বন্ধুদের সঙ্গে মিরিঞ্জা ভ্যালি যাচ্ছিলেন, জিপ থেকে ছিটকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
Published: 14th, April 2025 GMT
সাইমুল হক, ফয়সাল মাহমুদ, মো. ফরহান, হৃদয় ও মাসুম। তাঁরা বন্ধু। সময়–সুযোগ পেলেই একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করেন। এবারও ছুটির দিনে একসঙ্গে যাচ্ছিলেন বান্দরবানের লামা উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র মিরিঞ্জা ভ্যালিতে। তবে কাছাকাছি গিয়েও পর্যটনকেন্দ্রটি পৌঁছাতে পারেননি তাঁরা। এর আগেই তাঁদের বহনকারী জিপ থেকে ছিটকে পড়ে আহত হন সাইমুল হক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
গত শনিবার রাত সোয়া আটটার দিকে মিরিঞ্জা ভ্যালির আগে লামা-আলীকদম সড়কে জিপ থেকে ছিটকে পড়ে আহত হন সাইমুল। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাইমুল চট্টগ্রামের আনোয়ারা সদরের বাসিন্দা নুরুল হকের ছেলে। তিনি একটি মুঠোফোন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির কাজ করতেন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে সাইমুলের বন্ধু ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চকরিয়া থেকে জিপে উঠি মিরিঞ্জা ভ্যালিতে যাওয়ার জন্য। লামা-আলীকদম সড়কের হাঁসের দিঘি এলাকা পার হওয়ার পরই পাহাড়ি উঁচুনিচু ও বিপজ্জনক সড়ক। গাড়ি চলার সময় সাইমুল কখনো গাড়িতে ঝুলে, কখনো পেছনে বসে যাচ্ছিল। আমরা তাকে নিষেধ করলেও সে শুনছিল না। মিরিঞ্জা ভ্যালি পৌঁছানোর পাঁচ কিলোমিটার আগে গাড়িটি বাঁক নেওয়ার সময় সাইমুল ছিটকে পড়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছিটকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইমুলের মাথা ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে। এরপর আমরা আর মিরিঞ্জা ভ্যালি না গিয়ে আহত সাইমুলকে নিয়ে চকরিয়া হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে রাতে চট্টগ্রাম শহরের হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
বন্ধুদের সঙ্গে সাইমুল হক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা চেয়ারম্যানের
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সংস্থাটির সবাইকে একত্রিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ অনুরোধ জানান।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএসইসির কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতিসহ জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় এই সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পরিপূর্ণ দায়িত্বশীল হয়ে ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সভায় কর্মকর্তাদের দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে বিএসইসির কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।
বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা আগের সব ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি কমিশনের বিভিন্ন সমস্যার সুরাহা করার বিষয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আশ্বাস দেন তাঁরা।
বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কমিশনের সঙ্গে পূর্ণ উদ্যম ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।