মিয়ানমারে আটকেপড়া ২০ বাংলাদেশি নাগরিককে তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন- জুবায়েদ হোসেন জুয়েল, সরওয়ার কামাল, তারেক মনোওয়ার, নাজিম উদ্দীন, নূর মোহাম্মদ, মো.

নজরুল ইসলাম, মো. খোকন, মো. ফাহিম, মো. হাশেম, মো. আব্দুল্লাহ, মনসুর আলম, মো. মোবারক, রফিকুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, রবিউল আলম, মোহাম্মদ হেলাল, রফিকুল ইসলাম, মো. ফয়সাল, মো. সাজ্জাদ ও মো. আসাদ।

জানা গেছে, অসাধু দালালেরা এসব কিশোর–তরুণকে মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা করেছিল। পথে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তারা আটক হন। তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে সরকার। এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

আরো পড়ুন:

পয়লা বৈশাখে দুবাইয়ে প্রবাসীদের মিলনমেলা

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসীর মৃত্যু

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও ফেরত আসা বাংলাদেশিদের পরিবারের সদস্যরা।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘‘এই প্রত্যাবাসন আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সফল প্রতিফলন। যারা এখনো বিদেশে বিপদাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন, তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘এই ঘটনা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়, অবৈধ ও অননুমোদিত উপায়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুঃখজনক পরিণতি ডেকে আনে। দীর্ঘ সময় পর ফিরে আসা এসব নাগরিকদের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সতর্কবার্তা।’’

ঢাকা/রেজাউল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ