ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের অনলাইন তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ করবেন যেভাবে
Published: 6th, April 2025 GMT
ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে সে অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য ব্যবহারকারীদের অনলাইন কার্যকলাপের বিস্তারিত তথ্য নিয়মিত সংগ্রহ করে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। এর ফলে ব্যবহারকারীদের দেখা (ব্রাউজ করা) ওয়েবপেজ, লাইক দেওয়া কনটেন্ট এবং অবস্থানসংক্রান্ত সব তথ্য চলে যায় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের কাছে। তবে চাইলেই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের সেটিংস পরিবর্তন করে অনলাইন তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম বন্ধ করা যায়। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে অনলাইন কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধের পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
ফেসবুকফেসবুকে অনলাইন কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রথমে ফেসবুক ফিডের ডান দিকের ওপরে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ট্যাপ করতে হবে। এরপর নিচে স্ক্রল করে সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি অপশন নির্বাচন করে সেটিংস–এ ট্যাপ করতে হবে। এবার পরের পৃষ্ঠায় মেটা অ্যাকাউন্টস সেন্টারের নিচে থাকা সি মোর ইন অ্যাকাউন্টস সেন্টার অপশনে ট্যাপ করতে হবে। এরপর স্ক্রল করে ইউর ইনফরমেশনস অ্যান্ড পারমিশনস নির্বাচনের পর নিচে থাকা ইউর অ্যাক্টিভিটি অব মেটা টেকনোলজিস ট্যাপ করতে হবে। এবার ম্যানেজ ফিউচার অ্যাকটিভিটি ট্যাপের পর ডিসকানেক্ট ফিউচার অ্যাকটিভিটি অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর কনটিনিউ বাটনে ট্যাপ করে ডিসকানেক্ট ফিউচার অ্যাকটিভিটি বাটনে পুনরায় ট্যাপ করলেই ফেসবুক আর অনলাইন কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করবে না।
আরও পড়ুনফেসবুকে ভিডিও নির্মাতাদের আয়ের পথ সহজ হচ্ছে০৫ অক্টোবর ২০২৪ইনস্টাগ্রামইনস্টাগ্রামে অনলাইন কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রোফাইল ছবিতে ট্যাপ করে প্রোফাইল পেজে যেতে হবে। এরপর তিনটি রেখা মেনুতে ট্যাপ করে সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি অপশন নির্বাচন করতে হবে। এবার পরের পৃষ্ঠায় অ্যাকাউন্টস সেন্টার নির্বাচন করে অ্যাকাউন্ট সেটিংসের নিচে থাকা ইউর ইনফরমেশন অ্যান্ড পারমিশন অপশনে ট্যাপ করতে হবে। এরপর পরের পৃষ্ঠায় ইউর অ্যাকটিভিটি অব মেটা টেকনোলজিস নির্বাচনের পর ম্যানেজ ফিউচার অ্যাকটিভিটিতে ট্যাপ করে ডিসকানেক্ট ফিউচার অ্যাকটিভিটি ক্লিক করতে হবে।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
আরও পড়ুনইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর ৮ কৌশল২৩ জুন ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।
বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান।
শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।