বাংলা নববর্ষকে বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, জণগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন প্রমাণ করেছে, বাঙালি জাতির জাতিসত্ত্বাবোধ বিনস্ট করা অসম্ভব। 

রোববার জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলন মোহাম্মদপুর থানা ও স্থানীয় শিশু কিশোর সংগঠন শৈশব মেলা বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মোহাম্মদপুরস্থ বেঙ্গলি মিডিয়াম হাই স্কুলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব রুস্তম আলী খোকন।

ড.

তারিকুজ্জামান সুদানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা ও সংস্কৃতি আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক লেখক সাংবাদিক সাইফুর রহমান তপন, খেলাঘরের উপদেষ্টা আহসান হাবিব লাভলু, পরিজা সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, শৈশব মেলা বাংলাদেশ এর সভাপতি গোলাম কিবরিয়া অপু, শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলনের নেতা সৈয়দ বাবলু, নাজমুল হাসান, অনন্ত রূপ চক্রবর্তী প্রমুখ।


অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, সাম্প্রতিককালে সারাদেশে উগ্রবাদী গোষ্ঠী বাঙালি সংস্কৃতির ওপর নানাভাবে আঘাত হানছে। পহেলা বৈশাখকে ধর্মের বিরুদ্ধে উপস্থাপন করার পুরোনো অপচেষ্টায় এই মৌলবাদী উগ্রবাদী মহল লিপ্ত। কতক ক্ষেত্রে অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্লিপ্ততা জণগণকে বিস্মিত করছে।

তারা বলেন, বায়ান্নর চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে বাঙালি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বায়ান্ন ও একাত্তরের চেতনায় মৌলবাদ, দুর্নীতি, দুর্নীতিবাজ, অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী স্বেচ্ছাচারী অপশাসনসহ সব অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাংলাদেশ বদ্ধপরিকর।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২’

কক্সবাজার জেলার লোকসংগীত শিল্পী বুলবুল আক্তার। এই শিল্পী নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারের নিজস্ব ভাষা, সুর ও সংস্কৃতি। কালো বোরকার ফ্যাশনে সাধারণ ও সরল চেহারার এই শিল্পীর দরদি কণ্ঠে ফুটে ওঠে প্রেম, বিরহ, সমাজ ও প্রান্তিক জীবনের গল্প। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি গেয়েছেন ‘মধু হইহই বিষ খাওয়াইলা’ ও ‘হালাসান গলার মালা’।

রসিক আড্ডার আয়োজনে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফোকলোর অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আয়োজিত হয় জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২। দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মাঠে এই আয়োজন চলে। দুপুরে বৃষ্টি এলে ভিজে বৃষ্টিবিলাসে মেতে ওঠেন আয়োজক এবং অনুষ্ঠান দেখতে আসা অনেকে।

অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিল বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া। দূর থেকে মঞ্চে তাকালে বাঙালির ঐতিহ্যই চোখে ভেসে ওঠে। মঞ্চ তৈরি করা হয় প্রতীকী গ্রামবাংলার দৃশ্য কলাগাছ ও খড়ের ঘর দিয়ে। তা ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদের বর্ষবরণকে ফুটিয়ে তুলতে এই আয়োজনে ছিল ধামাইল নাচ, চাকমা, মারমা ও খুমি জনগোষ্ঠীর নৃত্য ও আধুনিক নৃত্য। ব্যান্ডের মধ্যে ছিল ফিরোজ জঙ, আপনঘর, Sacrament-গারো ব্যান্ড, ব্যান্ড লাউ।

এই আয়োজনে গ্রামীণমেলায় ছিল নাগরদোলা, বানরখেলা, রণপা, বায়োস্কোপ ও পুতুলনাচ। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদের খাবার ও পোশাকের স্টল ছিল।  

আয়োজকদের একজন নাহিয়ান ফারুক বলেন,  রসিক আড্ডা বাংলাদেশের সংস্কৃতি পাঠ ও তা চর্চা করে। রসিক আড্ডার তিনটি ম্যাগাজিন রণপা, কলন্দর ও সিনেযোগ বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি–নির্ভর আলোচনা করে এবং তা জনপরিসরে ফুটিয়ে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় এই আয়োজন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২’
  • উপহার পেল পহেলা বৈশাখে জন্ম নেওয়া জেরিনের পরিবার
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টের রায়  ৮ মে
  • সিডনিতে প্রতীতির বর্ষবরণে বাঙালিয়ানার জয়গান
  • ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে উৎসবকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে: মোহাম্মদ আজম
  • দৃশ্যপটে ‘আনন্দ’, মঙ্গল কোথায়
  • যেকোনো উৎসবকে রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে রাখার আহ্বান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের