ইউএনওকে প্রত্যাহারে ডিসির কাছে শিক্ষার্থীদের আবেদন
Published: 9th, April 2025 GMT
জামালপুরের বকশীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানাকে আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউএনও’কে প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের কাছে আবেদন দেন তারা।
আরো পড়ুন: শেরপুরে ২ ইউএনওসহ সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
আরো পড়ুন:
হামাস যোদ্ধাদের বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন শিক্ষিকা
ঝালকাঠিতে খালে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
আবেদনে উল্লেখ করা হয়- “বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার কিছু দৃষ্টতা আমাদের নজরে এসেছে। ইংরেজিতে ইউএনও বকশিগঞ্জ জামালপুর নামে ফেসবুক আইডিতে ইউএনও সাহেব ফেসিস্ট হাসিনার পক্ষে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে প্রচার করে যাচ্ছেন। তিনি প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি যে প্রোফাইল পিকচার (ইউএনও বকশিগঞ্জ জামালপুর ফেসবুক পেইজে) দিয়ে রেখেছেন সেখানে তিনি একটি লাইব্রির সামনে দাঁড়ানো। পেছনে ফেসিস্ট হাসিনার লেখা বইসহ কৌশলে আওয়ামী ভাবধারার বইপত্রের প্রদর্শন করছেন।”
“এতো এতো প্রাণের বিনিময়ে যে ফেসিস্ট হাসিনাকে বিতারিত করা হয়েছে, সেই জালেম হাসিনার প্রচার এভাবে কোনো সরকারি কর্মকর্তা করতে পারেন না। তিনি (ইউএনও) আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টায় লিপ্ত থাকা লোক হিসেবে কাজ করছেন। আমাদের বিশ্বাস, এই কাজে তাকে প্রশাসনের ফ্যাসিস্টপন্থি কর্মকর্তারাও সাহায্য করছে। এতে প্রমাণিত হয়, তার পেছনে বড় ধরনের কোনো শক্তি আছে, যারা বর্তমান ড.
ইউএনওকে প্রত্যাহারের আবেদন করা নাজমুল ও ফয়সাল নামে শিক্ষার্থী বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা কিভাবে এখনো আওয়ামী লীগের হয়ে, কিভাবে আওয়ামী লীগের প্রচারণা চালান এটা বোধগম্য নয়। তিনি অত্যন্ত চতুর এবং তার কার্যক্রম সন্দেহজনক। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে শেরপুর আদালতে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। প্রশাসনে অনেক যোগ্য ব্যক্তি রয়েছে। তাহলে কেনো তাকে এই পদে রাখতে হবে? তাকে প্রত্যাহার করা হোক। তা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে বকশীগঞ্জের ইউএনও মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে তিনবার কলা করা হলেও তিনি ফোর রিসিভ করেননি।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, “আমি এখনো আবেদন পত্রটি হাতে পায়নি। হয়তোবা ডাকে বা আমার অফিসে কাউকে দিয়েছে। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এই বিষয়টি (প্রত্যাহার) আমার হাতে নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবে।”
ঢাকা/শোভন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউএনও কর মকর ত আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনায় নদীতে অবৈধ বালু তোলায় ব্যবহৃত ৭টি খননযন্ত্র ও ১টি বাল্কহেড জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় ব্যবহৃত সাতটি খননযন্ত্র ও একটি বাল্কহেড জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর ইউনিয়নসংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে খননযন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পায় উপজেলা প্রশাসন। এরপর বিকেলে ইউএনও রাফে মোহাম্মদ সেখানে অভিযান চালান। এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া গেলে সাতটি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়।
জব্দ করা খননযন্ত্রগুলো হলো মেসার্স আবির ট্রেডার্স, আবাবিল ড্রেজিং প্রকল্প, সাকিব সাব্বির লোড ড্রেজার, আতিবা আদিবা লোড ড্রেজার, আল্লাহ সর্বশক্তিমান ড্রেজার, গাউসিয়া লোড ড্রেজার ও জোন শাহ ড্রেজার। এ ছাড়া ‘জিয়া অ্যান্ড সাব্বির এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি বাল্কহেডও জব্দ করা হয়। এগুলো ভৈরব নৌ থানার জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানে আশুগঞ্জ থানা ও ভৈরব নৌ থানার একটি দল অংশ নেয়।
রাফে মোহাম্মদ বলেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন পরিবেশ ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে।