনসিপি।

নির্বাচন প্রশ্নে সরকার কেবল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে বারবার প্রতীয়মান হচ্ছে—এ কথা উল্লেখ করে এনসিপি আরও বলেছে, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, জুলাই সনদ কার্যকর করা এবং বিচারের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন গণ-অভ্যুত্থানকে স্রেফ একটি ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে পরিণত করবে এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন–আকাঙ্ক্ষাকে অবদমিত করবে।

জনগণের দাবি তথা জুলাই সনদ রচনা ও কার্যকর করার আগে নির্বাচনের কোনো তারিখ ঘোষিত হলে তা জনগণ মেনে নেবে না বলে উল্লেখ করেছে এনসিপি। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ও জুলাই সনদ রচনা এবং কার্যকর করেই আসন্ন জুলাইকে যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করার উদ্যোগ নিতে সরকারকে জোর দাবি জানাচ্ছে এনসিপি।’

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে জুলাই সনদ কার্যকর করা ও বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে এনসিপি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা মঙ্গলবার আবার শুরু
  • বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, ভালো উদ্যোগ নিলেও বিরোধিতা আসে
  • লন্ডন বৈঠকে বিচার ও সংস্কারের বিষয়টি নির্বাচনের মতো গুরুত্ব না পাওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক: এনসিপি
  • ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো
  • ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
  • ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার ও জুলাই সনদ