শেষ বাঁশি বাজতে বেশি দেরি নেই, এমন সময় বার্সেলোনার সেন্টারব্যাক ইনিগো মার্তিনেসের করলেন দুর্দান্ত এক ট্যাকল। এই ৩৩ বছর বয়সী ডিফেন্ডার নিশ্চিত একটা গোল থেকে বাঁচিয়ে দিলেন দলকে। এই ট্যাকেলটা এতটাই মূল্যবান ছিল যে, বার্সা ম্যানেজার হান্সি ফ্লিক গোলের মতোই উদযাপন করলেন। মার্তিনেসের কল্যাণেই শনিবার (১২ এপ্রিল) লেগানেসের বিপক্ষে কষ্টার্জিত ১-০ গোলের জয় পেল বার্সা। লা লিগা শিরোপা জয়ের তুমুল লড়াইয়ে এক ধাপ এগিয়ে গেল কাতালান জায়ান্টরা।

এই জয়ের ফলে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ২৪ ম্যাচে অপরাজিত বার্সেলোনা। ৩১ ম্যাচ শেষে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার শীর্ষে থাকা দলটি রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে আছে। যদিও এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল রবিবার (১৩ এপ্রিল) আলাভেসের মুখোমুখি হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

পেনাল্টি মিস করে বাজি হেরেছেন ভিনিসিয়ুস

ভিনির পেনাল্টি মিসে রিয়ালের শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পথে

লেগানেসের ঘরের মাঠ বুতারকে স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৪৮ মিনিটে জর্জ সায়েঞ্জের আত্মঘাতী গোলে বার্সা এগিয়ে যায়। ম্যাচের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বক্সের প্রান্তে মার্তিনেসের সেই অসাধারণ ট্যাকেলে মুনির এল হাদ্দাদির সমতাসূচক গোল ঠেকেয়ি দেওয়া সম্ভব হয়।

বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমার কাছে সেরা মুহূর্ত গোল নয়। ইনিগোর শেষ মুহূর্তের সেই ট্যাকল ছিল অবিশ্বাস্য। আমি সেটা গোলের মতোই উদযাপন করেছি; সবাই করেছে। এটা খেলারই অংশ। আবারো একটি ক্লিন শিট, তিন পয়েন্ট। দারুণ লাগছে। আমি সত্যিই খুশি এবং আমার দল নিয়ে গর্বিত।”

লেগানেসের বিরুদ্ধে বার্সেলোনা অবশ্য তাদের সেরা ছন্দে ছিল না। ম্যাচের শুরুতেই লেগানেসের আদ্রিয়া আলতিমিরা একটি চমৎকার শট নিয়ে গোলচেষ্টার মাধ্যমে সেজেসনিকে পরীক্ষা করেছিলেন।

ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। যখন রাফিনহার ক্রস ঠেকাতে গিয়ে সায়েঞ্জ নিজদের জালে বল ঠেলে দেন। শেষ দিকে লেগানেস সমতায় ফেরার জন্য আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তবে বার্সা নিজেদের জায়গায় অটল থাকে। বার্সার জার্মান কোচ বিশেষভাবে সন্তুষ্ট ছিলেন দলের লড়াইয়ের মানসিকতা দেখে।

ফ্লিক বলেন, “আজ আমরা যেভাবে ৯৪, ৯৫ মিনিট লড়েছি, সেটা অবিশ্বাস্য। খেলোয়াড়দের উপর গত কয়েক সপ্তাহে যে পরিমাণ ধকল গিয়েছে.

..... আন্তর্জাতিক বিরতির পর প্রতিটি পারফরম্যান্সই অসাধারণ ছিল।”

তবে এই জয়কে কিছুটা ম্লান করে দিয়েছে বার্সা লেফটব্যাক আলেহান্দ্রো বালদের চোট। ম্যাচের প্রথমার্ধেই তাকে মাঠ ছাড়তে হয়। ফ্লিক জানান, স্পেনের এই ডিফেন্ডারের ইনজুরির মাত্রা জানতে রবিবার স্ক্যান করা হবে।

বার্সা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে। প্রথম লেগে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে তারা।

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ