কেরানীগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, পৌনে কোটি টাকা ক্ষতি
Published: 3rd, April 2025 GMT
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ইডেন ফোম কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে কারখানায় আগুন লাগে। আগুনে কারখানার তিনটি মেশিন, বিপুল পরিমাণ কেমিক্যাল, ফোনসহ সরঞ্জাম পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ঈদের ছুটিতে কারখানা বন্ধ থাকায় হতাহত হয়নি।
মালিক পক্ষের দাবি, আগুনে কারখানার প্রায় ৪০-৪৫ লাখ, বাড়ির মালিকের ২০ লাখ এবং পাশের আরেকটি সাউন্ড সিস্টেমের দোকান পুড়ে যাওয়ায় আরো ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কারখানায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল না বলে জানিয়েছেন কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার কাজল মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুরে হঠাৎ কারখানায় ধোঁয়া দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভসে খবর দেয়। কারখানায় তালাবদ্ধ থাকায় এলাকাবাসী আগুন নেভাতে পারেনি। পরে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটিসহ তিনটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাউন্ড সিস্টেম দোকানের মালিক রমজান জানান, বহু কষ্টে ধারদেনা করে ব্যবসা বড় করেছেন। নিমিষেই সব শেষ। তিনি ফোম কারখানার মালিকের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
কারখানার মালিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘‘কারখানায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল। লোকজন না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আগুনে আমার ৪০-৪৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’’
কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার কাজল মিয়া জানান, এই কারখানার অনুমোদন ছিল না। বার বার সতর্ক করার পরও তারা কারখানা স্থানান্তর করেনি। তিনি ধারণা করেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঢাকা/শিপন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।