প্রথমবার ওয়েব সিরিজের অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক কায়েস আরজু। সিরিজের নাম ‘রিটার্ন’। এতে তাঁর বীপরীতে দেখা যাবে মৌমিতা মৌকে। এটি পরিচালনা করছেন তাজু কামরুল। সম্প্রতি গাজীপুরে হয়েছে এর দৃশ্যধারণ। এর ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
নতুন মাধ্যমে অভিনয় প্রসঙ্গে কায়েস আরজু বলেন, ‘ওয়েব সিরিজটির গল্প অসাধারণ। একটি খুন নিয়ে এর গল্প । ওয়েবের কাজ আমার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। ফিল্মের ঢঙে এর দৃশ্যধারণ হয়েছে। সিরিজটির আরও কিছু কাজ বাকী আছে। আশা করছি,শিগগিরই এর শুটিংয়ে অংশ নেবো।’
এর আগে কায়েস আরজু অভিনয় করেছেন ‘আজিরন’ সিনেমায়। ভিন্নধর্মী গল্পের এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন গীতালি হাসান। সিনেমাটিতে আরজুর সঙ্গে জুটি হয়েছেন সুমাইয়া অর্পা। সম্প্রতি রাজবাড়ীর বিভিন্ন জায়গায় এর দৃশ্যধারণ হয়েছে। রাশেদ রেহমানের গল্প অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য করেছেন পরিচালক নিজে। কায়েস আরজু ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করছেন গোলাম কিবরিয়া তানভির, গোলাম ফরিদা ছন্দা, ফজলুর রহমান বাবু, মাহমুদুল ইসলাম (বড়দা মিঠু), আদিত্য, আনন্দ প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক য় স আরজ অভ ন ত ক য় স আরজ
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল