বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ‘ফ্যাসিবাদীদের মুখাকৃতি’ পুনরায় বানানো হচ্ছে। সময় কম থাকায় ককশিট দিয়ে মোটিফটি তৈরির কাজ করছেন শিল্পীরা। এ ছাড়া আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রক্টরিয়াল টিমের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়।

রোববার সন্ধ্যায় চারুকলার গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীরা দ্রুত হাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অবয়ব ফুটে উঠেছে। পুড়ে যাওয়া মোটিফের আকৃতি হুবহু রাখার চেষ্টা হচ্ছে। অন্যান্য মোটিফগুলো তৈরি করে গাড়িতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ককশিট দিয়ে ফ্যাসিবাদীদের মুখাকৃতি তৈরির কাজ করছিলেন চারুকলার ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, শোভাযাত্রা শুরুর আগ পর্যন্ত কাজ হবে। অর্থাৎ সারারাত ধরে কাজ চলবে। 

শিল্পী আনোয়ার আরও বলেন, যত কাজ হবে ততই এটি সুচারু হয়ে উঠবে। তবে আগের মতো হবে না, যতটুকু ফুটিয়ে তোলা যায়।

এদিকে মোটিফের চতুর্পাশে প্রক্টরিয়াল টিমের ৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। 

টিমের সদস্য রাজু চৌহান বলেন, আমরা বিকেল থেকে এখানে রয়েছি। আমরা রাত দশটা পর্যন্ত থাকব। এরপর অন্য টিম আসবে। সার্বক্ষণিক এখানে প্রক্টরিয়াল টিম থাকবে।

অন্যদিকে পুরো চারুকলা জুড়ে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এবার শোভাযাত্রায় সাতটি বড় মোটিফ থাকবে। এ ছাড়া কয়েকটি পটচিত্র থাকবে।

শনিবার ভোরে চারুকলায় শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে মাস্ক পরা এক যুবককে আগুন দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ র কল

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ