জামালপুরের বকশীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানাকে আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউএনও’কে প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের কাছে আবেদন দেন তারা।

আরো পড়ুন: শেরপুরে ২ ইউএনওসহ সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

আরো পড়ুন:

হামাস যোদ্ধাদের বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন শিক্ষিকা

ঝালকাঠিতে খালে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আবেদনে উল্লেখ করা হয়- “বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার কিছু দৃষ্টতা আমাদের নজরে এসেছে। ইংরেজিতে ইউএনও বকশিগঞ্জ জামালপুর নামে ফেসবুক আইডিতে ইউএনও সাহেব ফেসিস্ট হাসিনার পক্ষে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে প্রচার করে যাচ্ছেন। তিনি প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি যে প্রোফাইল পিকচার (ইউএনও বকশিগঞ্জ জামালপুর ফেসবুক পেইজে) দিয়ে রেখেছেন সেখানে তিনি একটি লাইব্রির সামনে দাঁড়ানো। পেছনে ফেসিস্ট হাসিনার লেখা বইসহ কৌশলে আওয়ামী ভাবধারার বইপত্রের প্রদর্শন করছেন।”

“এতো এতো প্রাণের বিনিময়ে যে ফেসিস্ট হাসিনাকে বিতারিত করা হয়েছে, সেই জালেম হাসিনার প্রচার এভাবে কোনো সরকারি কর্মকর্তা করতে পারেন না। তিনি (ইউএনও) আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টায় লিপ্ত থাকা লোক হিসেবে কাজ করছেন। আমাদের বিশ্বাস, এই কাজে তাকে প্রশাসনের ফ্যাসিস্টপন্থি কর্মকর্তারাও সাহায্য করছে। এতে প্রমাণিত হয়, তার পেছনে বড় ধরনের কোনো শক্তি আছে, যারা বর্তমান ড.

ইউনূসের সরকারকে বিব্রত ও বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।” 

ইউএনওকে প্রত্যাহারের আবেদন করা নাজমুল ও ফয়সাল নামে শিক্ষার্থী বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা কিভাবে এখনো আওয়ামী লীগের হয়ে, কিভাবে আওয়ামী লীগের প্রচারণা চালান এটা বোধগম্য নয়। তিনি অত্যন্ত চতুর এবং তার কার্যক্রম সন্দেহজনক। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে শেরপুর আদালতে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। প্রশাসনে অনেক যোগ্য ব্যক্তি রয়েছে। তাহলে কেনো তাকে এই পদে রাখতে হবে? তাকে প্রত্যাহার করা হোক। তা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে বকশীগঞ্জের ইউএনও মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে তিনবার কলা করা হলেও তিনি ফোর রিসিভ করেননি।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, “আমি এখনো আবেদন পত্রটি হাতে পায়নি। হয়তোবা ডাকে বা আমার অফিসে কাউকে দিয়েছে। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এই বিষয়টি (প্রত্যাহার) আমার হাতে নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবে।”

ঢাকা/শোভন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউএনও কর মকর ত আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন অভিনেতা সমু চৌধুরী

অভিনেতা সমু চৌধুরী পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার পর পুলিশ তাঁকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মাজারের গাছতলায় গামছাপরিহিত সমু চৌধুরীর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা জল্পনা শুরু হয়।

গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, অভিনেতা সমু চৌধুরীকে রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে খালাতো ভাই অপু চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় অভিনয়শিল্পী সংঘের লোকজনও ছিলেন। তিনি বলেন, সমু চৌধুরী এর আগে মাজারটিতে কয়েকবার এলেও কেউ তাঁকে চিনতে পারেননি। এবারও মাজারে একাকী সময় কাটাতে এসেছিলেন তিনি।

এর আগে গত বুধবার রাতে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে করে গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নে অবস্থিত মুখী শাহ্ মিসকিনের মাজারে আসেন সমু চৌধুরী। পরদিন গতকাল দুপুরে মাজারের গাবগাছের নিচে শুয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। মাজারের পাশের বাসিন্দা আল মামুন হৃদয় ফেসবুকে তাঁর গাছতলায় শুয়ে থাকার ছবি পোস্ট করেন। দ্রুত সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা সমু চৌধুরীকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে দাবি করেন। সমু চৌধুরীকে এমন অবস্থায় দেখতে পেয়ে সেখানে ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিকেল গাড়িয়ে সন্ধ্যা হলে পুলিশের অনুরোধেও থানায় যাননি সমু চৌধুরী। সন্ধ্যার পর লোকজন আরও বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় পুলিশের পাশাপাশি মাজার প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনী অবস্থান নেয়। এ সময় সমু চৌধুরী জানান, তিনি সুস্থ আছেন। সারা রাত মাজারে ধ্যানে ছিলেন।

আরও পড়ুনঅভিনেতা সমু চৌধুরীকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছে পুলিশ, কী হয়েছিল তাঁর২১ ঘণ্টা আগে

গতকাল রাত ৯টার দিকে সমু চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন গফরগাঁওয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আবদুল্লাহ-আল-মামুন। সমু চৌধুরী সুস্থ আছেন কি না, তা জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন সেখানে উপস্থিত হন।

ইউএনও এন এম আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এক ঘণ্টার বেশি সময় অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং তাঁকে সুস্থ পাওয়া যায়। তাঁর বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়, পুরো ঘটনা তাঁর জবানিতে শোনা হয়। অভিনেতা মাজারভক্ত মানুষ। এ মাজারে আগেও এসেছিলেন। তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেও গতকাল তাঁর ভাষায় গুরুবার ও গুরুত্বপূর্ণ রাত হওয়ায় তিনি মাজারেই অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবির কারণে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।’

সমু চৌধুরীর বয়স ৬২ বছর। তিনি ১৯৯০ সালে একটি নাটকের মাধ্যমে অভিনয়জীবনে প্রবেশ করেন। এ ছাড়া উদীচীর সঙ্গে ছিলেন ১২ বছর। ব্যক্তিজীবনে তিনি অবিবাহিত। তাঁর বাড়ি যশোর। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শুধু মা জীবিত আছেন। সমু চৌধুরী যশোরে থাকেন বলেও জানান ইউএনও।

আরও পড়ুনমাজার থেকে সরতে চাইছেন না সমু চৌধুরী১৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৬ মাস ধরে খোলা আকাশের নিচে ৩১টি পরিবার
  • পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন অভিনেতা সমু চৌধুরী