জন সিনা রেসলিংয়ের মানুষ, বিরাট কোহলি ক্রিকেটের। তবে জগৎ ভিন্ন হলেও ক্রিকেটার কোহলিকে ভালোই চেনেন রেসলিং তারকা সিনা। অন্তত মার্কিন তারকার ইনস্টাগ্রাম পোস্ট তো তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আজ জন সিনা তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে কোহলির একটি ছবি পোস্ট করেছেন। কোনো ক্যাপশন নেই, শুধুই ছবি। তবে ছবিটি অনেকেরই চেনা মনে হওয়ার কথা। কারণ, কোহলির ভঙ্গিটা জন সিনারই।

ব্যাপারটা খোলাসা করা যাক। ৭ এপ্রিল আইপিএলে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মুখোমুখি হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেই ম্যাচের আগে বেঙ্গালুরু একটি ভিডিও পোস্ট করে, যেখানে কোহলিকে জন সিনার ট্রেডমার্ক ‘ইউ কান্ট সি মি’ ভঙ্গি করতে দেখা যায়।

২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের একটি রিং উপহার দিয়েছিল বিসিসিআই। আঙুলে পরা ওই রিং দেখাতে গিয়েই জন সিনার ভঙ্গি অনুকরণ করেন কোহলি।

ভারতীয় ক্রিকেট তারকার ‘ইউ কান্ট সি মি’ পোজ ভালো লাগারই কথা জন সিনার। আর সেই ভালো লাগা থেকেই ভিডিও থেকে ছবি নিয়ে পোস্ট করে দিয়েছেন নিজের দুই কোটির বেশি অনুসারীর ইনস্টাগ্রামে। রেসলিং ও ক্রিকেট এবং যুক্তরাষ্ট্র আর ভারতের ক্রীড়ানুরাগীদের মধ্যে জন সিনার পোস্ট সাড়া ফেলেছে। প্রথম সাত ঘণ্টার মধ্যেই পোস্টে লাইক পড়েছে পৌনে চার লাখ।

এবারের আইপিএলে কোহলি ছন্দে আছেন। এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে দুটি ফিফটিসহ করেছেন ১৬৪ রান। আর জন সিনা এখন ২০ এপ্রিল নেভাদায় কোডি রোডসের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায়। যে লড়াইয়ে জিতলে রেকর্ড ১৮তমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবেন জন সিনা।

আরও পড়ুনএই আউট দেখে আপনার সন্দেহ জাগবেই১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ইনস ট গ র ম জন স ন র

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ