গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে কক্সবাজারে ভাঙচুর করা কেএফসি-পিৎজা হাট এখনও বন্ধ রয়েছে। তবে ভাঙচুরের শিকার অন্য রেস্তোরাঁগুলো খোলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোন কলাতলীতে ‘ইসরায়েলি পণ্যের সাইনবোর্ড’ থাকার অভিযোগ তুলে এসব প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দান থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল হলিডে মোড় ঘুরে লাবণী হয়ে কলাতলী যায়। এ সময় ভাঙচুর চালানো হয় কেএফসি-পিৎজা হাট,পানসি, বীচ বিরাম, কাঁচা লংকা ও মেরিন ফুড নামের ৬টি রেস্তোরাঁ।
কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আলী বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সবসময় সংহতি রয়েছে। সোমবারের বিক্ষোভ মিছিলেও আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। তবে, ইসরায়েলি পণ্য রাখার অজুহাতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষ কেএফসি, পিৎজা হাটের পাশাপাশি কাঁচা লংকা, পানসি রেস্টুরেন্ট, বীচ বিরাম এবং মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় কাঁচ লেগে কয়েকজন পর্যটকও আহত হন।
তিনি আরও বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা কক্সবাজারের পর্যটনের জন্য অশনিসংকেত। আমরা ইসরায়েলের পণ্য যত সম্ভব বর্জন করছি। তারা যদি সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলতে বলতো তাহলে সুন্দর একটা সমাধান হতো। ভাঙচুর করে পর্যটকদের মাঝে একটা আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। আহতও হয়েছেন কয়েকজন। বিষয়টি প্রশাসনের তদারকি করা উচিত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোনের সুগন্ধা লংবিচ এলাকায় তিনতলা ভবনের উপর তলায় কেএফসি এবং দ্বিতীয় তলায় পিৎজা হাটের অবস্থান। ভাঙচুরের পর বেশকিছু কাঁচ ভেঙে রয়েছে। আজও বন্ধ রয়েছে পিৎজা হাট-কেএফসি।
কক্সবাজার পিৎজা হাটের ইনচার্জ পারভেজ মিয়া বলেন, মূলত কেএফসির ওপর মানুষের ক্ষোভ বেশি। তারা হঠাৎ মিছিল থেকে কেএফসি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল মারা শুরু করে। তবে কেএফসি উপরের ফ্লোরে হওয়ায় এগুলো এসে পড়ে পিৎজা হাটে। আমাদের বেশকিছু কাঁচ এবং যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করা হয়নি। আমরা আপাতত রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছি।
পানসি রেস্তোরাঁর মালিক জাফর আলম বলেন, সোমবার বেশকিছু পর্যটক দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ একদল লোক এসে ভাঙচুর চালায়। এমনকি ওইসময় কয়েকজন পর্যটকও আহত হয়েছেন। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ডে সেভেন আপের বিজ্ঞাপন ছিলো। এই অজুহাতে আমাদের রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়। এতে রেস্তোরাঁর সামনের কয়েকটা গ্লাস ভেঙে যায়। আমরাও তো ফিলিস্তিনকে সাপোর্ট করি। আমাদের বললে সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতাম।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো.
তিনি বলেন, পুলিশ মিছিলের আগে ও পিছে ছিল। মিছিল অনেক বড় হওয়ায় মাঝখান থেকে কিছু অতি উৎসাহী লোক ইসরায়েলি পণ্য রাখার অভিযোগে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট পেপসির সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলেছে। কিছু ঢিল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে, তবে মিছিলে উপস্থিত মুরুব্বিরা তাদেরকে তৎক্ষণাৎ নিয়ন্ত্রণ করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল স ইনব র ড ইসর য় ল স মব র আম দ র র র পর ক এফস
এছাড়াও পড়ুন:
আরো একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র, আশঙ্কাজনক ৩
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনকে ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার নাম ফারজানা ইয়াসমিন (৪৫)। তিনি ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। এ ঘটনায় এখনো আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২ জন।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন
তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আইসিইউতে ছিল ৩ জন। তবে তাদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ তাকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মোট ৩২ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ৩ জন ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে আর তাদের চেয়ে কম গুরুতর ৭ জন রয়েছে সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ড ও কেবিনে ভর্তি রয়েছে। গত তিন দিনে নতুন করে কোনো মৃত্যু নেই।”
আরো পড়ুন:
সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’
মাদ্রাসার মাঠ দখল করে ইউপি সদস্যের বীজতলা
ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “৩২ জনের ১৪ জন শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। বাকিরা স্টেবল রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত সব রোগীর একাধিকবারসহ সব মিলিয়ে ১৫৮টি ছোট-বড় অপারেশন করা হয়েছে।”
বার্ন ইনস্টিটিউটে আর আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করা হবে না। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রতিদিনের আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক।
ঢাকা/সাইফ