গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘আপন দুলাল’ নাটক আগামীকাল শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে একই মাঠে মঞ্চস্থের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তামান্না তাসনীম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নাটকের আয়োজকেরা আমাকে কনফার্ম (নিশ্চিত) করেছেন কালকে (শনিবার) একই মাঠে তাঁরা নাটক মঞ্চায়ন করবেন।’

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.

নুরুল আমীন। বৈঠকে অংশ নেওয়া গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রাত ৯টায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের এসি ল্যান্ড (সহকারী কমিশনার) গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে বসেছিলেন। সেখানে কাপাসিয়া থানার ওসি, বিএনপির নেতৃবৃন্দ, মুসল্লিদের প্রতিনিধি, নাটকের আয়োজক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে নাটকটি একই মাঠে মঞ্চায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে শনিবার নাটক মঞ্চায়ন হবে।’

গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে আলোচনার পর আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছেন কাপাসিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নুরুল আমীন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আয়োজনকারীরা নাটকটি মঞ্চস্থ করবে। তারা যদি নাটকটি করে, তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। অশ্লীল কোনো ছবি প্রদর্শন যেন না করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা সজাগ থাকব।’

উল্লেখ্য, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জ উদয়ন সংঘ মাঠে গত বৃহস্পতিবার সকালে ‘আপন দুলাল’ নামের নাটকটি মঞ্চায়িত হওয়ার কথা ছিল। ৫২ বছর ধরে স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীদের আয়োজনে নাটক, গীতিনাট্য, পালাগানের মঞ্চায়ন হয়ে আসছিল। এটি ছিল ৫২তম আসর। স্থানীয় একটি পক্ষের আপত্তির কারণে নাটকের মঞ্চায়ন বাতিল হয়ে যায়। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, নাটকের মঞ্চায়ন বাতিল ধর্মীয় কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে।

আরও পড়ুননাটকের মঞ্চায়ন বাতিল ধর্মীয় কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে: পুলিশ৩২ মিনিট আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন টক র উপজ ল ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ