নববর্ষের উচ্ছাসে অশুভের পরাজয় নিশ্চিত
Published: 15th, April 2025 GMT
বাংলা নববর্ষকে বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, জণগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন প্রমাণ করেছে, বাঙালি জাতির জাতিসত্ত্বাবোধ বিনস্ট করা অসম্ভব।
রোববার জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলন মোহাম্মদপুর থানা ও স্থানীয় শিশু কিশোর সংগঠন শৈশব মেলা বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মোহাম্মদপুরস্থ বেঙ্গলি মিডিয়াম হাই স্কুলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব রুস্তম আলী খোকন।
ড.
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, সাম্প্রতিককালে সারাদেশে উগ্রবাদী গোষ্ঠী বাঙালি সংস্কৃতির ওপর নানাভাবে আঘাত হানছে। পহেলা বৈশাখকে ধর্মের বিরুদ্ধে উপস্থাপন করার পুরোনো অপচেষ্টায় এই মৌলবাদী উগ্রবাদী মহল লিপ্ত। কতক ক্ষেত্রে অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্লিপ্ততা জণগণকে বিস্মিত করছে।
তারা বলেন, বায়ান্নর চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে বাঙালি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বায়ান্ন ও একাত্তরের চেতনায় মৌলবাদ, দুর্নীতি, দুর্নীতিবাজ, অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী স্বেচ্ছাচারী অপশাসনসহ সব অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাংলাদেশ বদ্ধপরিকর।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’