রাবির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনে লড়ছেন ৭৬ জন
Published: 12th, April 2025 GMT
‘বি’ ইউনিটভুক্ত ব্যবসায় শিক্ষা ও ব্যবসা প্রশাসন ইন্সটিটিউটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ ক্যাম্পাস ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ ৪ বিভাগীয় শহরে এ বছরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বছরের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের জন্য লড়বেন ৭৬ জন শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এক শিফটে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে এই এক ঘণ্টার এমসিকিউ ভিত্তিক পরীক্ষা। এই ইউনিটে বরাদ্দ আছে ৫৫৯টি আসন। এর বিপরীতে আবেদন করেছেন ৪২ হাজার ৪৩৩ জন শিক্ষার্থী। বাণিজ্য শাখায় ৩৬৭টি, বিজ্ঞান শাখায় ১৬৬টি এবং মানবিক শাখায় রয়েছে মাত্র ২৬টি আসন।
এ দিকে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ফটকের সামনে বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রেস ব্রিফিং করবেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
ভর্তি পরীক্ষার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবং ভর্তি পরীক্ষার সকল অনিয়ম ঠেকাতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, আমরা ভর্তি পরীক্ষাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে এবং যেকোনো অনিয়ম ঠেকাতে পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা বাহিনীর কয়েকটি টিম ট্রাফিক, ইন্টেলিজেন্স, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আশা করছি, ভর্তি পরীক্ষাটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট র ভর ত পর ক ষ র ইউন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ