বর্ষা মৌসুম আসার আগেই বিহার উত্তরপ্রদেশে ঝড়ের তাণ্ডব দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন বজ্রপাতে গত ৪৮ ঘণ্টায় বিহারের একাধিক জেলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫৮ জনের। উত্তরপ্রদেশে মারা গেছেন ২২ জন। দুই রাজ্য প্রশাসনের আশঙ্কা এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বিহারের রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নালন্দা জেলাতেই অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ভোজপুরে ৫ জন এবং গয়া জেলায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য বেশ কয়েকটি জেলাতেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে রয়েছে পটনা, গোপালগঞ্জ, মুঙ্গের, সমস্তীপুর, জেহানাবাদ, মুজাফফরপুর, আরারিয়া ও বেগুসরাইয়ের মতো এলাকা।

বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। সেখানে বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া বিহারের প্রশাসন জানিয়েছে, আজ শুক্রবার পর্যন্ত বিহারের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এ কারণে নালন্দা, মধুবনী, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণসহ বিভিন্ন জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার বিহারের চারটি জেলায় বজ্রপাতে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। 

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিহারে এর আগে বজ্রপাতে এতো মানুষের মৃত্যুর নজির নেই। গোটা রাজ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস রাজ্যবাসীকে খোলা আকাশের নীচে না থাকার পরামর্শ দিয়েছে। 

বজ্রপাতের সময় সবাইকে প্রশাসনের দেওয়া সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার। অন্যদিকে বিহারের প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনায় কমপক্ষে সরকারিভাবে ২২ জন মারা গেছেন। 

ত্রাণ কমিশনারের কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, প্রবল বাতাসের কারণে দেওয়াল অথবা ছাদ ভেঙে ও বজ্রপাতে ১৩ জন মারা গেছেন। এছাড়াও আরও অনেকেই আহত হয়েছেন। এছাড়াও বৃষ্টিজনিত অন্যান্য কারণে কানপুর, দেহাত, ফতেহপুর, ফিরোজাবাদ, কনৌজ, সন্তকবির নগর, সীতাপুর, সিদ্ধার্থনগর, আজমগড়, আমেঠি, বারাবাঁকি এবং বালিয়াসহ রাজ্যের ৩৬টি জেলার মধ্যে ১১টিতেই হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। 

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৃতদের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ভারী বৃষ্টিপাত এবং বজ্রপাতের কারণে জীবন ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য একটি সমীক্ষা পরিচালনা করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার

শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ