কাপাসিয়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া সেই নাটক শনিবার মঞ্চস্থের সিদ্ধান্ত
Published: 4th, April 2025 GMT
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘আপন দুলাল’ নাটক আগামীকাল শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে একই মাঠে মঞ্চস্থের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তামান্না তাসনীম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নাটকের আয়োজকেরা আমাকে কনফার্ম (নিশ্চিত) করেছেন কালকে (শনিবার) একই মাঠে তাঁরা নাটক মঞ্চায়ন করবেন।’
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.
গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে আলোচনার পর আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছেন কাপাসিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নুরুল আমীন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আয়োজনকারীরা নাটকটি মঞ্চস্থ করবে। তারা যদি নাটকটি করে, তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। অশ্লীল কোনো ছবি প্রদর্শন যেন না করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা সজাগ থাকব।’
উল্লেখ্য, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জ উদয়ন সংঘ মাঠে গত বৃহস্পতিবার সকালে ‘আপন দুলাল’ নামের নাটকটি মঞ্চায়িত হওয়ার কথা ছিল। ৫২ বছর ধরে স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীদের আয়োজনে নাটক, গীতিনাট্য, পালাগানের মঞ্চায়ন হয়ে আসছিল। এটি ছিল ৫২তম আসর। স্থানীয় একটি পক্ষের আপত্তির কারণে নাটকের মঞ্চায়ন বাতিল হয়ে যায়। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, নাটকের মঞ্চায়ন বাতিল ধর্মীয় কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে।
আরও পড়ুননাটকের মঞ্চায়ন বাতিল ধর্মীয় কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে: পুলিশ৩২ মিনিট আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের আড়াই কোটি টাকার অনুদান ও সঞ্চয়পত্র প্রদান
জুলাই গণঅভ্যত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক ও তিন শহীদ পরিবারের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ আর্থিক অনুদানের চেক ও সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মানিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আহত জুলাই যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার, শহিদ পরিবারের সদস্যগণ, ছাত্র প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
এ সময় ৪ জন শহিদ পরিবারের সদস্যের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন যোদ্ধাকে এককালীন ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর সন্তানরা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। তাঁদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও অদম্য চেতনা আমাদের জাতি পুনর্গঠনের অনুপ্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, এই যোদ্ধাদের সাহসিকতা দিয়েই গড়ে উঠবে একটি নতুন, উদ্ভাসিত বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন-অগ্রগতির যাত্রায় আমরা তরুণ সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করি। সম্মিলিত প্রচেষ্টাই গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল নারায়ণগঞ্জ।
এদিকে এ অনুষ্ঠানটি শুধু অনুদান বিতরণ নয়, বরং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানানোর এক অনবদ্য প্রয়াস হয়ে উঠেছিল।