ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের সমাগমে মুখর সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার (২ এপ্রিল) সোনারগাঁয়ের  বাংলাদেশ লোক কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, পানাম নগরী ও বাংলার তাজমহলসহ  আশপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে সকালে তুলনামূলকভাবে পর্যটকদের ভিড় কম থাকলেও বিকেলের দিকে লোকে- লোকারণ্য হয়ে ওঠে।

সরেজমিনে সোনারগাঁয়ের পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখা গেছে , বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবার পরিজন সাথে ঈদের ছুটিতে ভ্রমণ প্রেমীরা ভিড় জমিয়েছেন দর্শনীয় স্থানগুলোতে। তবে পর্যটন স্পটগুলোর সামনের  রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ি চলাচলের কারণে যানজট লক্ষ্য করা যায়।

সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ থেকে আসা মো.

আরিফ নামের একজন বলেন, প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ের ইতিহাসের কথা  বইতে পরেছি এবং আমি সোনারগঁয়ের অনেক  ইতিহাস জানি। 

আজকে আমি বন্ধুদের নিয়ে ঐতিহাসিক পানাম নগরী দেখতে আসেছি। সোনারগাঁয়ের যতগুলো পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে পানাম নগরী আমার কাছে সবচেয়ে পছন্দের। আমি আগেও বেশ কয়েকবার এখানে এসেছি। ঈদের মধ্যে বন্ধুদের  সঙ্গে এমন সুন্দর জায়গাগুলোতে ঘুরতে ভালোই লাগে।

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা সাইফুল ইসলাম জানান, আমার পরিবার নিয়ে আমি সবসময় সোনারগাঁ জাদুঘর ঘুরতে আসি। এখানে আসলে আমার ছোট ছোট বাচ্চা মেয়েরা অনেক ইতিহাস জানতে পারে এবং হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা পায়।

আমি মনে করি  পরিবার নিয়ে ইতিহাস-ঐতিহ্যকে খুব কাছ থেকে দেখতে ঘুরে আসুন সোনারগাঁও জাদুঘর আসা উচিত এবং ছুটির দিনে ঘোরার জন্য উপযুক্ত স্থান এই জাদুঘর। 

এদিকে সোনারগাঁয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে নিরাপত্তার সঙ্গে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করেছে সোনারগাঁ প্রশাসন। পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা ও নিয়মিত নিরাপত্তার জন্য কাজ করছেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

হামলার পর আশা ও আতঙ্কের মধ্যে পেহেলগামে ধীরে ধীরে ফিরছেন পর্যটকেরা

ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামের কাছে এক প্রাণঘাতী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর শহরটিতে এখনো থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অবশ্য সেখানে অল্প অল্প করে পর্যটক ফিরতে শুরু করেছেন।

গত সপ্তাহে শহরের প্রধান মহাসড়ক একেবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। দোকানপাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, খালি হয়ে গিয়েছিল হোটেলগুলো। এখন সেখানে আবার অল্প অল্প করে প্রাণ ফিরছে।

গত মঙ্গলবার পেহেলগাম থেকে তিন মাইল (৫ কিলোমিটার) দূরে পাহাড়চূড়ার উপত্যকা বৈসারানে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের ওপর গুলি চালায় একদল বন্দুকধারী। এই বৈসারানকে অনেক সময় ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ বলা হয়।

বৈসারানের হামলাকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা অনেক পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে এবং ভারতজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কাশ্মীরের দুই অংশ দুই দেশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তরে পুরো অঞ্চলকে দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে থাকে।

দিল্লি এ হামলার কোনো সামরিক জবাব দেবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।

১৯৮৯ সালে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরুর পর থেকে কাশ্মীরে প্রায়ই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এসব ঘটনায় কখনো নিরাপত্তা বাহিনী আবার কখনো বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করা হয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের এভাবে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা বিরল এবং তা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের হতবাক ও আতঙ্কিত করেছে।

১৯৮৯ সালে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরুর পর থেকে কাশ্মীরে প্রায়ই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এসব ঘটনায় কখনো নিরাপত্তা বাহিনী আবার কখনো বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করা হয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের এভাবে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা বিরল এবং তা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের হতবাক ও আতঙ্কিত করেছে।

পেহেলগামের মতো এলাকার অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। হামলার জেরে সেখানে বহু মানুষের জীবিকা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনকাশ্মীরে ব্যাপক ধরপাকড়, ভাঙা হচ্ছে বাড়ি: ‘আমার ভাই জড়িত থাকলেও পরিবারের অপরাধ কী’১৮ ঘণ্টা আগেহামলার পরদিন (২৩ এপ্রিল) ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা পেহেলগামের বৈসারান এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাপ্তাই হ্রদের ‘দ্বীপে’ রিসোর্ট-কটেজ, টানছে পর্যটক
  • পুরীর আদলে পশ্চিমবঙ্গের দীঘায় জগন্নাথ মন্দির, উদ্বোধন আজ
  • ভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট
  • হামলার পর আশা ও আতঙ্কের মধ্যে পেহেলগামে ধীরে ধীরে ফিরছেন পর্যটকেরা
  • কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে চতুর্থ দিনের মতো গোলাগুলি