উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন তামিম ইকবাল
Published: 8th, April 2025 GMT
হৃদরোগজনিত সমস্যার পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে অবশেষে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমিয়েছেন দেশের অভিজ্ঞ ওপেনার ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তামিম। চিকিৎসকদের পরামর্শে তখনই জানানো হয়েছিল, ঝুঁকিমুক্ত হলেও তার আরো উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। সে ধারাবাহিকতায় এবার তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হলো। যদিও তিনি কোন হাসপাতালে ভর্তি হবেন, তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলার প্রস্তুতির সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। প্রাথমিকভাবে তাকে স্থানীয় কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত একটি এনজিওগ্রামের মাধ্যমে ধরা পড়ে তার এক শিরায় শতভাগ ব্লক। তাৎক্ষণিকভাবে সেই ব্লক করা রক্তনালীতে স্টেন্ট পরানো হয়।
পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি হলে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং কয়েকদিন সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিকভাবে কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠায় এবার সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল
এছাড়াও পড়ুন:
নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।
এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।
এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।