বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের ট্রানজিট বাতিলের দাবি খেলাফত মজলিসের
Published: 10th, April 2025 GMT
ভারত অবিলম্বে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পুনর্বহাল না করলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে তাদের সব ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এই সুবিধা বাতিলের মধ্য দিয়ে ভারত চিরাচরিত অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেছে দলটি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এসব কথা বলা হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় দলটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতকে মনে রাখতে হবে তার উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধা প্রয়োজন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে ভারত যদি ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পুনর্বহাল না করে, তাহলে বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে তার সব ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করতে হবে।’
বৈঠকে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে হিন্দু শাস্ত্রে বর্ণিত উৎসব ‘চৈত্রসংক্রান্তি’ পালনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি/আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করার অধিকার সরকারের নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপিত হবে চিরায়ত মুসলিম বাংলার ঐতিহ্যের আলোকে। অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের নিজস্ব পরিমণ্ডলে ধর্মীয় আচার উদ্যাপন করতে পারে। সর্বজনীনতার নাম দিয়ে পয়লা বৈশাখে বিভিন্ন অপসংস্কৃতি মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
বাংলা সন উদ্যাপনে কোনো প্রকার অনৈসলামিক কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না উল্লেখ করে সরকারকে অবিলম্বে চৈত্রসংক্রান্তি বাধ্যতামূলক পালনের নির্দেশনা প্রত্যাহার করারও আহ্বান জানায় দলটি।
বৈঠকে ১২ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ সফলের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন অবিলম্বে শুরু করতে অন্তর্বর্তী সরকারের জোর তৎপরতার দাবি জানায় দলটি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব