জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৯টি বিশেষ সতর্কতা
Published: 15th, April 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২৩ সালের ৩য় বর্ষের (নিয়মিত, অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষা শুরু ২৪ এপ্রিল। পরীক্ষা শুরু হবে প্রতিদিন বেলা একটা থেকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ‘পরীক্ষার শৃঙ্খলা–সম্পর্কিত ১৯টি অপরাধ’—এর তালিকা প্রকাশ করেছে, যা প্রতিটি পরীক্ষার্থীর অবশ্যই মেনে চলতে হবে। কোন অপরাধের কী শাস্তি হবে, তা দেওয়া হলো।
আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫পরীক্ষা শৃঙ্খলা–সম্পর্কিত ১৯ অপরাধ
ক.
খ. পরীক্ষাকক্ষে ধূমপান করা;
গ. পরীক্ষার হলে মুঠোফেন বা কোনো ইলেকট্রনিকস সামগ্রী বহন;
ঘ. দূষণীয়/অননুমোদিত কাগজপত্র সঙ্গে রাখা;
ঙ. দূষণীয়/অননুমোদিত কাগজপত্র থেকে উত্তরপত্রে লেখা;
চ. প্রশ্নপত্রে উত্তর লেখা/প্রশ্নপত্রে লেখা উত্তর থেকে উত্তরপত্রে লেখা;
ছ. পরীক্ষার হলে মুঠোফোন বা কোনো ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ব্যবহার করে উত্তরপত্রে লেখা;
জ. পরীক্ষাকক্ষের নির্দিষ্ট স্থানের পরিবর্তে অবৈধভাবে অন্য স্থানে আসন গ্রহণ করা;
ঝ. ডেস্ক, বেঞ্চ, কাপড়, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, ব্ল্যাকবোর্ড, কক্ষের দেওয়াল বা অন্য কিছুতে লেখা এবং সেখান থেকে উত্তরপত্র লেখা;
ঞ. উত্তরপত্রে অস্বাভাবিক, আপত্তিকর কিছু লেখা, অযৌক্তিক কোনো মন্তব্য করা অথবা উত্তরপত্রের মধ্যে টাকা রাখা;
ট. রোল নম্বর পরিবর্তন/পরস্পর রোল নম্বর বিনিময় করা (উত্তরপত্র একে অপরের সঙ্গে পরিবর্তন);
ঠ. মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ/সুবিধা গ্রহণের চেষ্টা করা;
ড. মিথ্যা পরিচয় প্রদান করে অবৈধভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা;
ঢ. পরীক্ষাকক্ষ থেকে উত্তরপত্র বাইরে পাচার করা বা বাইরে থেকে লেখা উত্তরপত্র সংযোজন করা;আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদন শুরু, আইএলটিএসে ৬.৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ণ. উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠা পরিবর্তন করা;
ত. ইনভিজিলেটরের কাছে উত্তরপত্র দাখিল না করে পরীক্ষার হল ত্যাগ করা, ইনভিজিলেটর কর্তৃক চাহিবামাত্র দূষণীয় কাগজপত্র প্রদান না করে তা নাগালের বাইরে ফেলা/ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা/গিলে ফেলা;
থ. উত্তরপত্র বিনষ্ট করা/ছিঁড়ে ফেলা, দূষণীয় কাগজপত্র/দ্রব্যাদি, উত্তরপত্র বা প্রবেশপত্র ইত্যাদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা বা জব্দ করার ক্ষেত্রে কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি করা;
দ. পরীক্ষার কক্ষে পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত ইনভিজিলেটর/কর্তব্যরত ব্যক্তি সম্পর্কে কটূক্তি, গালাগাল, তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ বা তাঁকে কোনোরূপ ভীতি প্রদর্শন করা। পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গকে পরীক্ষার হলে বা হলের বাইরে লাঞ্ছিত করা বা লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করা। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষাকক্ষে কেন্দ্র চত্বর বা বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা অথবা পরীক্ষা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে অসদাচরণ করলে বা তাঁকে দৈহিক আক্রমণ করলে;
ধ. সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি, গোলযোগ সৃষ্টি, অন্যকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা প্রদান, অন্য পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হল ত্যাগে বাধ্য না উসকানি প্রদান, পরীক্ষাকক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করা বা আগুন দেওয়া।
অপরাধের শাস্তিমূলকব্যবস্থা
ক. পরীক্ষাসংক্রান্ত ওপরের অপরাধের জন্য পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটি নিচের শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে।
১. ক থেকে ঘ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিল।
২. ঙ থেকে ঞ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিলসহ পরবর্তী এক বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৩. ট থেকে ঠ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিলসহ পরবর্তী (পরপর) দুই বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৪. ড থেকে ণ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিলসহ পরবর্তী (পরপর) তিন বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৫. ত থেকে ধ পর্যন্ত বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিলসহ পরবর্তী (পরপর) চার বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৬. ন-বর্ণিত অপরাধের জন্য। শাস্তি: শৃঙ্খলা কমিটি অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে।
খ. পরীক্ষার্থীর কোনো অপরাধ ওপরের শাস্তির আওতায় না পড়লে পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটি অপরাধের প্রকৃতি বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যেকোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করবে।
ছবি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়// Porasona-1 (12_04_2025) PA_04
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স শ ল ষ ট বছর র পর ক ষ পর ক ষ র থ ক গজপত র
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির স্থাপত্য প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ থেকে যা উপস্থাপন করা হচ্ছে
বাংলাদেশের স্থাপত্যভাবনা, দক্ষতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরতে ইতালির ‘ভেনিস দ্বিবার্ষিক স্থাপত্য প্রদর্শনী ২০২৫’-এ অংশ নিতে যাচ্ছে ‘ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ লিমিটেড’। ইউরোপিয়ান কালচারাল সেন্টারের আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানটি। দ্বিবার্ষিক প্রদর্শনীটির এবার ১৯তম আসর বসবে আগামী ১০ মে, চলবে পরবর্তী ছয় মাস।
এ নিয়েই আজ ২৮ এপ্রিল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে দ্বিবার্ষিক স্থাপত্য প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের বিস্তারিত তুলে ধরেন ‘ভিত্তি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও স্থপতি ইকবাল হাবিব ও ইশতিয়াক জহির।
সংবাদ সম্মেলন শেষে স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই বছর পরপর বিভিন্ন থিমে এই আয়োজন হয়। এখানে সারা পৃথিবীর স্থপতিদের আহ্বান জানানো হয়। তারপর আয়োজকেরা নিজেদের মতো করে অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করেন। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল হাতিরঝিল প্রকল্পের জন্য। পরবর্তী সময়ে আমাদের অন্যান্য প্রকল্প দেখানোর পর আয়োজকেরা বড় পরিসরে প্রদর্শনীর জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানান।’
ভেনিসের এই প্রদর্শনীতে ‘ভিত্তি’ তাদের ৯টি প্রকল্প উপস্থাপন করবে। এসব প্রকল্প শহুরে ও প্রাকৃতিক পরিবেশের সমন্বয়, পুনর্গঠন ও সংরক্ষণের মাধ্যমে দেশীয় প্রয়োজনীয়তাকে সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার সঙ্গে সমন্বয় করেছে। যার মধ্যে প্রদর্শনীতে স্থান পেতে যাচ্ছে ‘হাতিরঝিল’, ‘বাবুরাইল খাল পুনঃস্থাপন’, ‘১৮টি ডিএনসিসি পার্কের পুনরুদ্ধার’-এর মতো বৃহৎ পরিসরের নগর পরিকল্পনা প্রকল্প। পাশাপাশি স্থান পাচ্ছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে স্থাপিত ‘একমাত্রা ডিবিবিএল একাডেমি’ প্রকল্প, পাবনার চাটমোহরের ‘বড়াল বিদ্যানিকেতন’, গাজীপুরের ‘বনের বাড়ি’ নামে আবাসিক বাড়ির মতো প্রকৃতির সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্থাপত্য প্রকল্প। এসব প্রকল্পে গড়া স্থাপত্য পরিবেশবান্ধব স্থানিক উপকরণ ব্যবহার করে স্থাপত্যকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এ ছাড়া স্থাপত্য ঐতিহ্য ও তাত্ত্বিক স্থাপনা পুনঃস্থাপনের প্রকল্প হিসেবে ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল’, নারায়ণগঞ্জের ‘নগর ভবন’-এর মতো প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তি থাকবে।
আরও পড়ুনসুলতানি আমলের মুদ্রাসহ হারিয়ে যাওয়া দেশ ও জনপদের মুদ্রাও আছে এই প্রদর্শনীতে ১৯ এপ্রিল ২০২৫ইকবাল হাবিব বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পগুলোর মধ্য দিয়ে আমরা বলতে চাই, স্থাপত্যেরও গণতন্ত্রায়ণ দরকার। ওপর থেকে চাপিয়ে দিয়ে নয়, জনগণকে সম্পৃক্ত করে স্থাপত্যের চর্চা করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো। তিনি বলেন, ‘স্থাপত্যের নতুন পদ্ধতির জন্য বাংলাদেশকে বলব একটি বিশ্ব পরীক্ষাগার। কারণ, ছোট দেশ, অধিক জনসংখ্যা, জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র প্রভাব, নির্মাণসামগ্রীর অভাব—এমন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও আপনারা (স্থপতিরা) নিজস্ব পদ্ধতিতে এসব অতিক্রম করছেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের (আইএবি) সভাপতি আবু সাঈদ এম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শুধু ভিত্তি স্থপতিদের পরিচিতি হবে এমন নয়, এর মধ্যমে বাংলাদেশের স্থাপত্যের ব্র্যান্ডিং হবে। সারা দুনিয়া দেখবে, আমরা কী চিন্তা করি।’
আরও পড়ুনবাড়িটি দেখে অনেকেই রিসোর্ট ভেবে ভুল করতে পারেন০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪