আর ৬০ মিটার গেলেই ভাঙবে শহর রক্ষা বাঁধ
Published: 6th, April 2025 GMT
গ্রীষ্মের শুরুতেই ভোলার মেঘনা নদীর তীরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে শিবপুর মাছঘাটসংলগ্ন ৫০০ মিটার এলাকায় ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আর মাত্র ৬০ মিটার
গেলেই ভাঙবে শহর রক্ষা বাঁধ। দ্রুত বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে আসন্ন বর্ষায় ভাঙনের মুখে পড়তে পারে এ জেলা শহর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বালুর জিওব্যাগ ফেলা হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
ভোলা শহরের বাসিন্দা মুবারক হোসেন, মো.
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গেল বর্ষায় সদর উপজেলার শিবপুর মাছঘাট এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। নদীর তীর থেকে প্রায় ৪০০ মিটার লোকালয়ের ফসলি জমি ও খামার তলিয়ে যায়। সম্প্রতি সেই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সদর উপজেলার ধনিয়া থেকে দৌলতখানের মেদুয়া পর্যন্ত চার কিলোমিটার হুমকিতে রয়েছে। কয়েকশ বছরের পুরোনো শিবপুর মাছঘাটের ৫০০ মিটার এলাকা বিলীনের পথে। আর ৬০ মিটার ভাঙলেই শহর রক্ষা বাঁধটিও বিলীন হয়ে যাবে। তখন জেলা শহরসহ সদর উপজেলার অর্ধেকই জোয়ারে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বসতির পাশাপাশি গুরুতর ক্ষতির মুখে পড়বে মেঘনা তীরের চার ইউনিয়নের কৃষি ও ব্যবসা বাণিজ্য।
শিবপুরের বাসিন্দা নুর হোসেন জানান, ভাঙন এলাকা থেকে জেলা শহরের দূরত্ব আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার। এখনই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে জেলা শহরও হুমকির মুখে পড়বে।
ঘাটের আড়ত মালিক আরিফ হোসেন জানান, শিবপুর ঘাটে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা। ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপের পাশাপাশি স্থায়ী সমাধান চান তারা।
পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউদ্দিন আরিফ জানান, বেশি ঝুঁকিতে থাকা বাঁধসংলগ্ন ২০০ মিটার রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলতে ৮০ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। স্থায়ী পদক্ষেপ হিসেবে চার কিলোমিটার মেঘনার তীর সংরক্ষণ ও ছয় কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে ৬২৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছে পাউবো। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সদর উপজ ল র পদক ষ প শহর র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।