গাজার শুজাইয়ায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৩৫, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন অনেকে
Published: 10th, April 2025 GMT
গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় গতকাল বুধবার একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে ইসরায়েলের একাধিক বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছেন। হামলায় আরও ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ধ্বংসযজ্ঞ বলতে যা বোঝায়, ইসরায়েলের ওই বিমান হামলা ছিল ঠিক তেমনটাই। হতাহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই শিশু ও নারী বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা।
হামলায় আহত বহু মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আহত ব্যক্তিদের জন্য রক্তের প্রয়োজন। তারা সাধারণ মানুষকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
হামলায় আহত বহু মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আহত ব্যক্তিদের জন্য রক্তের প্রয়োজন। তারা সাধারণ মানুষকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।গত কয়েক দিনে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এক স্থানে এটাই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা।
এদিন আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় অন্তত ১০টি ভবন ধসে পড়েছে এবং ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা উদ্ধারকর্মীদের।
আরও পড়ুনগাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৫৮ ফিলিস্তিনি নিহত০৮ এপ্রিল ২০২৫একই দিন রাফা, খান ইউনিস, দেইর আল–বালাহ, বেইত হানুনসহ গাজার আরও কয়েকটি এলাকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
আরও পড়ুনগাজায় সাংবাদিকদের তাঁবুতে হামলা ০৮ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য় ইসর য় ল ইসর য় ল র আহত ব
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।