যুক্তরাষ্ট্র ৯ এপ্রিল হঠাৎ করেই আমদানি পণ্যের ওপর ১০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এতে বন্ডের বাজারে বেজে ওঠে অশনিসংকেত। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈশ্বিক বাণিজ্যে পরিবর্তনের উদ্যোগ গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা দানা বাঁধতে থাকে।

নতুন মার্কিন শুল্কনীতির প্রভাবে এক সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজারের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ১২ শতাংশ বাজার মূলধন হারায়। এরপরও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা অব্যাহতভাবে বলতে থাকেন, তাঁরা আত্মবিশ্বাসী। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, ট্রাম্পের বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পরিবর্তন এবং কয়েক দশকের পুরোনো বিশ্বায়ন প্রক্রিয়াকে বাতিল করে দেওয়ার পরিকল্পনা বেশ ভালোভাবে কার্যকর হবে।

হোয়াইট হাউসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন শেয়ারবাজার (ওয়াল স্ট্রিট) বুঝতে পারে না, একজন সাধারণ মার্কিন নাগরিক প্রতিদিন কী চান—আর সাধারণ নাগরিকেরা এখনো ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্প তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেন। তিনি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাত আরও উত্তপ্ত করে তুললেও অন্যান্য দেশের ওপর নতুন শুল্ক স্থগিত করেন। এই আকস্মিক পরিবর্তনের ফলে পুঁজিবাজারের সূচকে বড় ধরনের উত্থান ঘটে।

মাত্র এক সপ্তাহ আগে নেওয়া শুল্কনীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে পোস্ট দেওয়ার প্রায় ৯০ মিনিট পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, মানুষ এটিকে আর্থিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দিন হিসেবে আখ্যায়িত করছে।’

ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত অনেককেই হতবাক করেছে। বিশেষ করে যখন তাঁর প্রশাসন বলে আসছিল, এর মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করতে চান ট্রাম্প।

তবে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত ট্রাম্প ও তাঁর বাণিজ্য উপদেষ্টারা বহু রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা এবং বিদেশি নেতার সঙ্গে আলাপ করেছেন, যাঁরা বিশ্ববাজারে অস্থিরতা ও বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান মন্দার আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে কিছু করার জন্য তাঁরা ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

গতকাল বুধবার বিকেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কয়েক দিন ধরেই তিনি নিজের মত বদলানোর কথা ভাবছিলেন। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত আজ সকালেই, বেশ সকালেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা দ্রুত এ–সংক্রান্ত পরিকল্পনা লিখে ফেলি। আমরা কোনো আইনজীবীর দ্বারস্থ হইনি। আমরা এটি আমাদের হৃদয় থেকে লিখেছি।’

গত মঙ্গলবার রাতে ফক্স নিউজে শন হ্যানিটির রাত ৯টার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া একদল রিপাবলিকান সিনেটরের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপ করেন ট্রাম্প। এ সময় কিছু সিনেটর ট্রাম্পের নতুন আরোপিত শুল্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওই সন্ধ্যায় ট্রাম্প বন্ড বাজারেও নজর রাখছিলেন, যেখানে মানুষজন কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন। গতকাল ট্রাম্পই এ কথা বলেছেন।

শন হ্যানিটির সাক্ষাৎকারের শেষে বিজ্ঞাপন বিরতির আগে সিনেটর জন নিলি কেনেডি শুল্ক নিয়ে ‘প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে উপস্থাপকের কাছে ১৫ সেকেন্ড সময় চেয়েছিলেন।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ট্রাম্প এবং তাঁর বাণিজ্য উপদেষ্টারা বহু রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা এবং বিদেশি নেতার সঙ্গে আলাপ করেছেন, যাঁরা বিশ্ববাজারে অস্থিরতা এবং বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান মন্দার আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে কিছু করার জন্য তাঁরা ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে কেনেডি বলেন, সময় চাওয়ার কারণ ছিল, সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম তাঁকে বলেছিলেন, ট্রাম্প অনুষ্ঠানটি দেখবেন। হ্যানিটির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কেনেডি ও গ্রাহাম ছাড়াও সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা জন থুন, রিপাবলিকান সিনেটর টিম স্কট, সাউথ ক্যারোলাইনার কেটি বয়েড ব্রিট, আরকানসর টম কটন, টেক্সাসের টেড ক্রুজ এবং ওকলাহোমার মার্কওয়েন মুলিন উপস্থিত ছিলেন।

কিছু সিনেটর ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসা অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলাপ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এসব সিনেটরের কয়েকজন অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।

গ্রাহাম বলেন, তিনি মঙ্গলবার রাতে ট্রাম্পকে বলেছেন, ‘কোনটা যথেষ্ট আর কোনটা যথেষ্ট নয়, তা ঠিক করার দায়িত্ব আমি আপনার ওপর ছেড়ে দিচ্ছি। কিন্তু আমি মনে করি, আপনি বুঝতে পারছেন, মানুষজন সত্যিকারের অগ্রগতি চাইছে।’

আরও পড়ুনট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধে চীনের ‘অস্ত্রের’ মোকাবিলায় কি জিততে পারবে যুক্তরাষ্ট্র২২ ঘণ্টা আগে

সিনেটর ট্রেড ক্রুজ বলেন, তিনি ট্রাম্পকে বলেছেন, শুল্কের ক্ষেত্রে প্রশাসনের সামনে দুটি পথ রয়েছে। একটি হচ্ছে ট্রাম্প অন্যান্য দেশকে তাদের নিজস্ব শুল্ক কমাতে রাজি করানোর জন্য পাল্টা শুল্ক ব্যবহার করতে পারেন। অন্যটি হচ্ছে তিনি গত সপ্তাহে ঘোষিত শুল্ক বহাল রাখতে পারেন। এর ফলে অন্যান্য দেশ প্রতিশোধ নিতে বাধ্য হবে।

ট্রেড ক্রুজ বলেন, ‘তবে আমার মনে হয়, দ্বিতীয় পদক্ষেপটি দেশের জন্য এবং টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর হবে। দ্রুত একটি বা তার বেশি বড় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে আমি তাঁকে (ডোনাল্ড ট্রাম্প) উৎসাহিতও করেছি।’

ক্রুজ বলেন, এই কথোপকথন ট্রাম্পকে প্রভাবিত করেছে বলে আশা করছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শুল্ক স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা ক্রুজ ও অন্য সিনেটরদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল বলেও মনে করছেন এই সিনেটর।

গতকাল বুধবার সকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা জন থুনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট কারিন কেলার-সাটারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। রাতারাতি ৩১ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে সুইজারল্যান্ডের অভিজাত রোলেক্স ঘড়ি এবং চকলেটের বাজারে বড় ধাক্কা লেগেছে।

সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট এই শুল্কনীতি শিথিল করতে ট্রাম্পকে জোর দেন। এটি তাঁর দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলেও জানান তিনি।

সুইস অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ২৫ মিনিট ধরে চলা ওই ফোনকলে কারিন কেলার-সাটার মার্কিন কর্মসংস্থান তৈরিতে সুইস ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবদানের কথা তুলে ধরেন। গত বছর তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা শিল্পপণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছিল বলেও উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্প সকাল আটটার দিকে ফক্স নিউজে সম্প্রচারিত ব্যাংকিং জায়ান্ট জেপি মর্গান চেজের প্রধান নির্বাহী জেমি ডিমনের সাক্ষাৎকারও দেখেন। এ সময় জেমি ডিমন সতর্ক করে দেন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে মন্দা একটি ‘সম্ভাব্য পরিণতি’। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, তিনি যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের বেশির ভাগের কাছ থেকে শুনেছেন, এই আগ্রাসী শুল্কের কারণে তাঁরা বাণিজ্যিক কার্যক্রমে কাটছাঁট করছেন।

আরও পড়ুনশুল্ক আরোপের পর বিশ্বনেতারা এখন আমাকে ‘স্যার’ ‘স্যার’ করছেন: ট্রাম্প২১ ঘণ্টা আগে

জেমি ডিমনের ওই সাক্ষাৎকার ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে সম্প্রচার করা হয়। সেখানে তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখন বিষয়গুলোকে শান্ত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখছি। কিন্তু আমার মনে হয়, আমরা যদি এ ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি না করতে পারি, তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

গতকাল সকালে ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে ট্রাম্প জনসাধারণকে বলেন, ‘শান্ত থাকুন’। যা ঘটছে, তা নিয়ে তিনি মার্কিনদের চিন্তা না করতে বলেন। এর কয়েক মিনিট পরে তিনি আরেকটি পোস্টে লেখেন, ‘এটি (শেয়ার) কেনার জন্য একটি দুর্দান্ত সময়।’

ততক্ষণে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ বাণিজ্য কর্মকর্তা মারোস সেফকোভিচের কাছ থেকে একটি ফোনকল পান। ইইউ মার্কিন ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে গতকাল শুল্ক আরোপের অনুমোদন দিয়েছে।

সয়াবিন চাষি থেকে শুরু করে প্লাস্টিক প্রস্তুতকারক পর্যন্ত ট্রাম্পের সব স্তরের সমর্থকদের ক্ষতির মুখে ফেলার লক্ষ্যে ইইউ এই নীতি নিয়েছে। মার্কিন পণ্য ও পরিষেবার বড় ক্রেতা ইইউ। ইইউর নেতারা ওয়াশিংটনকে আরও বড় ধাক্কা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে সম্ভব বাণিজ্য বাধা দূর করতে একটি চুক্তি করার চেষ্টাও করছেন তাঁরা।

গতকাল দুপুর নাগাদ লুটনিক ও মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে বসেছিলেন। তাঁরা এমন একটি পরিকল্পনা করছিলেন, যা পরে নিজ দলের কিছু সদস্যকেও হতবাক করে দিয়েছে।

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প যখন ট্রুথ সোশ্যালের জন্য তাঁর সবচেয়ে অসাধারণ পোস্টগুলোর একটির ভাষা ঠিক করছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে বসেছিলেন তাঁর প্রশাসনের এ দুই শীর্ষ কর্মকর্তা। ট্রাম্প বিশ্ববাসীর কাছে শুল্ক স্থগিতের বার্তা পাঠানোর ১২ মিনিট পর বেলা দেড়টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেন লুটনিক।

আরও পড়ুন:

শুল্ক আরোপের পর বিশ্বনেতারা এখন আমাকে ‘স্যার’ ‘স্যার’ করছেন: ট্রাম্প

ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধে চীনের ‘অস্ত্রের’ মোকাবিলায় কি জিততে পারবে যুক্তরাষ্ট্র

আরও পড়ুনপাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেন ট্রাম্প, এ সময় এই শুল্ক থাকছে ১০ শতাংশ১৮ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন য ন য দ শ শ ল ক আর প র র প বল ক ন অন ষ ঠ ন বল ছ ন র জন য কর ছ ল ল প কর র ওপর গতক ল করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ