বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫-এ লোকাল ইনভেস্টমেন্ট ক্যাটাগরিতে ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনে অসামান্য অবদান রাখায় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে এই পুরস্কার প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক এরিক এস চৌধুরী।

১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি ছয় দশকের বেশি সময় ধরে দেশীয় বাজার ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। বর্তমানে ৪০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ, উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ধারাবাহিকভাবে অপারেশনাল প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে এবং দেশের অর্থনীতিতে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এবং বিশ্বজুড়ে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক সমাধান প্রদানের প্রতিশ্রুতি জোরদার করতে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়াতেও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানি’ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানির’ বিরুদ্ধে আট দফা দাবি উত্থাপন করে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার বিকেলে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হকের কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগে সংস্কার কার্যক্রম চললেও রেজিস্ট্রার ভবন এখনো পুরোনো ত্রুটিপূর্ণ প্রশাসনিক ধাঁচে পরিচালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিমা, সনদ উত্তোলন, ডিজিটাল কার্যক্রম, কর্মচারীদের ব্যবহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের হয়রানি, বিলম্ব ও দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা যে আট দফা দাবি তুলে ধরেছেন, সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিমা–সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং সময়মতো অর্থ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে; মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠকের অজুহাতে সেবা বন্ধ না করে কার্যক্রম চালু রাখতে হবে; রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি পরিশোধসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটাল করতে হবে; লালফিতার দৌরাত্ম৵ বন্ধ এবং অভিযোগ ব্যবস্থাপনা চালু  করতে হবে; অবৈধ নিয়োগ তদন্ত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে; ওয়েবসাইট হালনাগাদ এবং কেন্দ্রীয় অনলাইন সেবা পোর্টাল চালু করতে হবে; কর্মচারীদের আচরণ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে; সনদ ও মার্কশিট উত্তোলনের প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং অতিরিক্ত ফি বাতিল করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি দেন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, আবদুর রহমান আল-ফাহাদ, আশিক খান, রিয়াদুল ইসলাম, শামসুদ্দোহা শাকিল, শাহেদ ইমনসহ ১০ জন। এ সময় সহ–উপাচার্য সায়মা হক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ