মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে মোহামেডান ও আবাহনী লিমিটেডের মধ্যকার ম্যাচ। এর মধ্যেই হঠাৎ মিরপুর স্টেডিয়ামে আসেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার তামিম ইকবাল। বিকেএসপিতে ম্যাচ খেলতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর এটাই প্রথম তার মিরপুর স্টেডিয়ামে আসা।
মাঠে থাকা সাংবাদিকদের মধ্যে তখন প্রশ্ন, অসুস্থ শরীর নিয়েই তামিম কি ম্যাচ দেখতে এসেছেন। নিজের দল মোহামেডানকে কি সমর্থন দিতে এসেছেন? পরে জানা গেছে, ম্যাচ দেখতে নয় তিনি এসেছিলেন বিসিবির চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে। সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকা ফিরে বিশ্রাম নিয়েই তিনি এদিন স্টেডিয়ামে চলে আসেন।
এর আগে গত ২৪ মার্চ ডিপিএলে মোহামেডানের হয়ে ম্যাচ খেলতে বিকেএসপিতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন তামিম ইকবাল। সাভারে কেপিজে হাসপাতালে হার্টে স্টেন্ট বসানোর পর অধিকতর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয় তাকে।
সেখান থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চেক আপ করতে গিয়েছিলেন তামিম। শুক্রবার সিঙ্গাপুর থেকেই স্ত্রী আয়েশার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেন জাতীয় দলের সাবেক এই বাঁ-হাতি ওপেনার। তাকে দেখে বেশ সুস্থই মনে হয়েছে।
তামিম ইকবালের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তার চাচা আকরাম খান জানান, তামিমের শরীরের অবস্থা এখন অনেক ভালো। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে ইতিবাচক কথা বলেছেন। তামিম তিন-চার মাসের মধ্যে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্রিকেটে ফিরতে পারবে বলেও জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা। যদিও তামিম আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্রিকেটে খেলবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল ড প এল
এছাড়াও পড়ুন:
১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত ১ হাজার ২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই চিকিৎসকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত একদল চিকিৎসক ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মিয়ানমারে অবস্থান করেন। তারা আহত ১ হাজার ২০০ জনের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০০ জনকে সার্জারি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক দলের উদ্দেশে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, মানবতার ধর্মই পরম ধর্ম। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনারা যেভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।